শুভ হত্যা মামলা-একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র দীপ্ত দাস শুভকে হত্যার দায়ে মামলার একমাত্র আসামি তাজুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পৃথক ধারায় তাঁকে আরও ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন গতকাল রোববার এ মামলার রায় দেন। রায়ে বলা হয়, শুভকে হত্যার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণে সক্ষম হওয়ায় একমাত্র আসামি তাজুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে উপস্থিত নিহত স্কুলছাত্র শুভর মা শিউলি রানী রায় ও বাবা মামলার বাদী বিভূতিরঞ্জন দাস রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এভাবে যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। তাঁরা এ রায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন জানান। গেন্ডারিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ফজিলাতুন্নেসা, ঊমা রানী ঘোষ ও দেওয়ান মো. নূর হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বিভূতিরঞ্জন সপরিবারে গেন্ডারিয়ার ৩৪ কে বি রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত বছরের ৮ জানুয়ারি আসামি তাজুল ঘরে ঢুকে ‘আপনার কাছে জীবন বেশি মূল্যবান, না টাকা’—এ কথা বলে বাদীর ছেলে শুভর গলায় চাকু ধরে। এরপর শুভকে জিম্মি করে সে বিভূতির হাত-পা বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে সে আলমারি থেকে ৩৫-৩৬ হাজার টাকা লুট করে এবং বঁটি দিয়ে বাদীকে কোপাতে থাকে। শুভ এ সময় চিৎকার করলে তাজুল তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে বাথরুমে নিয়ে পানিভর্তি ড্রামে মাথা নিচের দিকে ধরে ডুবিয়ে হত্যা করে। এরপর আসামি ছাদে উঠে পানির পাইপ বেয়ে নেমে পাশের বাড়ির ছাদ দিয়ে পালিয়ে যায়। ৯ জানুয়ারি বিভূতিরঞ্জন এ ব্যাপারে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই দিন রাতে তাজুলকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ ২৭ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আদালত ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন মো. সালাউদ্দিন।
আদালতে উপস্থিত নিহত স্কুলছাত্র শুভর মা শিউলি রানী রায় ও বাবা মামলার বাদী বিভূতিরঞ্জন দাস রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এভাবে যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। তাঁরা এ রায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন জানান। গেন্ডারিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ফজিলাতুন্নেসা, ঊমা রানী ঘোষ ও দেওয়ান মো. নূর হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বিভূতিরঞ্জন সপরিবারে গেন্ডারিয়ার ৩৪ কে বি রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত বছরের ৮ জানুয়ারি আসামি তাজুল ঘরে ঢুকে ‘আপনার কাছে জীবন বেশি মূল্যবান, না টাকা’—এ কথা বলে বাদীর ছেলে শুভর গলায় চাকু ধরে। এরপর শুভকে জিম্মি করে সে বিভূতির হাত-পা বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে সে আলমারি থেকে ৩৫-৩৬ হাজার টাকা লুট করে এবং বঁটি দিয়ে বাদীকে কোপাতে থাকে। শুভ এ সময় চিৎকার করলে তাজুল তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে বাথরুমে নিয়ে পানিভর্তি ড্রামে মাথা নিচের দিকে ধরে ডুবিয়ে হত্যা করে। এরপর আসামি ছাদে উঠে পানির পাইপ বেয়ে নেমে পাশের বাড়ির ছাদ দিয়ে পালিয়ে যায়। ৯ জানুয়ারি বিভূতিরঞ্জন এ ব্যাপারে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই দিন রাতে তাজুলকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ ২৭ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আদালত ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন মো. সালাউদ্দিন।
No comments