জনগণের মনোভাব বুঝতে চাইছে বিএনপি-ঈদের পর স্থায়ী কমিটির বৈঠক by মোশাররফ বাবলু ও শফিক সাফি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের (নাসিক) শেষ মুহূর্তে তৈমূর আলম খন্দকারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ঠিক হয়েছে কি না তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে ঈদের পর দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। নাসিক নির্বাচনের পর দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলে তিনি এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মনোভাব জানতে চেয়েছেন।
অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী জয়ী হওয়ায় খালেদা জিয়া নেতাদের প্রশ্ন করেন, 'দেশের জনগণ কী চাইছে সেদিকে কি আপনাদের খেয়াল আছে? যত অর্থ-ক্ষমতা, প্রভাব প্রতিপত্তিই থাকুক না কেন, জনগণ না চাইলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সবাইকে কাজ করার জন্য বলুন। তাদের সেন্টিমেন্ট কী তা খুঁজে বের করে সে ধরনের কর্মসূচি প্রণয়ন করুন।' খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করা নেতাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জে ভোট শেষ হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা গুলশান কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমানসহ বেশ কয়েকজন চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।
সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহার পরের সপ্তাহেই স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকবেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে মূল আলোচ্যসূচির
মধ্যে থাকবে_মানুষ কী চাইছে সে সম্পর্কে জানা এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি দেওয়া। স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে নারায়ণগঞ্জসহ যেসব জেলায় কর্মসূচি দেওয়া হবে সেসব জেলার নেতাদের কাছে তৃণমূল পর্যায়ের অবস্থা জানতে তাঁদের গুলশানের কার্যালয়ে ডাকা হবে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে রোডমার্চসহ বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি কতটুকু সফল হয়েছে এবং তা নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মনোভাব কী তাও পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি করবে বিএনপি। এর আগে চলতি মাসের শেষের দিকে কিংবা আগামী মাসে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ করতে চায় দলটি। এ ছাড়া বরিশাল ও রংপুর বিভাগ অভিমুখে রোডমার্চ করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করবেন খালেদা জিয়া। দেশের সব বিভাগ অভিমুখে রোডমার্চ করার পর 'ঢাকা চলো', 'ঢাকা ঘেরাও' ইত্যাদি কর্মসূচি নেওয়া হবে কি না তা নিয়েও আলোচনা হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করতে চান বিএনপি প্রধান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, নাসিক নির্বাচনে জনগণ প্রমাণ করেছে তারা পেশিশক্তি, চাঁদাবাজদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। আর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যেসব দাবি উত্থাপন করেছে তা যৌক্তিক প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক ও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। সে ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের বিষয়টিও আসবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে আমাদের প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো ছিল রাজনৈতিক কৌশল। নারায়ণগঞ্জে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হয় আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।' কিভাবে সঠিক হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে আন্দোলনের রূপরেখা দেখেই বুঝতে পারবেন।' তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না, কারণ কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। নাসিক নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে। আমাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে হান্নান শাহ বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতে একই দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিভাগে রোডমার্চ হবে। এর আগে খুলনায় রোডমার্চ হতে পারে।'
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক বলেন, একটা আন্দোলন করতে গেলে জনগণের মনোভাব কী তা বোঝা যায়। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেখবে তারা কী চাইছে। সেভাবেই কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে যশোর থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি জানান, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ঢাকা থেকে খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ হতে পারে। দিনক্ষণ ও রুট এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া। এ রোডমার্চে চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলের শীর্ষ নেতারাও অংশ নেবেন।
যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে গত রবিবার বিএনপির বিভাগীয় নেতাদের এক বৈঠকে খুলনা বিভাগের রোডমার্চ সফল করা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন নেতারা বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে দিন-তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। তবে সম্ভাব্য তারিখ ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর হতে পারে। রুট চূড়ান্ত করা হয়নি। নেতারা বলেন, ঢাকা থেকে যমুনা সেতু হয়ে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও যশোরের ওপর দিয়ে খুলনায় রোডমার্চ আসতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমানসহ খুলনা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের নেতারা।
নারায়ণগঞ্জে ভোট শেষ হওয়ার পর গতকাল পর্যন্ত দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা গুলশান কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমানসহ বেশ কয়েকজন চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।
সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহার পরের সপ্তাহেই স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকবেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে মূল আলোচ্যসূচির
মধ্যে থাকবে_মানুষ কী চাইছে সে সম্পর্কে জানা এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি দেওয়া। স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে নারায়ণগঞ্জসহ যেসব জেলায় কর্মসূচি দেওয়া হবে সেসব জেলার নেতাদের কাছে তৃণমূল পর্যায়ের অবস্থা জানতে তাঁদের গুলশানের কার্যালয়ে ডাকা হবে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিলেট ও রাজশাহী বিভাগে রোডমার্চসহ বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি কতটুকু সফল হয়েছে এবং তা নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মনোভাব কী তাও পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি করবে বিএনপি। এর আগে চলতি মাসের শেষের দিকে কিংবা আগামী মাসে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ করতে চায় দলটি। এ ছাড়া বরিশাল ও রংপুর বিভাগ অভিমুখে রোডমার্চ করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করবেন খালেদা জিয়া। দেশের সব বিভাগ অভিমুখে রোডমার্চ করার পর 'ঢাকা চলো', 'ঢাকা ঘেরাও' ইত্যাদি কর্মসূচি নেওয়া হবে কি না তা নিয়েও আলোচনা হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করতে চান বিএনপি প্রধান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, নাসিক নির্বাচনে জনগণ প্রমাণ করেছে তারা পেশিশক্তি, চাঁদাবাজদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। আর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যেসব দাবি উত্থাপন করেছে তা যৌক্তিক প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক ও সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। সে ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের বিষয়টিও আসবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে আমাদের প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো ছিল রাজনৈতিক কৌশল। নারায়ণগঞ্জে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হয় আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।' কিভাবে সঠিক হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে আন্দোলনের রূপরেখা দেখেই বুঝতে পারবেন।' তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না, কারণ কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। নাসিক নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে। আমাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে হান্নান শাহ বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে। ভবিষ্যতে একই দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিভাগে রোডমার্চ হবে। এর আগে খুলনায় রোডমার্চ হতে পারে।'
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক বলেন, একটা আন্দোলন করতে গেলে জনগণের মনোভাব কী তা বোঝা যায়। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেখবে তারা কী চাইছে। সেভাবেই কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে যশোর থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি জানান, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ঢাকা থেকে খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ হতে পারে। দিনক্ষণ ও রুট এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া। এ রোডমার্চে চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলের শীর্ষ নেতারাও অংশ নেবেন।
যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে গত রবিবার বিএনপির বিভাগীয় নেতাদের এক বৈঠকে খুলনা বিভাগের রোডমার্চ সফল করা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন নেতারা বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে দিন-তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। তবে সম্ভাব্য তারিখ ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর হতে পারে। রুট চূড়ান্ত করা হয়নি। নেতারা বলেন, ঢাকা থেকে যমুনা সেতু হয়ে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও যশোরের ওপর দিয়ে খুলনায় রোডমার্চ আসতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমানসহ খুলনা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের নেতারা।
No comments