ইস্তাম্বুলে ত্রিদেশীয় সম্মেলন
ইস্তাম্বুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক অবিশ্বাস, উত্তেজনা প্রশমন এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এ বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিন শেষে আফগান প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। খবর এএফপি ও দ্য ডনের।
এ বৈঠক প্রতিবেশী দু'দেশের মধ্যকার অনাস্থা কমিয়ে সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে আশা করছে তুরস্ক। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে গুরুত্ব পাচ্ছে জঙ্গি দমন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা। তিন প্রেসিডেন্ট জঙ্গি মোকাবেলার বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়া নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে তাদের। এর একটি সামরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। জঙ্গি দমনে সীমান্তের বাইরেও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ও চুক্তিতে থাকছে বলে তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট ও তালেবানের সঙ্গে সরকারের শান্তি উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়া বুরহানুদ্দিন রব্বানি তালেবান হামলায় নিহত হওয়ার পর এটিই পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রেসিডেন্টের প্রথম সাক্ষাৎ। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সম্প্রতি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তালেবান ও জঙ্গি গ্রুপ হাক্কানি নেটওয়ার্ককে সহায়তা করছে বলে আফগানিস্তান অভিযোগ করে আসছে। তুরস্কের এক কর্মকর্তা জানান, 'তারা (দুই প্রেসিডেন্ট) প্রকৃতই একে অপরের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী বলে মনে করছি আমরা। কেননা চলমান পরিস্থিতি কারও জন্যই সহায়ক নয়, তা তারা অনুধাবন করতে পেরেছেন।' তিন দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের এ আলোচনার ফাঁকে আফগান সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আশফাক কায়ানির।
আফগানিস্তানকে সহযোগিতা করতে হবে : হিনা রাব্বানি : যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সংহতি নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকেই সহায়ক ভূমিকা নিতে হবে। এ কথাগুলো বলেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করছে আফগানিস্তান। এ নিয়ে দু'দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে। ইস্তাম্বুল আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তুরস্কে রয়েছেন হিনা রাব্বানি। আজ বুধবার সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। এর আগে মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল সম্মেলন থেকে আফগানিস্তান এ বিশ্বাস খুঁজে পাবে যে, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সব দেশই তাকে সহযোগিতা করছে। দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও নিশ্চয়তা দেন হিনা রাব্বানি।
এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান কলাকৌশলের বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তিনি।
আফগানিস্তানকে সহযোগিতা করতে হবে : হিনা রাব্বানি : যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সংহতি নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকেই সহায়ক ভূমিকা নিতে হবে। এ কথাগুলো বলেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করছে আফগানিস্তান। এ নিয়ে দু'দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে। ইস্তাম্বুল আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে তুরস্কে রয়েছেন হিনা রাব্বানি। আজ বুধবার সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। এর আগে মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল সম্মেলন থেকে আফগানিস্তান এ বিশ্বাস খুঁজে পাবে যে, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সব দেশই তাকে সহযোগিতা করছে। দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও নিশ্চয়তা দেন হিনা রাব্বানি।
এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান কলাকৌশলের বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তিনি।
No comments