বেঁধে দেওয়া হলো কাঁচা লবণের দাম-চাষিদের কাছ থেকে চার টাকা কেজি দরে কিনতে হবে * তদারক করবে বিসিক by ফারজানা লাবনী
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চাষিদের কাছ থেকে দেশীয় কাঁচা লবণ কিনতে হবে। আসন্ন মৌসুমে প্রতি কেজি দেশীয় কাঁচা লবণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে চার টাকা। নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে যাতে মিলমালিক বা মধ্যস্বত্বভোগীরা চাষিদের কাছ থেকে লবণ কিনতে না পারে, তা তদারক করবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক)। গতকাল বিসিকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।বিসিক, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ পণ্যের দাম নির্ধারণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটি গত তিন মাস আলোচনা করে দেশি কাঁচা লবণের এ দাম নির্ধারণ করে।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এদাম কার্যকর হতে পারে বলে বিসিক কর্মকর্তারা জানান।শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। অথচ তাঁদের কাছ থেকে কেনা লবণ ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এই বৈষম্য দূর করতেই শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রান্তিক চাষিপর্যায়ে লবণের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দাম নির্ধারণের পর চাষিরা লবণের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে কি-না, তা পর্যবেক্ষণে বিসিক থেকে তদারকি কমিটি থাকবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিয়াজুল হক বলেন, লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় গত মৌসুমে লবণের চাষ কম হয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে লবণ চাষের ব্যাপক প্রস্তুতি দেখা যায় চাষিদের মধ্যে; কিন্তু এবারে তা দেখা যাচ্ছে না। চাষিদের লবণ চাষে উৎসাহী করতে লবণের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে আসন্ন মৌসুমে দেরিতে হলেও চাষিরা লবণ চাষে আগ্রহী হবেন বলে এ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন। বিসিকের প্রকল্প বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হারুন উর রশিদ জানান, তিন মাস থেকে লবণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে লবণের দাম নির্ধারণে গঠিত কমিটি একাধিক বৈঠক করে। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে বিসিকের কর্মকর্তারা চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এভাবে নানা হিসাব কষে মাঠ ও পলিথিন পদ্ধতিতে উৎপাদিত প্রতি কেজি দেশীয় লবণের দাম প্রান্তিক পর্যায়ে চার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাঁশখালী এলাকার লবণচাষি একরাম আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে আমরা লবণ বিক্রি করতে বাধ্য হই। এতে লোকসান হয়। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলে চাষিরা লবণ চাষে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি জানান।
তবে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মোনাফ। তিনি বলেন, সরবরাহের ওপর নির্ভর করে লবণের দাম। চাষিদের উৎপাদন কম হলে দাম বেশি থাকে। আবার লবণ চাষ বেশি হলে মিল মালিকরা কম দামে কেনেন। তাই লবণের দাম নির্ধারণ করে দিলে লবণ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বিসিকে নিবন্ধিত লবণ কারখানার সংখ্যা ৩০২টি। এর মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে ৪৫টি কারখানায় লবণ উৎপাদন হয়। সারা দেশে বছরে লবণ চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ টন। গত বছরের আগের বছর ১৫-১৬ লাখ টন লবণ উৎপাদন হলেও গত মৌসুমে ১৩ লাখ টন উৎপাদন হয়। চলতি বছর আট লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার লবণচাষি রয়েছেন। অধিকাংশ লবণ চাষ হয় চট্টগ্রাম ও কঙ্বাজার এলাকায় ।
গেইন-এর বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, চাষিরা পলিথিন বা মাঠপদ্ধতিতে লবণ চাষ করেন। মাঠপদ্ধতিতে প্রতি কেজি লবণ উৎপাদনে খরচ হয় দুই টাকা; কিন্তু পলিথিনপদ্ধতিতে তিন টাকা ব্যয় হয়। মিল মালিকরা ওয়াশিং ও আধুনিকপদ্ধতিতে লবণ প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করেন। ওয়াশিং পদ্ধতিতে খরচ হয় সাত-আট টাকা এবং আধুনিকপদ্ধতিতে ব্যয় হয় ১০ থেকে ১২ টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিয়াজুল হক বলেন, লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় গত মৌসুমে লবণের চাষ কম হয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে লবণ চাষের ব্যাপক প্রস্তুতি দেখা যায় চাষিদের মধ্যে; কিন্তু এবারে তা দেখা যাচ্ছে না। চাষিদের লবণ চাষে উৎসাহী করতে লবণের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে আসন্ন মৌসুমে দেরিতে হলেও চাষিরা লবণ চাষে আগ্রহী হবেন বলে এ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন। বিসিকের প্রকল্প বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হারুন উর রশিদ জানান, তিন মাস থেকে লবণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে লবণের দাম নির্ধারণে গঠিত কমিটি একাধিক বৈঠক করে। সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে বিসিকের কর্মকর্তারা চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এভাবে নানা হিসাব কষে মাঠ ও পলিথিন পদ্ধতিতে উৎপাদিত প্রতি কেজি দেশীয় লবণের দাম প্রান্তিক পর্যায়ে চার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাঁশখালী এলাকার লবণচাষি একরাম আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে আমরা লবণ বিক্রি করতে বাধ্য হই। এতে লোকসান হয়। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলে চাষিরা লবণ চাষে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি জানান।
তবে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মোনাফ। তিনি বলেন, সরবরাহের ওপর নির্ভর করে লবণের দাম। চাষিদের উৎপাদন কম হলে দাম বেশি থাকে। আবার লবণ চাষ বেশি হলে মিল মালিকরা কম দামে কেনেন। তাই লবণের দাম নির্ধারণ করে দিলে লবণ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বিসিকে নিবন্ধিত লবণ কারখানার সংখ্যা ৩০২টি। এর মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে ৪৫টি কারখানায় লবণ উৎপাদন হয়। সারা দেশে বছরে লবণ চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ টন। গত বছরের আগের বছর ১৫-১৬ লাখ টন লবণ উৎপাদন হলেও গত মৌসুমে ১৩ লাখ টন উৎপাদন হয়। চলতি বছর আট লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার লবণচাষি রয়েছেন। অধিকাংশ লবণ চাষ হয় চট্টগ্রাম ও কঙ্বাজার এলাকায় ।
গেইন-এর বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, চাষিরা পলিথিন বা মাঠপদ্ধতিতে লবণ চাষ করেন। মাঠপদ্ধতিতে প্রতি কেজি লবণ উৎপাদনে খরচ হয় দুই টাকা; কিন্তু পলিথিনপদ্ধতিতে তিন টাকা ব্যয় হয়। মিল মালিকরা ওয়াশিং ও আধুনিকপদ্ধতিতে লবণ প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করেন। ওয়াশিং পদ্ধতিতে খরচ হয় সাত-আট টাকা এবং আধুনিকপদ্ধতিতে ব্যয় হয় ১০ থেকে ১২ টাকা।
No comments