প্রধানমন্ত্রী আইভীকে দেখেই বললেন ‘বাপের বেটি’
নারায়ণগঞ্জের নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গণভবনে দেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ‘বাপের বেটি’। আইভীকে তিনি জড়িয়ে ধরলেন। দোয়া করলেন। সব রকম সহায়তারও আশ্বাস দিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
পিতা ও কন্যার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ১৯৭৪ সালে আলী আহাম্মেদ চুনকা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলের সমর্থন চেয়ে পাননি। বঙ্গবন্ধু তাঁকে দোয়া করলেন। পরে বিজয়ী হয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ৩৬ বছর পর তাঁর কন্যা আইভীও দলের সমর্থন পাননি। তবে বাবার মতোই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে গতকাল তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
রাত আটটায় আইভী গণভবনে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাইফুজ্জামানসহ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল দুই ছেলে সীমান্ত ও অনন্ত। এ ছাড়া আইভীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারাও ছিলেন। তবে আইভী গণভবনে প্রবেশ করার ঘণ্টা খানেক আগে সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমান এসে উপস্থিত হন।
১৫ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রী আইভীকে ডেকে নেন। প্রথমে তাঁরা দুজন একান্তে কথা বলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শামীমকেও ডেকে নেন। রাত নয়টায় প্রধানমন্ত্রী আইভী ও শামীমকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই আইভীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর আইভী এবং পরে তাঁর দুই ছেলে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশে আইভী বসেন। তাঁর ডান পাশের সারিতে নারায়ণগঞ্জের নেতারা এবং বাম পাশের সারির একটি চেয়ারে শামীম ওসমান বসেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরাই ফার্স্ট সেকেন্ড। অন্য কারও পাত্তা নেই। তোমরা দেখিয়ে দিয়েছ। এখন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। সে নির্বাচন ছিল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বলেই এ রকম একটা নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সারা জীবন স্বপ্ন দেখেছি, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে। জনগণের ক্ষমতায়ন হবে। কারণ, জনগণের ক্ষমতায়ন না হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় না। দেশে এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে।
পরে মেয়র আইভী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শান্তির বার্তা নিয়ে যাচ্ছি। তিনি আমাকে দোয়া করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে আমার ক্ষোভ নেই, ছিলও না। নেত্রীর দোয়া সব সময় ছিল। যা হয়েছে, হয়েছে। এখন একসঙ্গে কাজ করব।
পরে সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘরে ঢুকতেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন ‘বাপের বেটি’। তিনি আমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আইভী জানান, শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি নির্বাচনের পুরো সময়টা গভীরভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তিনি দেখেছেন, তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। আইভী বলেন, নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাজনীতির বিবেচনায় খুবই পরিপক্ব ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আইভী বলেছিলেন, জনতাই তাঁর সেনাবাহিনী।
রাত আটটায় আইভী গণভবনে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাইফুজ্জামানসহ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল দুই ছেলে সীমান্ত ও অনন্ত। এ ছাড়া আইভীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারাও ছিলেন। তবে আইভী গণভবনে প্রবেশ করার ঘণ্টা খানেক আগে সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমান এসে উপস্থিত হন।
১৫ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রী আইভীকে ডেকে নেন। প্রথমে তাঁরা দুজন একান্তে কথা বলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শামীমকেও ডেকে নেন। রাত নয়টায় প্রধানমন্ত্রী আইভী ও শামীমকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই আইভীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর আইভী এবং পরে তাঁর দুই ছেলে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশে আইভী বসেন। তাঁর ডান পাশের সারিতে নারায়ণগঞ্জের নেতারা এবং বাম পাশের সারির একটি চেয়ারে শামীম ওসমান বসেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরাই ফার্স্ট সেকেন্ড। অন্য কারও পাত্তা নেই। তোমরা দেখিয়ে দিয়েছ। এখন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। সে নির্বাচন ছিল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বলেই এ রকম একটা নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সারা জীবন স্বপ্ন দেখেছি, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে। জনগণের ক্ষমতায়ন হবে। কারণ, জনগণের ক্ষমতায়ন না হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় না। দেশে এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে।
পরে মেয়র আইভী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শান্তির বার্তা নিয়ে যাচ্ছি। তিনি আমাকে দোয়া করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে আমার ক্ষোভ নেই, ছিলও না। নেত্রীর দোয়া সব সময় ছিল। যা হয়েছে, হয়েছে। এখন একসঙ্গে কাজ করব।
পরে সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘরে ঢুকতেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেন ‘বাপের বেটি’। তিনি আমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আইভী জানান, শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি নির্বাচনের পুরো সময়টা গভীরভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তিনি দেখেছেন, তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। আইভী বলেন, নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাজনীতির বিবেচনায় খুবই পরিপক্ব ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আইভী বলেছিলেন, জনতাই তাঁর সেনাবাহিনী।
No comments