বাড়তি জমির সবুজ ফসল by নেয়ামতউল্যাহ
ভোলার ইলিশা বিশ্বরোডের মাথা থেকে ইঞ্জিনের নৌকা ছাড়ল। চারদিকে পানি, ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন নীলাকাশ, দেশি-বিদেশি পাখির ওড়াউড়ি। চরগুলোকে দূর থেকে কালোরেখা মনে হয়। কাছে গেলে রং পাল্টে হয় সবুজ। দুই পাশে ফসলের খেত। মাঝখানে স্রোতোস্বিনী খাল। বড় বড় ট্রলার সে খালে দাঁড়িয়ে সবজি-তরমুজ তুলছে।
ঢাকাগামী ট্রলার-মালিক ও চালক মিজানুর রহমান বললেন, এখন আর বাজারে গিয়ে ফসল বিক্রি করতে হয় না। এখানে থেকেই ফসল বিক্রি করা যায়।
বছর পঞ্চাশ আগে ভোলা-গাজীপুর সড়কে চলত লম্বা নাকওয়ালা, হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে চালু করা বাস। সেই গাজীপুর ইউনিয়ন বহু আগেই বিলীন হয়েছিল মেঘনা নদীতে। বছর পাঁচেক আগে মেঘনার মাঝে গাজীপুর ও তার আশপাশের কিছু অংশে আবার চর জেগে উঠেছে। এই বাড়তি চরাঞ্চল এখন ভরে উঠেছে সবুজ ফসলে।
চর আর চর
ভোলার শুরু রাজাপুর ইউনিয়ন দিয়ে। চলমান নৌকায় দাঁড়িয়ে দেখা যায়, মেঘনার মাঝে চর আর চর। নৌকার সঙ্গী রাজাপুরের বাসিন্দা আমির হোসাইন জানান, ভাঙনের কয়েক বছরের মধ্যে মেঘনার মাঝে সদর উপজেলাতেই গাজীপুর চর, কালুপুরা চর, খরকির চর, বারাইপুর, রামদেবপুরসহ ১০-১২টি চর জেগে উঠেছে। দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যে জেগে ওঠা ৫৫টি চরে প্রতিবছর রবি মৌসুমে আবাদ হচ্ছে লক্ষাধিক একর জমি।
পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সমীক্ষায় দেখা যায়, ভোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৭৩-২০০০ সাল পর্যন্ত নদীগর্ভ থেকে বাড়তি জমি পাওয়া গেছে ৫০ হাজার ৮০০ হেক্টর। নদী ভেঙেছে ৮৩ হাজার ৩৬৬ হেক্টর। আর চর পড়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৬৮ হেক্টর। এ চর পড়ছে জলস্রোতে ভেসে আসা পলি থেকে।
সবুজ চরাঞ্চল
মেঘনার মাঝে সবুজ আর সবুজ। ইলিশা বিশ্বরোডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্ষায় মেঘনা থাকে উত্তাল। উত্তর থেকে ঘোলাপানির সঙ্গে পলি ভেসে এসে জমে এসব চরের জমিতে। জমি হয় উঁচু ও উর্বর। কম সারেই ফলন হয় ভালো। এসব চরে রবি মৌসুমে চাষ হচ্ছে বোরো ধান, বাঙ্গি, তরমুজ, আলু, ডাল, বাদাম, মরিচ, সয়াবিন, করলা, চিচিঙ্গা, লাউ, কুমড়া। আর বর্ষায় হয় বোনা আমন।
গাজীপুর চরে নামতেই যেন তরমুজের লতায় পা জড়িয়ে যায়। মাইলের পর মাইল ফসলি খেত। চরের কৃষক হাজি ফারুক হোসাইন জানান, তিনি গত তিন বছর এ চরে সবজির চাষ করছেন। এ বছর তরমুজ, করলা, চিচিঙ্গা, মরিচ ও বোরো ধান লাগিয়েছেন। গাজীপুর চরে শাহজল হাজি চাষ করেছেন ১৩ একর জমিতে। তিনি জানান, মেঘনার মাঝে জেগে ওঠা চরে বোরো আবাদই করতেন কৃষকেরা। এখন ধানের পাশাপাশি বাঙ্গি, তরমুজ, আলু, ডাল, বাদাম, মরিচ, সয়াবিন, সবজি চাষও হচ্ছে প্রচুর।
রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে চাষাবাদ করে কৃষক বাম্পার ফলন পাচ্ছেন। বিক্রিতেও সমস্যা নেই। বেপারি এসে নৌকাভরে ফসল কিনে নিচ্ছেন।
ভোলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শান্তি রঞ্জন মণ্ডল প্রথম আলোকে জানান, মেঘনা-তেঁতুলিয়ার মাঝে জেগে ওঠা চর উর্বর। এখানে বাম্পার ফলন হচ্ছে।
বছর পঞ্চাশ আগে ভোলা-গাজীপুর সড়কে চলত লম্বা নাকওয়ালা, হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে চালু করা বাস। সেই গাজীপুর ইউনিয়ন বহু আগেই বিলীন হয়েছিল মেঘনা নদীতে। বছর পাঁচেক আগে মেঘনার মাঝে গাজীপুর ও তার আশপাশের কিছু অংশে আবার চর জেগে উঠেছে। এই বাড়তি চরাঞ্চল এখন ভরে উঠেছে সবুজ ফসলে।
চর আর চর
ভোলার শুরু রাজাপুর ইউনিয়ন দিয়ে। চলমান নৌকায় দাঁড়িয়ে দেখা যায়, মেঘনার মাঝে চর আর চর। নৌকার সঙ্গী রাজাপুরের বাসিন্দা আমির হোসাইন জানান, ভাঙনের কয়েক বছরের মধ্যে মেঘনার মাঝে সদর উপজেলাতেই গাজীপুর চর, কালুপুরা চর, খরকির চর, বারাইপুর, রামদেবপুরসহ ১০-১২টি চর জেগে উঠেছে। দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যে জেগে ওঠা ৫৫টি চরে প্রতিবছর রবি মৌসুমে আবাদ হচ্ছে লক্ষাধিক একর জমি।
পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সমীক্ষায় দেখা যায়, ভোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৭৩-২০০০ সাল পর্যন্ত নদীগর্ভ থেকে বাড়তি জমি পাওয়া গেছে ৫০ হাজার ৮০০ হেক্টর। নদী ভেঙেছে ৮৩ হাজার ৩৬৬ হেক্টর। আর চর পড়েছে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৬৮ হেক্টর। এ চর পড়ছে জলস্রোতে ভেসে আসা পলি থেকে।
সবুজ চরাঞ্চল
মেঘনার মাঝে সবুজ আর সবুজ। ইলিশা বিশ্বরোডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্ষায় মেঘনা থাকে উত্তাল। উত্তর থেকে ঘোলাপানির সঙ্গে পলি ভেসে এসে জমে এসব চরের জমিতে। জমি হয় উঁচু ও উর্বর। কম সারেই ফলন হয় ভালো। এসব চরে রবি মৌসুমে চাষ হচ্ছে বোরো ধান, বাঙ্গি, তরমুজ, আলু, ডাল, বাদাম, মরিচ, সয়াবিন, করলা, চিচিঙ্গা, লাউ, কুমড়া। আর বর্ষায় হয় বোনা আমন।
গাজীপুর চরে নামতেই যেন তরমুজের লতায় পা জড়িয়ে যায়। মাইলের পর মাইল ফসলি খেত। চরের কৃষক হাজি ফারুক হোসাইন জানান, তিনি গত তিন বছর এ চরে সবজির চাষ করছেন। এ বছর তরমুজ, করলা, চিচিঙ্গা, মরিচ ও বোরো ধান লাগিয়েছেন। গাজীপুর চরে শাহজল হাজি চাষ করেছেন ১৩ একর জমিতে। তিনি জানান, মেঘনার মাঝে জেগে ওঠা চরে বোরো আবাদই করতেন কৃষকেরা। এখন ধানের পাশাপাশি বাঙ্গি, তরমুজ, আলু, ডাল, বাদাম, মরিচ, সয়াবিন, সবজি চাষও হচ্ছে প্রচুর।
রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে চাষাবাদ করে কৃষক বাম্পার ফলন পাচ্ছেন। বিক্রিতেও সমস্যা নেই। বেপারি এসে নৌকাভরে ফসল কিনে নিচ্ছেন।
ভোলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শান্তি রঞ্জন মণ্ডল প্রথম আলোকে জানান, মেঘনা-তেঁতুলিয়ার মাঝে জেগে ওঠা চর উর্বর। এখানে বাম্পার ফলন হচ্ছে।
No comments