ইউনেসকোতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ক্ষুব্ধ, তহবিল বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিন জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইসরায়েল। ইউনেসকোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিসভার ঘনিষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রসঙ্গে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। আগে দেওয়া হুমকি অনুসারে গত সোমবারই তারা ইউনেসকোর তহবিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ইউনেসকোর অর্থ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ইউনেসকোর অর্থ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম গতকাল জানায়, নেতানিয়াহুর সহযোগীদের গতকাল বিকেলেই ইউনেসকোর ভোটের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে বৈঠক করার কথা। বৈঠকে ইউনেসকোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রাপ্য করের অর্থ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। গত সোমবার এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, 'তারা (ফিলিস্তিন) চুক্তি ছাড়াই একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। আলোচনার টেবিলে বসার পরিবর্তে তারা হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে জাতিসংঘে একতরফা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইসরায়েলের পক্ষে ক্ষতিকর এসব পদক্ষেপের ব্যাপারে আমরা চুপ করে বসে থাকব না।' উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যানি আয়ালন গতকাল বলেন, ইসরায়েল নিজ স্বার্থ অনুসারে এ ভোট প্রসঙ্গে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ভোটাভুটির নিন্দা জানিয়ে জানায়, ফিলিস্তিনের এসব একতরফা উদ্যোগ বাস্তব পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না। বরং শান্তিচুক্তির সম্ভাবনাকেই আরো জটিল করে তুলবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও গত সোমবার ভোটাভুটিতে ইউনেসকোর সদস্যপদ পেয়েছে ফিলিস্তিন। তবে ভোটের পর পরই এই সংস্থাকে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সংগঠনের বাজেটের ২২ শতাংশ অর্থাৎ ছয় কোটি ডলারেরও বেশি সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আইনে, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া জাতিসংঘের যেকোনো সংস্থার অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ইউনেসকোর নিয়মানুসারে, আগামী দুই বছর তহবিল না দিলে এ সংস্থায় ভোট দেওয়ার অধিকার হারাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব ইউনেসকোর অর্থ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক মহলকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ইউনেসকোর আর্থিক সম্পদের সুরক্ষায় আমাদের বাস্তাবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে।'
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য আবেদনের পর ফিলিস্তিন গত মাসে ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার উদ্যোগ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করেই এ পদক্ষেপ নেয় তারা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর থেকেই তাঁরা ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পথ খুঁজছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ায় স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবির পক্ষে একধাপ এগিয়ে গেল ফিলিস্তিন। সূত্র : এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও গত সোমবার ভোটাভুটিতে ইউনেসকোর সদস্যপদ পেয়েছে ফিলিস্তিন। তবে ভোটের পর পরই এই সংস্থাকে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সংগঠনের বাজেটের ২২ শতাংশ অর্থাৎ ছয় কোটি ডলারেরও বেশি সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আইনে, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া জাতিসংঘের যেকোনো সংস্থার অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ইউনেসকোর নিয়মানুসারে, আগামী দুই বছর তহবিল না দিলে এ সংস্থায় ভোট দেওয়ার অধিকার হারাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব ইউনেসকোর অর্থ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক মহলকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ইউনেসকোর আর্থিক সম্পদের সুরক্ষায় আমাদের বাস্তাবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে।'
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য আবেদনের পর ফিলিস্তিন গত মাসে ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার উদ্যোগ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করেই এ পদক্ষেপ নেয় তারা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর থেকেই তাঁরা ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পথ খুঁজছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনেসকোর পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ায় স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবির পক্ষে একধাপ এগিয়ে গেল ফিলিস্তিন। সূত্র : এএফপি।
No comments