ট্রেনের সংঘর্ষ এড়াতে দুই শিক্ষার্থীর আবিষ্কার by মাহবুব আলম
‘মানুষের উপকারে আসে এমন কিছু করার আগ্রহ নিয়েই ভর্তি হয়েছিলাম এখানে। তখন থেকেই শিক্ষক ও বন্ধুদের সহযোগিতায় আমরা এ প্রযুক্তিটি উদ্ভাবনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।’ এভাবেই বলছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সদ্য পাশ করা খিজির মাহমুদ। তিনি ও তাঁর বন্ধু মোঃ রিয়া সাদ আজিম দু’জনে মিলে তৈরি করেছেন এমন এক যন্ত্র, যা হাজার হাজার মানুষের প্রাণ রক্ষা করবে।
ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে তারা এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছোটন কান্তি দাশ। যাত্রী সেবা ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই ট্রেন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বিগত দিনগুলোতে বেশ কিছু ট্রেন দুর্ঘটনা যাত্রীদেরকে এ যোগাযোগ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে। ট্রেনের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মুখোমুখি সংঘর্ষ, লাইনচ্যুতি, আগুন লাগা, বাস কিংবা অন্য যানবাহনের সাথে সংঘর্ষ ইত্যাদি। তবে ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে এসব দুর্ঘটনার মধ্যে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ অত্যন্ত ভয়াবহ ও মারাত্বক। এ মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে এবং সেই সাথে দেশ ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে মোট ৯৭ টি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ১৪ বছরের ট্রেন দুর্ঘটনাগুলোর ফলে মোট ৫১৪ জন যাত্রী নিহত ও ৩২৭২ জন যাত্রী আহত হয়েছে যার বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনাই ঘটেছে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতেই এ প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে এই দুই তরুণ উদ্ভাবক।
জানা যায়, প্রযুক্তিটির মাধ্যমে দুটি ট্রেনের অবস্থান নির্ণয় করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন দুটিকে মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা করবে। ট্রেন লাইনে ট্রেনের অবস্থান নির্ণায়ক কিছু সেন্সর লাগানো থাকবে যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে ট্রেনের অবস্থান ও গতির দিক প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
যদি কোনো ট্রেন ত্রুটিপূর্ণ নির্দেশনা কিংবা অসাবধানতাবসত মুখোমুখি অবস্থানে আসার উপক্রম হয় তাহলে প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষে এটির জন্য অ্যালার্ম বেজে উঠবে, ট্রেনের অবস্থান নির্দেশ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবে। তারপরও যদি কোন ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে ট্রেন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষের আগেই যে কোন একটি ট্রেনের লাইন পরিবর্তন করে দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন দুটিকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করবে।
এজন্য প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কম্পিউটারে উদ্ভাবকদের উদ্ভাবিত একটি সফটওয়্যার থাকবে যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসেও ট্রেনের লাইন পরিবর্তন করা যাবে।
এছাড়াও সফটওয়্যারটির মাধ্যমে প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসেও ট্রেনের অবস্থান ও গতির দিক সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। প্রযুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে ব্যবহৃত দেশিয় পুরানো প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে।
উদ্ভাবক সুত্রে জানা যায়, প্রযুক্তিটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে মোটর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, সেন্সর, কমিউনিকেশন ক্যাবল, ভিজুয়াল বেসিক, কন্ট্রোল রোম সার্ভার, পিসি কানেক্টর এবং রেলওয়ে কলিশন এভইডিং সফটওয়্যার। তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৫ হাজার টাকা।
প্রযুক্তিটি প্রসঙ্গে খিজির মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বছরের ৮ ডিসেম্বর নরসিংদীতে মহানগর প্রভাতী ও চট্টলা এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫৯ জন নিহত ও ১৫৯ জন আহত। মূলত এ ধরনের একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার দেখেই প্রযুক্তিটি উদ্ভাবনের চিন্তা করি। এটি বাংলাদেশ রেলওয়েতে ব্যবহৃত হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব হবে বলেও তিনি মনে করি।’
উদ্ভাবকদের তত্ত্বাবধায়ক তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষক ছোটন কান্তি বলেন, ‘দেশে এ ধরনের কাজ নিয়ে গবেষণা বৃদ্ধি করার এখনই আসল সময়। এ প্রযুক্তির প্রকৃত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্রেন দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে মোট ৯৭ টি মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ১৪ বছরের ট্রেন দুর্ঘটনাগুলোর ফলে মোট ৫১৪ জন যাত্রী নিহত ও ৩২৭২ জন যাত্রী আহত হয়েছে যার বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনাই ঘটেছে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতেই এ প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে এই দুই তরুণ উদ্ভাবক।
জানা যায়, প্রযুক্তিটির মাধ্যমে দুটি ট্রেনের অবস্থান নির্ণয় করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন দুটিকে মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা করবে। ট্রেন লাইনে ট্রেনের অবস্থান নির্ণায়ক কিছু সেন্সর লাগানো থাকবে যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে ট্রেনের অবস্থান ও গতির দিক প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
যদি কোনো ট্রেন ত্রুটিপূর্ণ নির্দেশনা কিংবা অসাবধানতাবসত মুখোমুখি অবস্থানে আসার উপক্রম হয় তাহলে প্রধান নিয়ন্ত্রণকক্ষে এটির জন্য অ্যালার্ম বেজে উঠবে, ট্রেনের অবস্থান নির্দেশ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবে। তারপরও যদি কোন ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে ট্রেন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষের আগেই যে কোন একটি ট্রেনের লাইন পরিবর্তন করে দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন দুটিকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করবে।
এজন্য প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কম্পিউটারে উদ্ভাবকদের উদ্ভাবিত একটি সফটওয়্যার থাকবে যার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসেও ট্রেনের লাইন পরিবর্তন করা যাবে।
এছাড়াও সফটওয়্যারটির মাধ্যমে প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসেও ট্রেনের অবস্থান ও গতির দিক সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। প্রযুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে ব্যবহৃত দেশিয় পুরানো প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে।
উদ্ভাবক সুত্রে জানা যায়, প্রযুক্তিটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে মোটর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, সেন্সর, কমিউনিকেশন ক্যাবল, ভিজুয়াল বেসিক, কন্ট্রোল রোম সার্ভার, পিসি কানেক্টর এবং রেলওয়ে কলিশন এভইডিং সফটওয়্যার। তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৫ হাজার টাকা।
প্রযুক্তিটি প্রসঙ্গে খিজির মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বছরের ৮ ডিসেম্বর নরসিংদীতে মহানগর প্রভাতী ও চট্টলা এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫৯ জন নিহত ও ১৫৯ জন আহত। মূলত এ ধরনের একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার দেখেই প্রযুক্তিটি উদ্ভাবনের চিন্তা করি। এটি বাংলাদেশ রেলওয়েতে ব্যবহৃত হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব হবে বলেও তিনি মনে করি।’
উদ্ভাবকদের তত্ত্বাবধায়ক তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষক ছোটন কান্তি বলেন, ‘দেশে এ ধরনের কাজ নিয়ে গবেষণা বৃদ্ধি করার এখনই আসল সময়। এ প্রযুক্তির প্রকৃত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ট্রেন দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।’
No comments