সাত মাসের টাইম স্কেল পাবেন শিক্ষকরা-বকেয়া বাদ, মিশ্র প্রতিক্রিয়া by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের সাত মাসের জন্য টাইম স্কেল দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে চলতি নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত শিক্ষকরা এ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ইনডেঙ্ধারী শিক্ষকদের এমপিও সুবিধা দেওয়া হবে। এই সাত মাসের জন্য শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও এমপিও সুবিধা দিতে ব্যয় হবে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা। বছরের প্রথম পাঁচ মাসের টাইম স্কেল দেওয়া হচ্ছে না।শিক্ষক নেতারা সরকারের এ সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তাঁরা বলছেন, শিক্ষকদের টাকা সরকার কোথায় নিয়ে গেছে, তা জানতে চান শিক্ষকরা। তাঁদের মতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের খামখেয়ালির কারণে শিক্ষকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ওই যুগ্ম সচিব কয়েক দিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ উদ্যোগটির প্রশংসা করে বলছেন, 'আগের সরকার যেখানে টাইম স্কেল বন্ধ রেখেছিল, সেখানে বর্তমান সরকার তা অংশবিশেষ হলেও দিচ্ছে।'
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর_এই দুই মাস শিক্ষকদের টাইম স্কেল সুবিধা দেওয়া হলেও ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে টাকার অভাবে শিক্ষকদের এ সুবিধা বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শিক্ষকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এর ফলে শিক্ষক সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে। এসব বৈঠকও নিষ্ফল হয়। এ অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়ে বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ করা বাজেটের বিভিন্ন অংশ থেকে টাকা বের করতে। বকেয়া বাদ দিয়ে এ অর্থবছরের আগামী সাত মাসের জন্য শিক্ষকদের টাইম স্কেল দিতে। এ অবস্থায় মন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ৭৮ কোটি টাকা বের করেন। কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী মে মাসে চলতি অর্থবছরের বাজেট শেষ হবে। তাই এ ৭৮ কোটি টাকা দিয়ে টাইম স্কেল দেওয়া হবে। তবে শিক্ষকরা টাইম স্কেলের বকেয়া টাকা পাবেন না। পরবর্তী সময়ে নতুন বাজেটে বেশি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে শিক্ষকদের সব দিক বিবেচনা করা হতে পারে।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা বের করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি। শিক্ষকদের এ দাবি সরকার অবশ্যই পূরণ করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। সভায় মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সে সভায়ই ছয় মাসের জন্য শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শিক্ষাসচিবের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য বাজেটের বিভিন্ন অংশ থেকে কেটে টাকা বের করেন।
টাইম স্কেল-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের (জুন ২০১১ থেকে মে ২০১২ পর্যন্ত) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও উৎসব ভাতা বাবদ খরচ হবে দুই হাজার ৯৭১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া চলতি নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত সাত মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হবে দুই হাজার ৮৯৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। শুধু বেতন-ভাতা বাবদ উদ্বৃত্ত থাকবে ৭৮ কোটি ৬৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের প্যাটার্নভুক্ত শূন্য পদে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম চলতি বছরের জুন থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। বকেয়া ছাড়া প্রভাষকদের টাইম স্কেল সুবিধা প্রদানে প্রতি মাসে আট কোটি টাকা হিসাবে চলতি নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৫৬ কোটি টাকা। ইনডেঙ্ধারী শিক্ষকদের বকেয়াসহ এমপিওভুক্তি প্রদানে প্রতি মাসে এক কোটি টাকা হিসাবে এ সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে সাত কোটি টাকা। প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদে ১২ হাজার ইনডেঙ্বিহীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া ছাড়া এমপিওভুক্তির জন্য প্রতি মাসে সাত কোটি টাকা হিসেবে উলি্লখিত সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৪৯ কোটি টাকা। বকেয়া ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের (বেতন কোড ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে) টাইম স্কেল সুবিধা প্রদানে প্রতি মাসে পাঁচ কোটি টাকা হিসাবে উলি্লখিত সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩৫ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে এসব সুবিধা দিতে সম্ভাব্য মোট ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। এ অবস্থায় আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ করার পর অবশিষ্ট থাকবে ৭৮ কোটি টাকা। এ টাকা দিয়ে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ করা অর্থ থেকে প্রভাষকদের টাইম স্কেল সুবিধা এবং ইনডেঙ্ধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে। আর অন্যান্য সুবিধা [প্যাটার্নভুক্ত শূন্য পদে ইনডেঙ্বিহীন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তি, বকেয়া ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের (বেতন কোড ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে) টাইম স্কেল সুবিধা ও কোর্টের রায় বাস্তবায়ন] দিতে অতিরিক্ত ৭২ কোটি টাকার প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে বর্তমানে এ ৭২ কোটি টাকা নেই বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. সেলিম ভঁূইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রতিবছর শিক্ষকদের এসব সুবিধা দেওয়ার জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট থাকে। সরকার এ বাজেট থেকে অনায়াসে শিক্ষকদের পাওনা মেটাতে পারে। কিন্তু সরকার শিক্ষকদের টাকা না দিয়ে অন্য খাতে নিয়ে গেছে। শিক্ষকরা এখন জানতে চান, এ টাকা সরকার কোন খাতে নিয়ে গেছে? কেন শিক্ষকদের বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়া হবে না?'
আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক সংগঠন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ সেলিম ভঁূইয়াকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'আগের সরকারের সময় যখন টাইম স্কেল দেওয়া বন্ধ ছিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?' তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আজ সরকার যেভাবেই হোক না কেন শিক্ষকদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। সেখানে সরকারকে অভিনন্দন না জানিয়ে দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, এটা ঠিক নয়।'
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর_এই দুই মাস শিক্ষকদের টাইম স্কেল সুবিধা দেওয়া হলেও ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে টাকার অভাবে শিক্ষকদের এ সুবিধা বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শিক্ষকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এর ফলে শিক্ষক সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে। এসব বৈঠকও নিষ্ফল হয়। এ অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়ে বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ করা বাজেটের বিভিন্ন অংশ থেকে টাকা বের করতে। বকেয়া বাদ দিয়ে এ অর্থবছরের আগামী সাত মাসের জন্য শিক্ষকদের টাইম স্কেল দিতে। এ অবস্থায় মন্ত্রীর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ৭৮ কোটি টাকা বের করেন। কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী মে মাসে চলতি অর্থবছরের বাজেট শেষ হবে। তাই এ ৭৮ কোটি টাকা দিয়ে টাইম স্কেল দেওয়া হবে। তবে শিক্ষকরা টাইম স্কেলের বকেয়া টাকা পাবেন না। পরবর্তী সময়ে নতুন বাজেটে বেশি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে শিক্ষকদের সব দিক বিবেচনা করা হতে পারে।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা বের করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি। শিক্ষকদের এ দাবি সরকার অবশ্যই পূরণ করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। সভায় মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সে সভায়ই ছয় মাসের জন্য শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শিক্ষাসচিবের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টাইম স্কেল দেওয়ার জন্য বাজেটের বিভিন্ন অংশ থেকে কেটে টাকা বের করেন।
টাইম স্কেল-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের (জুন ২০১১ থেকে মে ২০১২ পর্যন্ত) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও উৎসব ভাতা বাবদ খরচ হবে দুই হাজার ৯৭১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া চলতি নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত সাত মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হবে দুই হাজার ৮৯৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। শুধু বেতন-ভাতা বাবদ উদ্বৃত্ত থাকবে ৭৮ কোটি ৬৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের প্যাটার্নভুক্ত শূন্য পদে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম চলতি বছরের জুন থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। বকেয়া ছাড়া প্রভাষকদের টাইম স্কেল সুবিধা প্রদানে প্রতি মাসে আট কোটি টাকা হিসাবে চলতি নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৫৬ কোটি টাকা। ইনডেঙ্ধারী শিক্ষকদের বকেয়াসহ এমপিওভুক্তি প্রদানে প্রতি মাসে এক কোটি টাকা হিসাবে এ সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে সাত কোটি টাকা। প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদে ১২ হাজার ইনডেঙ্বিহীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া ছাড়া এমপিওভুক্তির জন্য প্রতি মাসে সাত কোটি টাকা হিসেবে উলি্লখিত সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৪৯ কোটি টাকা। বকেয়া ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের (বেতন কোড ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে) টাইম স্কেল সুবিধা প্রদানে প্রতি মাসে পাঁচ কোটি টাকা হিসাবে উলি্লখিত সাত মাসে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৩৫ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে এসব সুবিধা দিতে সম্ভাব্য মোট ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। এ অবস্থায় আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ করার পর অবশিষ্ট থাকবে ৭৮ কোটি টাকা। এ টাকা দিয়ে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ করা অর্থ থেকে প্রভাষকদের টাইম স্কেল সুবিধা এবং ইনডেঙ্ধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে। আর অন্যান্য সুবিধা [প্যাটার্নভুক্ত শূন্য পদে ইনডেঙ্বিহীন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তি, বকেয়া ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের (বেতন কোড ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে) টাইম স্কেল সুবিধা ও কোর্টের রায় বাস্তবায়ন] দিতে অতিরিক্ত ৭২ কোটি টাকার প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে বর্তমানে এ ৭২ কোটি টাকা নেই বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. সেলিম ভঁূইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রতিবছর শিক্ষকদের এসব সুবিধা দেওয়ার জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট থাকে। সরকার এ বাজেট থেকে অনায়াসে শিক্ষকদের পাওনা মেটাতে পারে। কিন্তু সরকার শিক্ষকদের টাকা না দিয়ে অন্য খাতে নিয়ে গেছে। শিক্ষকরা এখন জানতে চান, এ টাকা সরকার কোন খাতে নিয়ে গেছে? কেন শিক্ষকদের বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়া হবে না?'
আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক সংগঠন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ সেলিম ভঁূইয়াকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'আগের সরকারের সময় যখন টাইম স্কেল দেওয়া বন্ধ ছিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?' তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আজ সরকার যেভাবেই হোক না কেন শিক্ষকদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। সেখানে সরকারকে অভিনন্দন না জানিয়ে দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, এটা ঠিক নয়।'
No comments