মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণে আরও পথ পাড়ি দিতে হবে-মহান স্বাধীনতা দিবস
আজ ২৬ মার্চ: মহান স্বাধীনতা দিবস। গণতান্ত্রিক অধিকারের দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের এই দিনে সূচিত হয়েছিল এক দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের, নয় মাস পর যার অবসান ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে। ৪১তম স্বাধীনতা দিবসে আজ আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদকে।
গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সব নারী ও পুরুষকে, যাঁরা নিজ নিজ অবস্থান ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সম্ভব করে তুলেছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। স্বাধীনতাসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ সব নেতার স্মৃতির প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। আমরা স্মরণ করি সেইসব শহীদকে, যাঁরা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় সেসব মা-বোনের কথা, যাঁদের ওপর চলেছিল সীমাহীন বর্বরতা। শহীদ-পরিবারগুলোর সদস্যদের প্রতি জানায় সংহতি ও সহমর্মিতা। একই সঙ্গে আমরা অনুভব করি, সমস্ত বেদনার উল্টো পিঠেই রয়েছে মাতৃভূমিকে স্বাধীনরূপে নিজের করে পাওয়ার আনন্দ ও গৌরব।
একাত্তরে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গোটা জাতি। কিন্তু এও সত্য, সেই হানাদারদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল এ দেশেরই কিছু মানুষ। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যায় শুধু যে সহযোগিতাই করেছিল, তা নয়; তারা নিজেরাও অস্ত্র ধরেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে; নিরীহ মানুষের ওপরেও চালিয়েছিল নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের দায়ে তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বছর দুই আগে থেকে, কিন্তু আজ পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধীকেও দণ্ডিত হতে দেখা গেল না। ইতিহাসের এক বিরাট কলঙ্কমোচন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন।
স্বাধীনতা অর্জনের পর আমরা ৪০ বছর পেরিয়ে এসেছি। কোনো জাতির অর্জন, উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধনের জন্য ৪০ বছর নিতান্ত কম সময় নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলায় ভীষণভাবে বিধ্বস্ত-পর্যুদস্ত দেশ জাপান বা জার্মানির ফের উঠে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে। আজ আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার সময় এসেছে, মুক্তিযুদ্ধে এত আত্মদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষার পেছনে আমাদের যে লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো ছিল, সেসব কতটা পূরণ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র; আমাদের পুরো মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। সেই পথে আমরা বেশি দূর এগোতে পারিনি। চল্লিশ বছরেও আমাদের গণতন্ত্র প্রত্যাশিত পথে বিকশিত হতে পারেনি। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু অগ্রগতি হয়েছে; তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করতে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার সংগ্রামে দলমত-নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সামনের পথে এগিয়ে চলুক।
একাত্তরে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গোটা জাতি। কিন্তু এও সত্য, সেই হানাদারদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল এ দেশেরই কিছু মানুষ। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যায় শুধু যে সহযোগিতাই করেছিল, তা নয়; তারা নিজেরাও অস্ত্র ধরেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে; নিরীহ মানুষের ওপরেও চালিয়েছিল নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের দায়ে তাদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বছর দুই আগে থেকে, কিন্তু আজ পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধীকেও দণ্ডিত হতে দেখা গেল না। ইতিহাসের এক বিরাট কলঙ্কমোচন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন।
স্বাধীনতা অর্জনের পর আমরা ৪০ বছর পেরিয়ে এসেছি। কোনো জাতির অর্জন, উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধনের জন্য ৪০ বছর নিতান্ত কম সময় নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলায় ভীষণভাবে বিধ্বস্ত-পর্যুদস্ত দেশ জাপান বা জার্মানির ফের উঠে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে। আজ আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার সময় এসেছে, মুক্তিযুদ্ধে এত আত্মদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষার পেছনে আমাদের যে লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো ছিল, সেসব কতটা পূরণ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র; আমাদের পুরো মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। সেই পথে আমরা বেশি দূর এগোতে পারিনি। চল্লিশ বছরেও আমাদের গণতন্ত্র প্রত্যাশিত পথে বিকশিত হতে পারেনি। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু অগ্রগতি হয়েছে; তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করতে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার সংগ্রামে দলমত-নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সামনের পথে এগিয়ে চলুক।
No comments