'আসল' আর বাংলাদেশের বড় ম্যাচ
ইরাক না সৌদি আরব? এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের এ দুই দল নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধারণা। কেউ ইরাকের গতি ও ট্যাকিটকসে মুগ্ধ, কেউ বা সৌদি আরবে। মুগ্ধতা তাদের গ্রুপ ম্যাচগুলো দেখে, প্রতিপক্ষের জালে গোলোৎসবের সুবাদে। আবার সেই গোলের জায়গায়ও সমতা, নিজেদের গত তিন ম্যাচে দুই দলই করেছে ১৯টি করে গোল। অর্থাৎ এখনো তারা সমানে সমান, এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না কাউকে। তাই আজ হবে ইরাক-সৌদি আরবের গ্রুপসেরা নির্ধারণের ম্যাচ। মানুষের ধারণা মিলিয়ে নেওয়ার ম্যাচ। বিকেল ৪টায় এ ম্যাচের পরই সন্ধ্যা ৭টায় স্বাগতিকরা শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ওমানের।
বাংলাদেশ নামবে গ্রুপে তৃতীয় হওয়ার জন্য, যদিও বাস্তব প্রেক্ষাপটে এ বড় কঠিন চাওয়া।ওমান ও বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন ম্যাচে একটি করে জয়। তৃতীয় হতে গেলে বাংলাদেশের জয় ছাড়া অন্য চিন্তা করার সুযোগ নেই। তবে হারালেই যে বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে পেঁৗছাতে পারবে, এমন গ্যারান্টি নেই। বাছাই পর্বে ৭ গ্রুপের তৃতীয় দলগুলোর মধ্য থেকে সেরা দুটো দল যাবে চূড়ান্ত পর্বে। সেরা বাছতে গেলে গোলের হিসাব-নিকাশ হবে, সেখানে ইরাক ও সৌদি আরবে বিধ্বস্ত হয়ে স্বাগতিকরা গোল গড়ে (৩/১০) পিছিয়ে পড়েছে অনেকখানি। তবে এটা ঠিক, এত সব হিসাবে যাওয়ার আগে জিততে হবে। তাই খেলোয়াড়দের প্রতি বাংলাদেশের কোচ ইলিয়েভস্কির কথা, 'ওমানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দিতে হবে খেলোয়াড়দের। আমি সব সময়ের মতো এই ম্যাচেও মাঠে নামব জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে।' তবে এই প্রত্যাশা যে বাস্তবসম্মত নয়, সেটা তাঁর কথাতেই বোঝা গেল, 'এ রকম দলের সঙ্গে বড় স্বপ্ন দেখাটা কঠিন। তার পরও চেষ্টা করতে হবে।'
ইরাক-সৌদি আরবের ম্যাচে অবশ্য এ রকম কোনো হিসাব নেই। তিন ম্যাচ করে জিতে তারা চূড়ান্ত পর্বে পা রেখে আজ লড়বে নিজেদের ফুটবল ঐতিহ্যের শির উন্নত রাখতে। ইরাকি যুব দল এ টুর্নামেন্ট জিতেছে পাঁচবার অথচ নিজেদের দেশে বলতে গেলে ফুটবল চর্চাই হয়ই না এখন। বোমা-হামলার ভয়ে তাদের ফুটবল হয়েছে কাতার প্রবাসী। প্র্যাকটিসসহ ইরাকের যাবতীয় ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড হয় ওখানেই! আর দুবার এ টুর্নামেন্টজয়ী সৌদি আরব ফুটবল উন্নয়নে সঙ্গী করেছে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডসহ অনেক ব্রাজিলিয়ান কোচকে। সৌদি যুব দল এখানে এসেছে অবশ্য দেশি কোচ নিয়েই। দুই দলের খেলায় পার্থক্য উনিশ-বিশ। তবে নিরপেক্ষ দর্শক হয়ে ইলিয়েভস্কি টেকনিক ও ট্যাকটিকসে একটুখানি এগিয়ে রাখতে চাইছেন ইরাককে, 'তাদের খেলোয়াড়দের ক্ষমতা এবং আক্রমণের বৈচিত্র্য অনেক বেশি। সৌদি আরবেও কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। তাদেরও ম্যাচ ঘোরানোর ক্ষমতা আছে।' সুতরাং এত দিনের অসম লড়াইয়ের পর ঢাকায় ইরাক-সৌদি 'যুদ্ধ'টাই হতে পারে দারুণ উপভোগ্য।
ইরাক-সৌদি আরবের ম্যাচে অবশ্য এ রকম কোনো হিসাব নেই। তিন ম্যাচ করে জিতে তারা চূড়ান্ত পর্বে পা রেখে আজ লড়বে নিজেদের ফুটবল ঐতিহ্যের শির উন্নত রাখতে। ইরাকি যুব দল এ টুর্নামেন্ট জিতেছে পাঁচবার অথচ নিজেদের দেশে বলতে গেলে ফুটবল চর্চাই হয়ই না এখন। বোমা-হামলার ভয়ে তাদের ফুটবল হয়েছে কাতার প্রবাসী। প্র্যাকটিসসহ ইরাকের যাবতীয় ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড হয় ওখানেই! আর দুবার এ টুর্নামেন্টজয়ী সৌদি আরব ফুটবল উন্নয়নে সঙ্গী করেছে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডসহ অনেক ব্রাজিলিয়ান কোচকে। সৌদি যুব দল এখানে এসেছে অবশ্য দেশি কোচ নিয়েই। দুই দলের খেলায় পার্থক্য উনিশ-বিশ। তবে নিরপেক্ষ দর্শক হয়ে ইলিয়েভস্কি টেকনিক ও ট্যাকটিকসে একটুখানি এগিয়ে রাখতে চাইছেন ইরাককে, 'তাদের খেলোয়াড়দের ক্ষমতা এবং আক্রমণের বৈচিত্র্য অনেক বেশি। সৌদি আরবেও কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। তাদেরও ম্যাচ ঘোরানোর ক্ষমতা আছে।' সুতরাং এত দিনের অসম লড়াইয়ের পর ঢাকায় ইরাক-সৌদি 'যুদ্ধ'টাই হতে পারে দারুণ উপভোগ্য।
No comments