আকরামের পদত্যাগে আ'লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশ by এমএ খান মিঠু,
সাবেক সাংসদ এসএম আকরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, দুঃসময়ে যিনি দলের হাল ধরেছিলেন এমন একজন দক্ষ সংগঠক খুবই প্রয়োজন। এসব নেতাকর্মী মনে করেন, দলের স্বার্থেই তাকে মূল্যায়ন করা উচিত। নইলে আগামীতে বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে। এসএম আকরামের পদত্যাগে তার রাজনৈতিক সহকর্মী এবং অনুসারী নেতাকর্মীরা খুব দুঃখ পেয়েছেন। বিষয়টি তারা
মেনে নিতে পারছেন না। তারা এখন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। এদিকে পদত্যাগ করার জন্য এ সময়টাই
মোক্ষম ছিল বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য পদত্যাগী আহ্বায়ক এসএম আকরাম। তা না হলে তাকে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। এ সময় পদত্যাগ না করলে তার কথা কেন্দ্র কোনোভাবেই
শুনত না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সমর্থন বঞ্চিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে কাজ করে তার বিজয়ের পরপরই পদত্যাগ করাটাকেই শ্রেয় মনে করেছেন এসএম আকরাম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে
সমকালের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে সাবেক এ সাংসদ তার ক্ষোভ আর দুঃখের কথা জানান।
অন্যদিকে এসএম আকরামের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার মিত্র হিসেবে পরিচিত সাংসদ সারাহ বেগম কবরী বলেছেন, এসএম আকরামকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। তার স্থানে থাকলে যে কেউই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিত। তিনি দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি অথবা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী কোনোভাবেই ভালো কাজ করতে পারবেন না।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে এসএম আকরাম বলেন, তিনি নিজেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেননি। কারণ আলোচনা করলে তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা তাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে দিতেন না। তিনিও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না বলে জানান।
সমকালের এক প্রশ্নের জবাবে এসএম আকরাম জানান, ২০০১ সালে জেলা আহ্বায়কের দায়িত্বভার গ্রহণের পর ১০ বছর অতিবাহিত হলেও কেন্দ্রের যথাযথ সহযোগিতা না থাকায় তিনি জেলার সম্মেলন করতে পারেননি। এছাড়া স্থানীয় দ্বন্দ্ব এবং রেষারেষির কারণে তিনি সোনারগাঁ এবং রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের কমিটিও গঠন করতে পারেননি। এগুলোকে তিনি তার ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে চান বলে জানান।
এসএম আকরামের পদত্যাগে ব্যথিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সারাহ বেগম কবরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আকরাম সাহেব তার উপলব্ধি থেকেই পদত্যাগ করেছেন। কারণ দল তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া যেত। এসব বিষয়ে দল কখনও আমার সঙ্গেও আলোচনা করেনি। শুধু তাকে নয়, দলের শহর কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীই মূল্যায়িত হননি। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনোয়ার হোসেনকে শামীম ওসমান মারধর করলেও দলের কোনো পর্যায় থেকে এ ঘৃণ্য ঘটনার বিচারের ব্যবস্থা করা বা দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করা হয়নি।
কবরী বলেন, শামীম ওসমানরা তাকেও সঠিকভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি ফতুল্লার সাংসদ। অথচ তাকে দলের কোনো সভায় ডাকা হয় না। তিনি অভিযোগ করেন, শামীম ওসমানরা কেন্দ্রে প্রচার করে তারাই নারায়ণগঞ্জের সব। শামীম ওসমানও কোনো নেতার মূল্যায়ন করেননি। শামীম ওসমানরা ৩ ভাই নারায়ণগঞ্জকে কুক্ষিগত করে রেখেছে বলে মনে করেন কবরী। তিনি বলেন, সেলিম ওসমান জোর করে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি হয়েছেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোতে বিভাজন তৈরি করে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কবরী বলেন, দল এসএম আকরাম, আনোয়ার ও আইভীকে মূল্যায়ন না করলেও তিনি তাদের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছেন। এসএম আকরামের নির্বাচনী এলাকা বন্দরে গিয়ে তিনি তার পক্ষে কথা বলেছেন। তার অনেক অনুষ্ঠানে এসএম আকরাম, আনোয়ার হোসেন এবং আইভীকে সভাপতিত্ব করতে দিয়েছেন।
শামীম ওসমানের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, শামীম ওসমান দলের কোনো পদে না থাকলেও দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করায় দলের বদনাম হয়েছে। তাই এ নির্বাচনে মানুষ তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
কবরী বলেন, শামীম ওসমানরা ৭ বছর পালিয়ে থেকে এখন দেশে ফিরে আবারও ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। তাদের কাছ থেকে রাজনীতিকে বাঁচাতে হলে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এ সাংসদ।
এদিকে এসএম আকরামের পদত্যাগের ব্যাপারে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে আলাপ না করে এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছি। এখন এ ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই বলে এভাবে পদ ছেড়ে যাওয়া কেন। তার এ সিদ্ধান্তে আমরা সবাই ব্যথিত।
মোক্ষম ছিল বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য পদত্যাগী আহ্বায়ক এসএম আকরাম। তা না হলে তাকে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। এ সময় পদত্যাগ না করলে তার কথা কেন্দ্র কোনোভাবেই
শুনত না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সমর্থন বঞ্চিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে কাজ করে তার বিজয়ের পরপরই পদত্যাগ করাটাকেই শ্রেয় মনে করেছেন এসএম আকরাম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে
সমকালের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে সাবেক এ সাংসদ তার ক্ষোভ আর দুঃখের কথা জানান।
অন্যদিকে এসএম আকরামের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার মিত্র হিসেবে পরিচিত সাংসদ সারাহ বেগম কবরী বলেছেন, এসএম আকরামকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। তার স্থানে থাকলে যে কেউই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিত। তিনি দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি অথবা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী কোনোভাবেই ভালো কাজ করতে পারবেন না।
পদত্যাগ প্রসঙ্গে এসএম আকরাম বলেন, তিনি নিজেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেননি। কারণ আলোচনা করলে তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা তাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে দিতেন না। তিনিও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না বলে জানান।
সমকালের এক প্রশ্নের জবাবে এসএম আকরাম জানান, ২০০১ সালে জেলা আহ্বায়কের দায়িত্বভার গ্রহণের পর ১০ বছর অতিবাহিত হলেও কেন্দ্রের যথাযথ সহযোগিতা না থাকায় তিনি জেলার সম্মেলন করতে পারেননি। এছাড়া স্থানীয় দ্বন্দ্ব এবং রেষারেষির কারণে তিনি সোনারগাঁ এবং রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের কমিটিও গঠন করতে পারেননি। এগুলোকে তিনি তার ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে চান বলে জানান।
এসএম আকরামের পদত্যাগে ব্যথিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সারাহ বেগম কবরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আকরাম সাহেব তার উপলব্ধি থেকেই পদত্যাগ করেছেন। কারণ দল তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া যেত। এসব বিষয়ে দল কখনও আমার সঙ্গেও আলোচনা করেনি। শুধু তাকে নয়, দলের শহর কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীই মূল্যায়িত হননি। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনোয়ার হোসেনকে শামীম ওসমান মারধর করলেও দলের কোনো পর্যায় থেকে এ ঘৃণ্য ঘটনার বিচারের ব্যবস্থা করা বা দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করা হয়নি।
কবরী বলেন, শামীম ওসমানরা তাকেও সঠিকভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি ফতুল্লার সাংসদ। অথচ তাকে দলের কোনো সভায় ডাকা হয় না। তিনি অভিযোগ করেন, শামীম ওসমানরা কেন্দ্রে প্রচার করে তারাই নারায়ণগঞ্জের সব। শামীম ওসমানও কোনো নেতার মূল্যায়ন করেননি। শামীম ওসমানরা ৩ ভাই নারায়ণগঞ্জকে কুক্ষিগত করে রেখেছে বলে মনে করেন কবরী। তিনি বলেন, সেলিম ওসমান জোর করে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি হয়েছেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোতে বিভাজন তৈরি করে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কবরী বলেন, দল এসএম আকরাম, আনোয়ার ও আইভীকে মূল্যায়ন না করলেও তিনি তাদের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছেন। এসএম আকরামের নির্বাচনী এলাকা বন্দরে গিয়ে তিনি তার পক্ষে কথা বলেছেন। তার অনেক অনুষ্ঠানে এসএম আকরাম, আনোয়ার হোসেন এবং আইভীকে সভাপতিত্ব করতে দিয়েছেন।
শামীম ওসমানের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, শামীম ওসমান দলের কোনো পদে না থাকলেও দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করায় দলের বদনাম হয়েছে। তাই এ নির্বাচনে মানুষ তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
কবরী বলেন, শামীম ওসমানরা ৭ বছর পালিয়ে থেকে এখন দেশে ফিরে আবারও ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। তাদের কাছ থেকে রাজনীতিকে বাঁচাতে হলে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এ সাংসদ।
এদিকে এসএম আকরামের পদত্যাগের ব্যাপারে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে আলাপ না করে এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছি। এখন এ ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই বলে এভাবে পদ ছেড়ে যাওয়া কেন। তার এ সিদ্ধান্তে আমরা সবাই ব্যথিত।
No comments