পরিকল্পনার ছাপটা থাকুক আজকের ব্যাটিংয়ে by সাইদুজ্জামান
বল বাউন্ডারিতে গেলেই জোর হাততালি।আউট হলে অশ্রাব্য গালাগাল। সঙ্গে কটূক্তি_ব্যাটা এত মারতে যাচ ক্যান অথবা আউট যখন হবি-ই তো মেরে আউট হ!সাধারণ দর্শকের এ ক্রিকেটসত্তা জানেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। আর তাঁদের মাঠের ক্রিকেট দেখে অনাদিকাল থেকে এ দেশে ক্রিকেট শেখাতে আসা বিদেশি কোচদের অভিন্ন বিশ্বাস_প্রতিভা আছে। তবে প্রয়োগ ক্ষমতা নেই। গতকাল 'স্বপ্নের দিন'কে সামনে রেখে নাঈম ইসলামও জোর দিয়েছেন প্রয়োগ ক্ষমতার ওপর, 'এই উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ কিন্তু সেটি প্রয়োগ করে দেখাতে পারলাম না_তাহলে তো হবে না।'
তার মানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও জানেন কী করতে হবে! সেই মুদাসসর নজর থেকে আজকের স্টুয়ার্ট ল; সব কোচও একই মন্ত্রপাঠ করিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বিদেশি কোচ মুদাসসর যুগে শুধু ওয়ানডে খেলত বাংলাদেশ। সেটিও অনেকটা 'লিপ ইয়ার' ব্যবধানে! সে সময় পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিংই ছিল বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। সবশেষে স্টুয়ার্ট ল এসে দেখছেন টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার যুগপূর্তির কাছাকাছি এসেও পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। সেপ্টেম্বরে হারারে টেস্টের এক ইনিংস দেখেই বিরক্তিতে বলে ফেলেছিলেন, 'এত যে প্র্যাকটিস করছ, তাতে লাভটা কী হচ্ছে!' তা নিয়ে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। তবে মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনের ব্যাটিং বাদ দিলে টেস্টেও সেই মারকাটারি ব্যাটিং বাংলাদেশের!
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের ময়নাতদন্তে সরকারিভাবে যা 'হতাশাজনক' বলে জানিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ল। প্রকাশ্যে তো আর সবটুকু বলা যায় না। তবে ফিদেল এডওয়ার্ডসের প্রথম স্পেলে, আরো নির্দিষ্ট করে বললে মাত্র ২৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ায় বোলারের কৃতিত্বের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাত্রাই যে বেশি, সেটি সেদিনই স্বীকার করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। এডওয়ার্ডস-কেমার রোচরা জোরে বল করেন। তবে লাইন এবং লেন্থে মাঝেমধ্যে গোলমাল করেন। টেস্ট ম্যাচে যেসব বলের অপেক্ষায় ক্রিজে ওঁৎ পেতে থাকেন বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানই। তাই বলে অফস্টাম্পের দুই ফুট দূর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলের সন্ধানে জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট বাড়িয়ে দিতে হবে! যেখানে তিন স্লিপ আর গালি মিলে সামান্য টাইমিংয়ের হেরফেরে আসা ক্যাচ নেওয়ার অপেক্ষায় চার ক্যারিবীয় ফিল্ডার! প্রথম ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারিটা এভাবেই বেরিয়েছিল শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাট থেকে। আবার এর পুনরাবৃত্তিতে গালিতে ক্যাচও দিয়েছিলেন তিনি। সৌভাগ্য সে ক্যাচটি রাখতে পারেননি ফিল্ডার।
অবশ্য শাহরিয়ার নাফীস একা নন, বাজে বলের গন্ধ পেলে, তা সেটা শরীর থেকে যত দূরেই হোক না কেন, তাড়া করবেনই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ধারাভাষ্যকাররা বলেন। দল থেকেও দায়মুক্তির ছলে স্বীকার করা হয় যে ব্যাটসম্যানদের সবাই স্ট্রোক প্লেয়ার। শুনে মনে হয় বুঝি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরাই শুধু স্ট্রোক খেলেন! বিষয়টি তেমন নয়। সমস্যাটা আসলে অন্য জায়গায়। দীর্ঘ পরিসরে অনভ্যস্ততা, ম্যাচ পরিস্থিতি এবং অনিশ্চয়তা মিলিয়ে ক্রিজের ব্যাটসম্যান যেন সব ভুলে যান। টিম মিটিংয়ে ফিদেল এডওয়ার্ডসের বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছে। নতুন বলে বিপজ্জনক বোলার। প্রচণ্ড গতি আছে। পাঁজর লক্ষ্য করে বল ধেয়ে আসবে। আবার প্রথম স্পেলে সাফল্য না পেলে অনুপ্রেরণা এবং দম হারিয়ে ফেলবেন এ এডওয়ার্ডসই। সব জেনে-বুঝেও তাঁর প্রথম স্পেলেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। অথচ প্রথম ইনিংসে শুরুর ব্যাটসম্যানরা নাঈম ইসলামের মানসিকতা নিয়ে নামলে ম্যাচ পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে বাঁক নিলেও নিতে পারত, 'আমি ব্যাটিংয়ে নেমেছি, এটিই শুধু ভেবেছি বাজে বল ছাড়া আমি নিজে কোনো শটসে যাব না। যদি ওরা আমাকে বাজে বল দেয়, তাহলেই মারব। ওয়ানডেতে যেমন অনেক সময় বাজে বল না হলেও মারতে হয়, সেভাবে আমি খেলব না বলে ঠিক করে রেখেছি।'
অবশ্য সবাই নাঈম নন। আবার নাঈমও তামিম ইকবাল নন। মেজাজ অদল-বদল করলে দুজনেরই ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিন যে অবস্থায় শুরু হচ্ছে, তাতে আজ তামিমের সেঞ্চুরির চেয়ে নাঈমের রয়ে-সয়ে খেলার মূল্য কোনো অংশে কম নয়। প্রশ্নের উত্তরে শেষদিনে ৭ উইকেটে ৩৪৪ তুলে ম্যাচ জেতার কথাই আগে বলেছেন বটে নাঈম, তবে টেস্ট ক্রিকেটের সামান্য খোঁজখবরও যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানেন, ইতিহাসে এমনটা ঘটেনি। ইতিহাস সৃষ্টির অভিলাষ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই শুনিয়ে গেছেন নাঈম। যদিও ধরে নেওয়া যায়, এটা ড্রেসিংরুমকে উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা কিংবা লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্টই পড়েছেন শুধু এ ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
আহা, ড্রেসিংরুমে তৈরি স্ক্রিপ্ট ধরে ধরে যদি ব্যাটিং করতেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা! সেটি হয় না বলেই নাঈমের স্বপ্নের প্রতিধ্বনি শুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ওটিস গিবসনের ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি, 'আমি আমার নিজের দল সম্পর্কে বলতে পারি। আমার দল যে অবস্থায় আছে, তাতে আমি খুশি।' আরেকটু উসকে দিয়ে জানা গেল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মেজাজের কথা জেনেই ইনিংস ঘোষণাকে মোটেও বিলম্বিত মনে করছেন না তিনি, 'বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা রেকলেস!' 'রেকলেস' শব্দটার অনেক প্রতিশব্দ আছে। খেয়ালি, অমনোযোগী কিংবা বুনো_এর কোনোটিই টেস্ট ক্রিকেট উপযোগী নয়। টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে কিছু মূল্য থাকতে পারে!
এটাও জানেন ব্যাটসম্যানরা। তবু খেলে ফেলেন। কখনো ভয় তাড়াতে, কখনো বা বাজে ফর্ম থেকে বেরুতে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন ব্যাটসম্যান। এ দুটোর পেছনে ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা আছে। তবে ক্রিকেটপাড়ার জোর গুঞ্জনটা অস্বস্তিকর_দ্রুত কিছু রান তুলে দলে জায়গা টিকিয়ে রাখাই নাকি ব্যাটসম্যানদের মূল লক্ষ্য! আত্মতুষ্টিও গ্রাস করে অল্পতে। তবে কাল সে গুঞ্জনে কান না দিয়ে স্বপ্ন পূরণের পরিকল্পনা জানিয়েছেন নাঈম ইসলাম, 'এডওয়ার্ডস প্রথম ইনিংসে অনেক ভালো বোলিং করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে পরিকল্পনা ছিল, ওকে আক্রমণ না করে কোনোভাবে খেলে দেওয়া। এ ছাড়া অন্য যারা বোলার আছে, তারাও খারাপ না। তবে আউট হচ্ছে এক বলের ব্যাপার। যদি সব বলে সতর্ক থাকি, তাহলে ভালো হবে।'
জয়টা স্বপ্ন পূরণের চেয়েও বড় আনন্দ নিয়ে আসবে। তবে নাঈমের বলে যাওয়া ব্যাটিং পরিকল্পনা ক্রিজে ফুটিয়ে তোলাও কম বড় প্রাপ্তি হবে না। আনন্দের আতিশয্যে স্টুয়ার্ট ল দলকে 'ডিনার'ও দিতে পারেন!
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের ময়নাতদন্তে সরকারিভাবে যা 'হতাশাজনক' বলে জানিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ল। প্রকাশ্যে তো আর সবটুকু বলা যায় না। তবে ফিদেল এডওয়ার্ডসের প্রথম স্পেলে, আরো নির্দিষ্ট করে বললে মাত্র ২৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ায় বোলারের কৃতিত্বের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাত্রাই যে বেশি, সেটি সেদিনই স্বীকার করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। এডওয়ার্ডস-কেমার রোচরা জোরে বল করেন। তবে লাইন এবং লেন্থে মাঝেমধ্যে গোলমাল করেন। টেস্ট ম্যাচে যেসব বলের অপেক্ষায় ক্রিজে ওঁৎ পেতে থাকেন বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানই। তাই বলে অফস্টাম্পের দুই ফুট দূর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলের সন্ধানে জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট বাড়িয়ে দিতে হবে! যেখানে তিন স্লিপ আর গালি মিলে সামান্য টাইমিংয়ের হেরফেরে আসা ক্যাচ নেওয়ার অপেক্ষায় চার ক্যারিবীয় ফিল্ডার! প্রথম ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারিটা এভাবেই বেরিয়েছিল শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাট থেকে। আবার এর পুনরাবৃত্তিতে গালিতে ক্যাচও দিয়েছিলেন তিনি। সৌভাগ্য সে ক্যাচটি রাখতে পারেননি ফিল্ডার।
অবশ্য শাহরিয়ার নাফীস একা নন, বাজে বলের গন্ধ পেলে, তা সেটা শরীর থেকে যত দূরেই হোক না কেন, তাড়া করবেনই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ধারাভাষ্যকাররা বলেন। দল থেকেও দায়মুক্তির ছলে স্বীকার করা হয় যে ব্যাটসম্যানদের সবাই স্ট্রোক প্লেয়ার। শুনে মনে হয় বুঝি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরাই শুধু স্ট্রোক খেলেন! বিষয়টি তেমন নয়। সমস্যাটা আসলে অন্য জায়গায়। দীর্ঘ পরিসরে অনভ্যস্ততা, ম্যাচ পরিস্থিতি এবং অনিশ্চয়তা মিলিয়ে ক্রিজের ব্যাটসম্যান যেন সব ভুলে যান। টিম মিটিংয়ে ফিদেল এডওয়ার্ডসের বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছে। নতুন বলে বিপজ্জনক বোলার। প্রচণ্ড গতি আছে। পাঁজর লক্ষ্য করে বল ধেয়ে আসবে। আবার প্রথম স্পেলে সাফল্য না পেলে অনুপ্রেরণা এবং দম হারিয়ে ফেলবেন এ এডওয়ার্ডসই। সব জেনে-বুঝেও তাঁর প্রথম স্পেলেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। অথচ প্রথম ইনিংসে শুরুর ব্যাটসম্যানরা নাঈম ইসলামের মানসিকতা নিয়ে নামলে ম্যাচ পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে বাঁক নিলেও নিতে পারত, 'আমি ব্যাটিংয়ে নেমেছি, এটিই শুধু ভেবেছি বাজে বল ছাড়া আমি নিজে কোনো শটসে যাব না। যদি ওরা আমাকে বাজে বল দেয়, তাহলেই মারব। ওয়ানডেতে যেমন অনেক সময় বাজে বল না হলেও মারতে হয়, সেভাবে আমি খেলব না বলে ঠিক করে রেখেছি।'
অবশ্য সবাই নাঈম নন। আবার নাঈমও তামিম ইকবাল নন। মেজাজ অদল-বদল করলে দুজনেরই ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিন যে অবস্থায় শুরু হচ্ছে, তাতে আজ তামিমের সেঞ্চুরির চেয়ে নাঈমের রয়ে-সয়ে খেলার মূল্য কোনো অংশে কম নয়। প্রশ্নের উত্তরে শেষদিনে ৭ উইকেটে ৩৪৪ তুলে ম্যাচ জেতার কথাই আগে বলেছেন বটে নাঈম, তবে টেস্ট ক্রিকেটের সামান্য খোঁজখবরও যাঁরা রাখেন, তাঁরা জানেন, ইতিহাসে এমনটা ঘটেনি। ইতিহাস সৃষ্টির অভিলাষ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই শুনিয়ে গেছেন নাঈম। যদিও ধরে নেওয়া যায়, এটা ড্রেসিংরুমকে উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা কিংবা লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্টই পড়েছেন শুধু এ ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
আহা, ড্রেসিংরুমে তৈরি স্ক্রিপ্ট ধরে ধরে যদি ব্যাটিং করতেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা! সেটি হয় না বলেই নাঈমের স্বপ্নের প্রতিধ্বনি শুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ওটিস গিবসনের ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি, 'আমি আমার নিজের দল সম্পর্কে বলতে পারি। আমার দল যে অবস্থায় আছে, তাতে আমি খুশি।' আরেকটু উসকে দিয়ে জানা গেল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মেজাজের কথা জেনেই ইনিংস ঘোষণাকে মোটেও বিলম্বিত মনে করছেন না তিনি, 'বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা রেকলেস!' 'রেকলেস' শব্দটার অনেক প্রতিশব্দ আছে। খেয়ালি, অমনোযোগী কিংবা বুনো_এর কোনোটিই টেস্ট ক্রিকেট উপযোগী নয়। টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে কিছু মূল্য থাকতে পারে!
এটাও জানেন ব্যাটসম্যানরা। তবু খেলে ফেলেন। কখনো ভয় তাড়াতে, কখনো বা বাজে ফর্ম থেকে বেরুতে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন ব্যাটসম্যান। এ দুটোর পেছনে ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা আছে। তবে ক্রিকেটপাড়ার জোর গুঞ্জনটা অস্বস্তিকর_দ্রুত কিছু রান তুলে দলে জায়গা টিকিয়ে রাখাই নাকি ব্যাটসম্যানদের মূল লক্ষ্য! আত্মতুষ্টিও গ্রাস করে অল্পতে। তবে কাল সে গুঞ্জনে কান না দিয়ে স্বপ্ন পূরণের পরিকল্পনা জানিয়েছেন নাঈম ইসলাম, 'এডওয়ার্ডস প্রথম ইনিংসে অনেক ভালো বোলিং করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে পরিকল্পনা ছিল, ওকে আক্রমণ না করে কোনোভাবে খেলে দেওয়া। এ ছাড়া অন্য যারা বোলার আছে, তারাও খারাপ না। তবে আউট হচ্ছে এক বলের ব্যাপার। যদি সব বলে সতর্ক থাকি, তাহলে ভালো হবে।'
জয়টা স্বপ্ন পূরণের চেয়েও বড় আনন্দ নিয়ে আসবে। তবে নাঈমের বলে যাওয়া ব্যাটিং পরিকল্পনা ক্রিজে ফুটিয়ে তোলাও কম বড় প্রাপ্তি হবে না। আনন্দের আতিশয্যে স্টুয়ার্ট ল দলকে 'ডিনার'ও দিতে পারেন!
No comments