জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় সাজেদা-জাতীয় চার নেতার জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে
সংবিধান থেকে ধীরে ধীরে ধর্মীয় বাধাগুলো দূর করে এবং জামায়াতকে দেশ থেকে চিরতরে বিদায় করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠন করার প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। জেলহত্যা দিবস উপলেক্ষে গতকাল মঙ্গলবার শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সভায় আরো বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান নূর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, 'আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে জামায়াত খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকে পাকিস্তানিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু ওনাদের সেই চেষ্টা সফল হবে না।' তিনি আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, পার্টি ও দলের সিনিয়র নেতাদের চেয়ে তারা নিজেদের বড় বলে ভাবে। কিন্তু জাতীয় চার নেতা সে রকম ছিলেন না। তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
রাশেদ খান মেনন সরকারের নানা ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বলেন, 'একাত্তরের সংবিধানের কথা বলা হলেও সংশোধিত সংবিধানে ধর্মীয় রাজনীতি প্রশস্ত করা হয়েছে। আমরা পিছু হটলাম। এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।' তিনি আরো বলেন, 'মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থতা এবং দুর্নীতি ও লুটপাট প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের বিভক্ত ও হতাশ করেছে। আর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাচারিতা জনগণ গ্রহণ করেনি।'
জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির সামপ্রতিক রোডমার্চের পর জনসভাগুলোতে জামায়াতের কর্মীদেরই উপস্থিতি ছিল বেশি। সে জন্য তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
হাসানুল হক ইনু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, "সরকারের 'একলা চলো' নীতি পরিহার করতে হবে। এবার হারলে চলবে না, আমাদের জিততেই হবে।"
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, 'বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী জামায়াত একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তাদের রাজনীতির সুযোগ করে দেওয়া হলো। আসলে এরা কোনো দল নয়, তারা ঘাতক বাহিনী। সে জন্য তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।' জেলহত্যাকাণ্ডকে দেশি ও বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, 'আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে জামায়াত খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকে পাকিস্তানিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু ওনাদের সেই চেষ্টা সফল হবে না।' তিনি আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, পার্টি ও দলের সিনিয়র নেতাদের চেয়ে তারা নিজেদের বড় বলে ভাবে। কিন্তু জাতীয় চার নেতা সে রকম ছিলেন না। তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
রাশেদ খান মেনন সরকারের নানা ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বলেন, 'একাত্তরের সংবিধানের কথা বলা হলেও সংশোধিত সংবিধানে ধর্মীয় রাজনীতি প্রশস্ত করা হয়েছে। আমরা পিছু হটলাম। এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।' তিনি আরো বলেন, 'মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থতা এবং দুর্নীতি ও লুটপাট প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের বিভক্ত ও হতাশ করেছে। আর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাচারিতা জনগণ গ্রহণ করেনি।'
জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির সামপ্রতিক রোডমার্চের পর জনসভাগুলোতে জামায়াতের কর্মীদেরই উপস্থিতি ছিল বেশি। সে জন্য তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
হাসানুল হক ইনু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, "সরকারের 'একলা চলো' নীতি পরিহার করতে হবে। এবার হারলে চলবে না, আমাদের জিততেই হবে।"
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, 'বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী জামায়াত একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তাদের রাজনীতির সুযোগ করে দেওয়া হলো। আসলে এরা কোনো দল নয়, তারা ঘাতক বাহিনী। সে জন্য তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।' জেলহত্যাকাণ্ডকে দেশি ও বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।
No comments