কৃষক ও সাধারণ ভোক্তাদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক-ধান-চাল সংগ্রহে জটিলতা
বোরো মৌসুমে এবার আবাদ সন্তোষজনক কিন্তু সরকার এখনই ধান-চাল সংগ্রহে নামছে না। সরকারের আশঙ্কা, এখন সংগ্রহ অভিযান শুরু করলে বাজারে চালের দাম বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার বাজারে প্রবেশ না করলে কৃষকের উপযুক্ত দাম না পাওয়ার আশঙ্কা।
আবার বর্ষা মৌসুমে সংগ্রহ অভিযান চালানোও অসুবিধা। এই দ্বিমুখী সমস্যার মুখে কৃষকেরা সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
সরকারি উদ্বেগের পেছনের কারণটি উপেক্ষণীয় নয়। এবার মোটের ওপর কেজিপ্রতি চালের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ২৪ টাকা। সরকারকে কিনতে হলে দু-তিন টাকা লাভ ধরে কিনতে হবে। তা করলে বাজারে চালের দাম ৩০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাতে ক্ষতি কয়েক কোটি মানুষের, যাঁরা বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করেন। আবার উপযুক্ত সময়ে সরকার দাম নির্ধারণ না করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা বঞ্চিত হতে পারেন কৃষক। আবার এখনই যদি সরকার দাম ঘোষণা করে সংগ্রহ অভিযান শুরু না করে, তাহলে আসন্ন বর্ষার কারণেও তা ব্যাহত হবে। ওদিকে সরকারি গুদামগুলোতেও জায়গা নেই। তা ছাড়া ইতিমধ্যে সরকারিভাবে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ চাল কেনার চুক্তি করা হয়ে গেছে। সুতরাং এবারের বোরো ফলন বাম্পার হলেও তার সুফল নিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার নিজেই। আর এর চাপ পড়তে পারে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর।
এ ক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে, সরকারিভাবে চালের দাম ২৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। ধানকল ও বেসরকারি সরবরাহকারীরা এই দামে কৃষকদের কাছ থেকে চাল কিনবেন। পরে তাঁদের লাভ হিসেবে ন্যায্য পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া যায়। এতে কৃষকও ন্যায্য মূল্য পান, আবার খাদ্যের বাজারেও দামের বৃদ্ধি ঠেকানো যায়; গুদামের সমস্যাও এভাবে মেটানো যায়। যেসব ধানকল-মালিকের কাছ থেকে ধান-চাল কেনা হবে, কেনার পর সেসব তাঁদের গুদামেই রেখে দেওয়া যায় গুদাম-নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে।
দেরি না করে ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে। সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধান-চাল সংগ্রহের পদ্ধতি এবং দাম নির্ধারণ করতে হবে। কৃষক বাড়তি ফলন ফলিয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাকি দায়িত্ব এখন সরকারের।
সরকারি উদ্বেগের পেছনের কারণটি উপেক্ষণীয় নয়। এবার মোটের ওপর কেজিপ্রতি চালের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ২৪ টাকা। সরকারকে কিনতে হলে দু-তিন টাকা লাভ ধরে কিনতে হবে। তা করলে বাজারে চালের দাম ৩০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাতে ক্ষতি কয়েক কোটি মানুষের, যাঁরা বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করেন। আবার উপযুক্ত সময়ে সরকার দাম নির্ধারণ না করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা বঞ্চিত হতে পারেন কৃষক। আবার এখনই যদি সরকার দাম ঘোষণা করে সংগ্রহ অভিযান শুরু না করে, তাহলে আসন্ন বর্ষার কারণেও তা ব্যাহত হবে। ওদিকে সরকারি গুদামগুলোতেও জায়গা নেই। তা ছাড়া ইতিমধ্যে সরকারিভাবে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ চাল কেনার চুক্তি করা হয়ে গেছে। সুতরাং এবারের বোরো ফলন বাম্পার হলেও তার সুফল নিতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার নিজেই। আর এর চাপ পড়তে পারে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর।
এ ক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে, সরকারিভাবে চালের দাম ২৫ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। ধানকল ও বেসরকারি সরবরাহকারীরা এই দামে কৃষকদের কাছ থেকে চাল কিনবেন। পরে তাঁদের লাভ হিসেবে ন্যায্য পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া যায়। এতে কৃষকও ন্যায্য মূল্য পান, আবার খাদ্যের বাজারেও দামের বৃদ্ধি ঠেকানো যায়; গুদামের সমস্যাও এভাবে মেটানো যায়। যেসব ধানকল-মালিকের কাছ থেকে ধান-চাল কেনা হবে, কেনার পর সেসব তাঁদের গুদামেই রেখে দেওয়া যায় গুদাম-নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে।
দেরি না করে ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত এখনই নিতে হবে। সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধান-চাল সংগ্রহের পদ্ধতি এবং দাম নির্ধারণ করতে হবে। কৃষক বাড়তি ফলন ফলিয়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাকি দায়িত্ব এখন সরকারের।
No comments