অর্ধেক জনগোষ্ঠী ‘মানবাধিকার’ শব্দের সঙ্গে পরিচিত নয়
দেশের অর্ধেক মানুষ ‘মানবাধিকার’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নন। অর্ধেকের বেশি লোক ‘মানবাধিকার’ শব্দটি শুনেছেন, তবে এর ব্যাখ্যা জানেন না। সিংহভাগ লোক জানেন না যে মানবাধিকার আইন দ্বারা সুরক্ষিত। খুবই সামান্যসংখ্যক মানুষ জানেন, মানবাধিকারের বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জরিপ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। মানবাধিকার কমিশনের হয়ে জরিপটি করেছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। জরিপ পরিচালনা করেছেন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ গ্রেগ মোরান, আইন বিশেষজ্ঞ সারা হোসেন, বিচার বিভাগ বিশেষজ্ঞ মির্জা এম হাসান, পরিসংখ্যান পরামর্শক কাজী সালেহ আহমদে এবং জরিপ বিশেষজ্ঞ মকবুল ভূঁইয়া।
‘পারসেপশন অ্যাটিটিউড অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং: এ বেস লাইন সার্ভে অন হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গ্রেট মোরান। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে জাতীয় পর্যায়ের সাতটি বিভাগের ৩৮ জেলার ৫৮ উপজেলার ২২২টি গ্রামে জরিপ চালানো হয়। এ জন্য জরিপকারীরা সমতলের তিন হাজার ৬৩২টি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪৬০টি বাড়ির বাসিন্দাদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সমাজে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন নারী। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতে, নারীর প্রতি বৈষম্য বেড়েছে। যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। নারীর সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কেও খুবই সামান্যসংখ্যক মানুষ জানেন।
ক্রসফায়ার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নির্যাতন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীর মতে, ‘ক্রসফায়ার’ গ্রহণযোগ্য নয়। সুপারিশে বলা হয়েছে, র্যাব-পুলিশকে বুঝতে হবে, কখন তাকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে এবং যাদের ধরা হচ্ছে, তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। পুলিশ বা র্যাবের মধ্যে এ ধরনের বোধ জাগিয়ে তোলার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আইনের অপপ্রয়োগকারী র্যাব বা পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনতে সরকারকে চাপ দিতে হবে। লিমনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার কমিশন এরই মধ্যে এ ধরনের কাজ শুরু করেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ দশমিক ৯ ভাগের মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ৬ ভাগের মতে, পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। তবে ৩ দশমিক ৭ ভাগের মতে, পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূর করার জন্য দেওয়ানি আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। বিনা বিচারে মানুষকে যেন বছরের পর বছরের জেল খাটতে না হয়, সে জন্য ফৌজদারি আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা কমে গেছে। কারণ এ সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না। আর অনেকের গুম হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের চেয়ে সন্তোষজনক। মানবাধিকার কমিশন গঠনের পর থেকে র্যাবের মধ্যে সহনশীলতা এসেছে। তারা আগের মতো হুটহাট কাজ করে বসে না।
কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘অনেকের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত আছে কি না, তা জানি না। তবে কমিশনের নিজস্ব জনবল হলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
‘পারসেপশন অ্যাটিটিউড অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং: এ বেস লাইন সার্ভে অন হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গ্রেট মোরান। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে জাতীয় পর্যায়ের সাতটি বিভাগের ৩৮ জেলার ৫৮ উপজেলার ২২২টি গ্রামে জরিপ চালানো হয়। এ জন্য জরিপকারীরা সমতলের তিন হাজার ৬৩২টি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪৬০টি বাড়ির বাসিন্দাদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সমাজে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন নারী। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মতে, নারীর প্রতি বৈষম্য বেড়েছে। যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। নারীর সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার সম্পর্কেও খুবই সামান্যসংখ্যক মানুষ জানেন।
ক্রসফায়ার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নির্যাতন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীর মতে, ‘ক্রসফায়ার’ গ্রহণযোগ্য নয়। সুপারিশে বলা হয়েছে, র্যাব-পুলিশকে বুঝতে হবে, কখন তাকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে হবে এবং যাদের ধরা হচ্ছে, তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। পুলিশ বা র্যাবের মধ্যে এ ধরনের বোধ জাগিয়ে তোলার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আইনের অপপ্রয়োগকারী র্যাব বা পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনতে সরকারকে চাপ দিতে হবে। লিমনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার কমিশন এরই মধ্যে এ ধরনের কাজ শুরু করেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ দশমিক ৯ ভাগের মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ৬ ভাগের মতে, পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। তবে ৩ দশমিক ৭ ভাগের মতে, পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূর করার জন্য দেওয়ানি আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। বিনা বিচারে মানুষকে যেন বছরের পর বছরের জেল খাটতে না হয়, সে জন্য ফৌজদারি আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা কমে গেছে। কারণ এ সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না। আর অনেকের গুম হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের চেয়ে সন্তোষজনক। মানবাধিকার কমিশন গঠনের পর থেকে র্যাবের মধ্যে সহনশীলতা এসেছে। তারা আগের মতো হুটহাট কাজ করে বসে না।
কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘অনেকের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত আছে কি না, তা জানি না। তবে কমিশনের নিজস্ব জনবল হলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
No comments