ঈশ্বরদী ইপিজেডে ব্যাপক সংঘর্ষ
পাবনার ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) দুটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে গতকাল রোববার পুলিশের সংঘর্ষে ইপিজেড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৪০ জন এবং শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের সময় প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে আটক করে পুলিশ।
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, ইপিজেডের রোশিতা নিটওয়্যার লিমিটেড ও মেগাটেক্স নিটার্স কারখানার শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গতকাল সকাল আটটা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে ইপিজেড এলাকায় ক্যাম্প থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রোশিতা নিটওয়্যারের শ্রমিক বীণা খাতুনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এতে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে রোশিতা ও মেগাটেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর শুরু করেন। তখন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে ইপিজেডের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পাবনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও দাঙ্গা পুলিশ এসে ইপিজেডে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখি হয়ে উঠলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। শ্রমিকেরা ইপিজেডের ভেতর থেকে পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পুলিশ ইপিজেডের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে কারখানার ভেতরে ঢুকে শ্রমিকদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে বলে শ্রমিকেরা জানান। বেলা দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিপেটায় নাসরিন, নাজমা, মর্জিনা, জহুরা, চামেলি, হাফিজা, তাসলিমা, মালা, রুনিয়া, বিউটি, মিনারুল, জাহাঙ্গীর, জ্যোতি বিশ্বাস, শিখা, রঞ্জনাসহ শতাধিক শ্রমিক আহত হন। এ ছাড়া পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৪০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত ব্যক্তিদের ঈশ্বরদী ইপিজেডের বেপজা হাসপাতাল ও ঈশ্বরদী ৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বেপজা হাসপতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহায়মেনুল ইসলাম জানান, সেখানে প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইসরাইল হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) দিনার আলম, কনস্টেবল ইমরুল হোসেন ও আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রুস্তম আলীসহ বেশ কয়েকজনকে বেপজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঈশ্বরদীর ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুরুল আমিন, আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও আনসার সদস্য বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজনকে।
ইপিজেড সূত্র জানায়, সংঘর্ষ শুরুর পর দুপুর ১২টার দিকে রোশিতা নিটওয়্যার ও মেগাটেক্স নিটার্সসহ ইপিজেডের এবা (প্রা.) লিমিটেড, নাকানো (প্রা.) লিমিটেড ও রুলিং বিডি (প্রা.) লিমিটেডের কারখানা ও অফিস গতকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শামীম হোসেন জানান, সংঘর্ষের পর ইপিজেড এলাকায় পাবনা ও রাজশাহী থেকে ১০ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ, র্যাব ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মাহমুদ হাসান গতকাল বিকেলে জানান, র্যাব-পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, ইপিজেডের রোশিতা নিটওয়্যার লিমিটেড ও মেগাটেক্স নিটার্স কারখানার শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গতকাল সকাল আটটা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে ইপিজেড এলাকায় ক্যাম্প থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রোশিতা নিটওয়্যারের শ্রমিক বীণা খাতুনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এতে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে রোশিতা ও মেগাটেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর শুরু করেন। তখন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে ইপিজেডের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পাবনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও দাঙ্গা পুলিশ এসে ইপিজেডে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখি হয়ে উঠলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। শ্রমিকেরা ইপিজেডের ভেতর থেকে পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পুলিশ ইপিজেডের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে কারখানার ভেতরে ঢুকে শ্রমিকদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে বলে শ্রমিকেরা জানান। বেলা দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিপেটায় নাসরিন, নাজমা, মর্জিনা, জহুরা, চামেলি, হাফিজা, তাসলিমা, মালা, রুনিয়া, বিউটি, মিনারুল, জাহাঙ্গীর, জ্যোতি বিশ্বাস, শিখা, রঞ্জনাসহ শতাধিক শ্রমিক আহত হন। এ ছাড়া পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৪০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত ব্যক্তিদের ঈশ্বরদী ইপিজেডের বেপজা হাসপাতাল ও ঈশ্বরদী ৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বেপজা হাসপতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহায়মেনুল ইসলাম জানান, সেখানে প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইসরাইল হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) দিনার আলম, কনস্টেবল ইমরুল হোসেন ও আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রুস্তম আলীসহ বেশ কয়েকজনকে বেপজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঈশ্বরদীর ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুরুল আমিন, আনসারের প্লাটুন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও আনসার সদস্য বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজনকে।
ইপিজেড সূত্র জানায়, সংঘর্ষ শুরুর পর দুপুর ১২টার দিকে রোশিতা নিটওয়্যার ও মেগাটেক্স নিটার্সসহ ইপিজেডের এবা (প্রা.) লিমিটেড, নাকানো (প্রা.) লিমিটেড ও রুলিং বিডি (প্রা.) লিমিটেডের কারখানা ও অফিস গতকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শামীম হোসেন জানান, সংঘর্ষের পর ইপিজেড এলাকায় পাবনা ও রাজশাহী থেকে ১০ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ, র্যাব ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মাহমুদ হাসান গতকাল বিকেলে জানান, র্যাব-পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
No comments