লিবিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের উদ্বেগ

লিবিয়ার প্রয়াত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমলের অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ন্যাটোর অভিযান শেষ হওয়ার পর সোমবার নিরপত্তা পরিষদ এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির লুট হওয়া অস্ত্র ধ্বংস ও এ অস্ত্র যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সে ব্যাপারে লিবিয়া ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। খবর বিবিসি, এএফপি।এসব অস্ত্র আল কায়দা এবং অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে ছড়িয়ে পড়তে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে ঠিক কী পরিমাণ অস্ত্র ছড়িয়ে পড়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেননি কর্মকর্তারা। ন্যাটো অভিযানে অনেক অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে।


রাশিয়ার আনা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাটি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য গাদ্দাফির আমলের অনেক অস্ত্রভাণ্ডার লুট হয়েছে, যা যাত্রীবাহী বিমানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। নিরাপত্তা পরিষদ লিবিয়ার নতুন সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক শক্তির সহায়তায় রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার লিবিয়াতে ন্যাটোর সাত মাসব্যাপী অভিযান শেষ হওয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদ এ প্রস্তাব আনল।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতিক্রমে গাদ্দাফি বাহিনীর আক্রোশ থেকে লিবিয়ার বেসামরিক লোকজনকে রক্ষায় ১৯ মার্চ ন্যাটো লিবিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ন্যাটো প্রধান আন্ডারস ফগ রামসুসেন ত্রিপোলিতে ন্যাটোর অভিযান সমাপ্ত হওয়ার বিষয়ে বলেন, 'ন্যাটো সেনারা গণহত্যা থেকে লিবিয়ায় লোকজনকে রক্ষা করেছে এবং অনেক জীবন বাঁচিয়েছে।'
প্রতিশোধ নেবে বনি ওয়ালিদের আদিবাসীরা
লিবিয়ার বিদ্রোহী সেনাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বনি ওয়ালিদের শক্তিশালী ওয়ারফালা আদিবাসী গোষ্ঠী। তাদের অভিযোগ, গাদ্দাফিবিরোধী সেনাদের নির্বিচার লুটপাট ও সহিংসতা তাদের প্রতিশোধ স্পৃহার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গতকাল ওয়ারফালা গোত্রের এক অধিবাসী বলেন, আগামীতেও দিন আসবে। আমরা শিগগিরই হোক আর দেরিতেই হোক প্রতিশোধ নেবই। শহরের বিধ্বস্ত বাড়িঘর দেখিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সুলেইমান নামের ওই ব্যক্তি জানান, গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় আমরা যুদ্ধ থেকে সরে যাই। তারা (বিদ্রোহীরা) শহরে ঢুকে গাদ্দাফি সেনাদের না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তখন তারা ঘরবাড়ি এমনকি কুকুর লক্ষ্য করেও গুলি করে। লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করে নির্বিচারে। এভাবেই তারা আমাদের প্রত্যেককে শাস্তি দিয়েছে। তিনি বলেন, পুরো শহর এখন ক্ষুব্ধ। আমরা প্রতিশোধ নেবই_ এখানে, এমনকি ত্রিপোলিতেও।
রাজধানী ত্রিপোলি পতনের পরও বনি ওয়ালিদ, সিরতেসহ চারটি শহর ক্ষমতাচ্যুত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত থেকে যায়।

No comments

Powered by Blogger.