অর্থমন্ত্রী বললেন-যুবকের সম্পত্তি বিক্রি করেই 'প্রতারিত'দের টাকা দেওয়া হবে

ন্ধ হয়ে যাওয়া যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) বিনিয়োগকারীদের পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি জানান, যুবকের সম্পত্তি বিক্রি করেই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে কমিশন। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও সামান্য ছাড় দিতে হবে।গতকাল মঙ্গলবার যুবক কমিশনের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মামলা-মোকদ্দমা করে দাবি আদায় করা যায় না উল্লেখ করে মুহিত বলেন, সালিস নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করা হলে পাওনাদাররা কিছু অর্থ হয়তো কম পাবেন।


কিন্তু মামলা করলে তা দীর্ঘমেয়াদে ঝুলে যাবে। তবে প্রতারিত মানুষকে সহায়তা করাই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
প্রতারণার অভিযোগে ২০০৬ সালে যুবকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতারণার অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশেই ২০১০ সালের জানুয়ারিতে গঠন করা হয় 'যুবক কমিশন'।
রাতারাতি বড়লোক হওয়ার জন্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে 'হায় হায়' কম্পানি জন্ম নেয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এদের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এখন হায় হায় কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশে আর কোনো হায় হায় কম্পানির লাইসেন্স দেওয়া হবে না।
যুবক 'হায় হায়' কম্পানি নয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তারা গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সম্পদ করেছে। তাদের ওই সম্পদ থেকেই গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, চেয়ারম্যান বলেছেন, যুবকের প্রতারিত গ্রাহকরা প্রতিনিয়তই টাকার জন্য এসে ভিড় করে থাকে। গ্রাহকরা যত দ্রুত টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে, এত তাড়াতাড়ি তো টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়।
যুবকের কর্মকর্তারা মামলার কারণে পালিয়ে আছেন উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, মামলার কারণে তাঁরাও কিছু করতে পারছেন না। তবে চেয়ারম্যান বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলুক। একই সঙ্গে সালিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পরে। এ কাজে যুবকও কোনো উপায় বাতলে দিতে পারে।
অর্থমন্ত্রী জানান, কমিশন সুষ্ঠুভাবে তার দায়িত্ব পালনের জন্য যে কারো সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। কবে কোন পদ্ধতিতে টাকা ফেরত দেওয়া হবে, তা নিয়ে আরো কিছু চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জানান, দুই বছরের মধ্যে কমিশনের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু কাজ শুরু করতেই ছয় মাস লেগে গেছে। এ কারণে কমিশনের সদস্যরা আরো ছয় মাস সময় বাড়াতে বলেছেন।
দুই বছর মেয়াদী কমিশনের এত দিন অফিস ও জনবল সংকট ছিল। সম্প্রতি হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে অফিস ও কিছু জনবল পেয়েছে কমিশন।

No comments

Powered by Blogger.