গোলাম আযমের আইনজীবীর দাবি-ট্রাইব্যুনালের আইনে বাংলাদেশের নাগরিকের বিচার করা সম্ভব নয়
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর আওতায় বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিচার করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল রোববার এ দাবি করে তিনি বলেন, কারণ, যুদ্ধবন্দী ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাসদস্যের বিচারের জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে আবদুর রাজ্জাক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ’৭৩ সালে জাতীয় সংসদের আলোচনায় দেখা যায়, ১৯৫ জন যুদ্ধবন্দীর বিচারের জন্য এই আইন করা হয়। আইন প্রণয়নের আগে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁদের বিচার না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের বিচারের জন্য আইন করা হয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের ক্ষেত্রে এ আইন প্রযোজ্য হতে পারে না।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনালে সকালে কার্যক্রম শুরু হলে নতুন সদস্য হিসেবে বিচারপতি আনোয়ারুল হক গতকাল প্রথম কার্যক্রমে অংশ নেন। তিনি বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের স্থলাভিষিক্ত হলেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন এ কে এম জহির আহমেদ।
শুনানিতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের যেসব নাগরিক পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য করেছিল, তাদের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালে দালাল অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়। ওই অধ্যাদেশ অনুসারে পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীদের বিচারও শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খানসহ তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ করা ৬২টি অভিযোগের মধ্যে ৬১টিতে ‘প্রাইমা ফেসি’ (প্রাথমিক অভিযোগ) প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্য নেই। বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া এসব বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় কীভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা বোঝাতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।
আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি বাহিনীর ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ছিল। গোলাম আযমের মতো একজন বেসামরিক ব্যক্তির পক্ষে এসব সহযোগী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না।
গোলাম আযমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাকক্ষ থেকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে আনার পর হুইলচেয়ারে করে তাঁকে দোতলায় এজলাসকক্ষে নেওয়া হয়। শুনানিকালে তিনি আসামির কাঠগড়ায় চেয়ারে বসা ছিলেন।
বিকেল চারটা পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক শুনানিতে গোলাম আযমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম ২৭ মার্চ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষে আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ৪০ বছর পর শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের শায়েস্তা করার জন্য এই বিচারকাজ শুরু হয়েছে। জামায়াত যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকত, তবে এ বিচার হতো না।
গোলাম আযমকে বাসা থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশ সংশোধনের (মডিফিকেশন) আবেদনের শুনানিও গতকাল হয়। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
সাঈদী ও কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমের দিন পুনর্নির্ধারণ: জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগের বিষয়ে শুনানির দিন ২৯ মার্চ পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনালে সকালে কার্যক্রম শুরু হলে নতুন সদস্য হিসেবে বিচারপতি আনোয়ারুল হক গতকাল প্রথম কার্যক্রমে অংশ নেন। তিনি বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের স্থলাভিষিক্ত হলেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন এ কে এম জহির আহমেদ।
শুনানিতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের যেসব নাগরিক পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য করেছিল, তাদের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালে দালাল অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়। ওই অধ্যাদেশ অনুসারে পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীদের বিচারও শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খানসহ তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে উল্লেখ করা ৬২টি অভিযোগের মধ্যে ৬১টিতে ‘প্রাইমা ফেসি’ (প্রাথমিক অভিযোগ) প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্য নেই। বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া এসব বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় কীভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা বোঝাতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।
আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি বাহিনীর ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ছিল। গোলাম আযমের মতো একজন বেসামরিক ব্যক্তির পক্ষে এসব সহযোগী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না।
গোলাম আযমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাকক্ষ থেকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে আনার পর হুইলচেয়ারে করে তাঁকে দোতলায় এজলাসকক্ষে নেওয়া হয়। শুনানিকালে তিনি আসামির কাঠগড়ায় চেয়ারে বসা ছিলেন।
বিকেল চারটা পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক শুনানিতে গোলাম আযমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম ২৭ মার্চ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষে আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ৪০ বছর পর শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের শায়েস্তা করার জন্য এই বিচারকাজ শুরু হয়েছে। জামায়াত যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকত, তবে এ বিচার হতো না।
গোলাম আযমকে বাসা থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশ সংশোধনের (মডিফিকেশন) আবেদনের শুনানিও গতকাল হয়। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
সাঈদী ও কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমের দিন পুনর্নির্ধারণ: জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগের বিষয়ে শুনানির দিন ২৯ মার্চ পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
No comments