ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত দোহার ও নবাবগঞ্জের ৭০০ পরিবার
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জে পদ্মার ভাঙনের শিকার সাত শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এই সব পরিবারের সদস্যদের মনে এবার ঈদের আনন্দ নেই। দোহার-কাশিয়াখালী-মানিকগঞ্জ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মাসে দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের অরঙ্গাবাদ,
পানকুণ্ড ও নবাবগঞ্জ উপজেলার চারাখালী, মঠবাড়ী গ্রাম চারটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয় পাঁচ শতাধিক পরিবার। আরও ২০০ পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবারের লোকজন উঁচু রাস্তা, স্কুলের মাঠ ও অন্যের জায়গায় অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছে। ফসলি জমি ও বসতভিটে হারিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের।
গৃহহীন কমলা বেগম (৫০) বলেন, ‘সব হারিয়ে রাস্তায় আশ্রয় মিলেছে। খাবার জুটছে না। লঙ্গরখানার খাবার খেয়ে বেঁচে আছি।’ আবদুর রহিম (৫৫) বলেন, ‘বাপ-দাদার ভিটে এখন আমাদের কাছে শুধুই সঞ্চৃতি। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে এবারের ঈদে কোনো কেনাকাটা করতে পারিনি।’ জীবন মিস্ত্রি বলেন, কাজকর্ম না থাকায় আয় রোজগারও নেই।
এভাবেই ধোয়াইর, রাজাপুর, বালেঙ্গা, সোনাবাজু, আশয়পুর, পানিকাউর ও ঘোশাইলের রাস্তার ওপর আশ্রয় নেওয়া অসহায় পরিবারগুলো বলছিল তাদের কষ্টের কথা।
জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন বলেন, ঈদে এই পরিবারগুলোর অনেকেরই চুলায় হাঁড়ি চড়বে না। তা ছাড়া এদের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা হলেও তা অপ্রতুল। নয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ বলেন, তাঁর এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। কষ্টের মধ্যে তাদের ঈদের আমেজ নেই।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন বলেন, ভাঙনকবলিতদের হারানো কিছুই ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। তবে স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতায় চাল, নগদ টাকা ও কিছু নতুন বস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
গৃহহীন কমলা বেগম (৫০) বলেন, ‘সব হারিয়ে রাস্তায় আশ্রয় মিলেছে। খাবার জুটছে না। লঙ্গরখানার খাবার খেয়ে বেঁচে আছি।’ আবদুর রহিম (৫৫) বলেন, ‘বাপ-দাদার ভিটে এখন আমাদের কাছে শুধুই সঞ্চৃতি। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে এবারের ঈদে কোনো কেনাকাটা করতে পারিনি।’ জীবন মিস্ত্রি বলেন, কাজকর্ম না থাকায় আয় রোজগারও নেই।
এভাবেই ধোয়াইর, রাজাপুর, বালেঙ্গা, সোনাবাজু, আশয়পুর, পানিকাউর ও ঘোশাইলের রাস্তার ওপর আশ্রয় নেওয়া অসহায় পরিবারগুলো বলছিল তাদের কষ্টের কথা।
জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন বলেন, ঈদে এই পরিবারগুলোর অনেকেরই চুলায় হাঁড়ি চড়বে না। তা ছাড়া এদের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্যের ব্যবস্থা করা হলেও তা অপ্রতুল। নয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ বলেন, তাঁর এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে। কষ্টের মধ্যে তাদের ঈদের আমেজ নেই।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন বলেন, ভাঙনকবলিতদের হারানো কিছুই ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। তবে স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতায় চাল, নগদ টাকা ও কিছু নতুন বস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
No comments