জামায়াতের ৪ নেতার বিরুদ্ধে চার্জ দাখিল ৫ ডিসেম্বর
স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাগারে আটক জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আগামী ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে জামায়াতের এ চার নেতার জামিন আবেদনও নাকচ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
গতকাল ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ গঠনের বিষয়সহ আসামিপক্ষের করা পৃথক আরও ৩টি আবেদনের শুনানি করা হয়েছে। এ ছাড়া গোলাম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে 'চূড়ান্ত প্রতিবেদন' প্রস্তুত হওয়ার বিষয়টিও ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করা হয়।
এর আগে গতকাল সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা থেকে রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর কাছে জামায়াতের শীর্ষ নেতা অধ্যাপক গোলম আযম ও কারাগারে আটক নিজামীসহ চার নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য-প্রমাণ সংবলিত পৃথক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গোলম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত এবং সাক্ষীদের বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য গোলাম আযমকে ট্রাইব্যুনালের হেফাজতে আটক করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধেও বিচার শুরু করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ট্রাইব্যুনালের অনুমতি পাওয়া গেলে শিগগিরই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযমকেও মামলায় আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে প্রসিকিউশনই ট্রাইব্যুনালে আবেদন দাখিল করবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে 'কাজ' চলছে বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে। প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী সমকালকে জানান, প্রসিকিউশন প্যানেলের মতামত নিয়ে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী গোলাম আযমকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটকের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হবে।
শুনানি : সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুনানি শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী আদালতে বলেন, তদন্ত সংস্থা থেকে সকালে কারাগারে আটক জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অবস্থায় অভিযুুক্তদের বিরুদ্ধে 'ফরমাল চার্জ' গঠনে প্রসকিউশনের ১ মাস সময় প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে প্রসিকিউশনকে আগামী ৫ ডিসেম্বর 'ফরমাল চার্জ' দাখিলের নির্দেশ দেন। এ সময় আসামি পক্ষে জামায়াতের চার নেতার জামিন চেয়ে আবেবদন করা হলে ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ অডিও-ভিজুয়াল রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আইনগত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরলে আদালত শুনানি শেষে পরে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর পর পৃথক একটি আবেদনে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলা একাডেমী ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ আসামি পক্ষকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক সংগ্রামসহ অনান্য সংবাদপত্র ও নথি ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে তারা তথ্য প্রদানে (মৌখিকভাবে) ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা চাইলে শুনানি শেষে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় বাংলা একাডেমী ও ন্যাশনাল লাইব্রেরিকে তথ্য প্রদানের বিষয়টি নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন আদালত। শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম আদালতকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের নায়ক জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধেও তদন্ত সংস্থা তদন্ত কাজ শেষ করেছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিগগিরই ট্রইব্যুনালে যথাযথ আবেদন করা হবে। এ সময় আদালতের 'ডকেটে' কারবন্দি জামায়াতের চার নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা থেকে রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর কাছে জামায়াতের শীর্ষ নেতা অধ্যাপক গোলম আযম ও কারাগারে আটক নিজামীসহ চার নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য-প্রমাণ সংবলিত পৃথক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গোলম আযমসহ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত এবং সাক্ষীদের বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য গোলাম আযমকে ট্রাইব্যুনালের হেফাজতে আটক করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধেও বিচার শুরু করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ট্রাইব্যুনালের অনুমতি পাওয়া গেলে শিগগিরই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযমকেও মামলায় আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে প্রসিকিউশনই ট্রাইব্যুনালে আবেদন দাখিল করবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে 'কাজ' চলছে বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে। প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী সমকালকে জানান, প্রসিকিউশন প্যানেলের মতামত নিয়ে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী গোলাম আযমকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটকের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হবে।
শুনানি : সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুনানি শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী আদালতে বলেন, তদন্ত সংস্থা থেকে সকালে কারাগারে আটক জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অবস্থায় অভিযুুক্তদের বিরুদ্ধে 'ফরমাল চার্জ' গঠনে প্রসকিউশনের ১ মাস সময় প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে প্রসিকিউশনকে আগামী ৫ ডিসেম্বর 'ফরমাল চার্জ' দাখিলের নির্দেশ দেন। এ সময় আসামি পক্ষে জামায়াতের চার নেতার জামিন চেয়ে আবেবদন করা হলে ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ অডিও-ভিজুয়াল রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আইনগত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরলে আদালত শুনানি শেষে পরে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর পর পৃথক একটি আবেদনে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলা একাডেমী ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ আসামি পক্ষকে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক সংগ্রামসহ অনান্য সংবাদপত্র ও নথি ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে তারা তথ্য প্রদানে (মৌখিকভাবে) ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা চাইলে শুনানি শেষে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় বাংলা একাডেমী ও ন্যাশনাল লাইব্রেরিকে তথ্য প্রদানের বিষয়টি নিষ্পত্তির পরামর্শ দেন আদালত। শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম আদালতকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের নায়ক জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধেও তদন্ত সংস্থা তদন্ত কাজ শেষ করেছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিগগিরই ট্রইব্যুনালে যথাযথ আবেদন করা হবে। এ সময় আদালতের 'ডকেটে' কারবন্দি জামায়াতের চার নেতা উপস্থিত ছিলেন।
No comments