রাস্তায় শিক্ষার্থী-অ-শিক্ষা বটে!
মন্ত্রী বা বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনার জন্য শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা এ দেশে নতুন নয়। মাঝে মধ্যে বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ এহেন ঘটনায় বিরক্ত হন এবং শিক্ষার্থীদের এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে আসা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের নির্দেশও প্রদান করেন।
কিন্তু এতে পরিস্থিতির তেমন ইতরবিশেষ লক্ষ্য করা যায় না। শনিবার যোগাযোগমন্ত্রী রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মাটিকাটা কলেজের সভায় যোগ দিতে গেলে একই লজ্জাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। রোববার সমকালে 'রাস্তায় শিক্ষার্থী, ক্ষুব্ধ মন্ত্রী' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্থানীয় প্রশাসন ও আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা মন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তার পাশে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে রোদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি-না সেটা প্রশাসন ও প্রধান শিক্ষকদের জানার চেষ্টা না করাই স্বাভাবিক। কারণ, তারা মন্ত্রীকে খুশি করে কিছু লাভ করার মানসে এমন সৃষ্টিছাড়া কাজ অনায়াসে করতে পারেন।
যোগাযোগমন্ত্রী বা এ ধরনের আধুনিক মানসিকতাসম্পন্ন কিছু মন্ত্রী ও বিশিষ্টজন হয়তো শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া পছন্দ করেন না। অনেকেই আবার সংবর্ধনায় যত বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয় তত বেশি আত্মপ্রসাদ লাভ করেন, এমন নজির কম নেই। এর অন্যথা হলে পরোক্ষভাবে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রুদ্র রোষ পড়া অসম্ভব নয়। যোগাযোগমন্ত্রী তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ভৎর্সনাও করেছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু তার এই নির্দেশ যে পালিত হবে এর নিশ্চয়তা কী? সে জন্যই এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা জারি করা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলেই কেবল শিক্ষার্থীদের কষ্ট দিয়ে বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনা দেওয়ার রেওয়াজ বন্ধ করা যাবে।
যোগাযোগমন্ত্রী বা এ ধরনের আধুনিক মানসিকতাসম্পন্ন কিছু মন্ত্রী ও বিশিষ্টজন হয়তো শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া পছন্দ করেন না। অনেকেই আবার সংবর্ধনায় যত বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয় তত বেশি আত্মপ্রসাদ লাভ করেন, এমন নজির কম নেই। এর অন্যথা হলে পরোক্ষভাবে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রুদ্র রোষ পড়া অসম্ভব নয়। যোগাযোগমন্ত্রী তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ভৎর্সনাও করেছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু তার এই নির্দেশ যে পালিত হবে এর নিশ্চয়তা কী? সে জন্যই এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা জারি করা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলেই কেবল শিক্ষার্থীদের কষ্ট দিয়ে বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনা দেওয়ার রেওয়াজ বন্ধ করা যাবে।
No comments