ফরহাদ হোসেনের ডাবল সেঞ্চুরি
চার দিনের জাতীয় লিগেও ম্যাচ শেষ হচ্ছে বিস্তর সময় আগে। গতকাল যেমন তৃতীয় দিনেই সরাসরি জিতেছে খুলনা ও সিলেট। আবার বোলিং সাফল্যের বিপরীতে ব্যাটিং বীরত্বও আছে। চট্টগ্রামে যেমন নাজিমউদ্দিনের সেঞ্চুরির জবাবে মৌসুমের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করে রাজশাহীকে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে নিয়েছেন ফরহাদ হোসেন। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের যে দুরবস্থা, তাতে জয়ের হাতছানিও দেখছে রাজশাহী। বরিশালের বিপক্ষে যে জয়ের আরো উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছে ঢাকা মেট্রো।
গতকাল সেঞ্চুরি করতে পারেননি অলক কাপালি। ৯১ রানে থেমে যান তিনি। তবে ততক্ষণে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের মঞ্চ তৈরি করে ফেলে তাঁর দল সিলেট। রংপুরের ১৫৮ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ৪২৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট। এরপর পেসার জাহেদের ৫ উইকেটপ্রাপ্তিতে প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংস উড়ে যায় মাত্র ১১২ রানে। ইনিংস এবং ১৭৩ রানের সিলেটের বিশাল এ জয়ের ভিত গড়ে দেওয়ার জন্য সেঞ্চুরিয়ান রাজিন সালেহর হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
* খুলনা-ঢাকা : প্রথম ইনিংসের ঘাটতি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ঢাকা বিভাগ। আসলে দেননি খুলনার অলরাউন্ডার তাপস ঘোষ। খুলনার ২১৯ রানের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি। এরপর তাপসের স্পিনে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংস। দলের ৯১ রানের জয় এবং নিজের সেঞ্চুরির সঙ্গে ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও পেয়েছেন তুষার ইমরান।
* ঢাকা মেট্রো-বরিশাল : ৮ উইকেটে ৪৫০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণার পর বরিশালকে মাত্র ১২০ রানে থামিয়ে দিয়ে ফলো অন করানোর সুযোগ পেয়েছিল ঢাকা মেট্রো। কিন্তু তা না করে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত কিছু রান করে বরিশালের ওপর রানের পাহাড় চাপিয়ে দিয়েছে ঢাকার দলটি। সে বোঝার চাপে গতকালই ২ উইকেট খুইয়েছে বরিশাল। এখনো ৪৩৫ রানে পিছিয়ে থাকায় বরিশালের একমাত্র লক্ষ্য ম্যাচ বাঁচানো। আর মেট্রোর চোখ জয়ে।
* চট্টগ্রাম-রাজশাহী : নাজিমউদ্দিনের সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম ৩৭৮ রান তুলে ফেলায় ব্যাকফুটেই মনে হচ্ছিল রাজশাহীকে। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেনের ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের ব্যাটিং ব্যর্থতা উল্টো জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ফরহাদের বীরত্বে ৯ উইকেটে ৪৫৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। এরপর ফরহাদ রেজা এবং সাকলাইন সজিবের জোড়া শিকারে মাত্র ১৩ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসেছে চট্টগ্রাম। তাতে রাজশাহীর প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ৬২ রানে পিছিয়ে চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : সিলেট-রংপুর : সিলেট ১ম ইনিংস ১৩৬.৫ ওভার ৪২৩/৯ ডিক্লে. (অলক ৯১, সাজেদুল ৪/৮২, মাহমুদুল ৩/৭৪)। রংপুর ১৩৮ ও ২য় ইনিংস ৩৯ ওভার ১১২/১০ (সাজেদুল ৩৫, জাহেদ ৫/২৪)। ম্যাচের ফল : সিলেট ইনিংস ও ১৭৩ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রাজিন সালেহ।
খুলনা-ঢাকা : খুলনা ২২৪ ও ২য় ইনিংস ৬৪.২ ওভার ২১৯/১০ (তাপস ঘোষ ৪৩, সগির ৪৬, শরিফ ৩/৩৫)। ঢাকা ১৫৮ ও ২য় ইনিংস ৬৫.২ ওভার ১৯৪/১০ (বাশার ৪৯, তৈয়বুর ৫৩, তাপস ঘোষ ৫/৫১)। ফল : খুলনা ৯১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তুষার ইমরান।
ঢাকা মেট্রো-বরিশাল : ঢাকা মেট্রো ৪৫০/৮ ও ২য় ইনিংস ৪০ ওভার ১৮৫/৫ (তাসামুল ৫৩, আসিফ ৫৭*, ইসলামুল ৪/৪২)। বরিশাল ১ম ইনিংস ৫০.৫ ওভার ১২০/১০ (ফজলে রাবি্ব ৩৪, আরাফাত সানি ৫/১১) ও ২য় ইনিংস ২৭ ওভার ৭০/২ (ইসলামুল ব্যাটিং ২৬, শাহিন ব্যাটিং ৪)।
চট্টগ্রাম-রাজশাহী : চট্টগ্রাম ৩৭৮ ও ২য় ইনিংস ৭.৪ ওভার ১৩/৪ (ফরহাদ রেজা ২/৯, সাকলাইন ২/৪)। রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৩৯.৩ ওভার ৪৫৩/৯ ডিক্লে. (ফরহাদ হোসেন ২১৬, জুবায়ের ৪৮, কাজি কামরুল ৪/৮০)।
* খুলনা-ঢাকা : প্রথম ইনিংসের ঘাটতি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ঢাকা বিভাগ। আসলে দেননি খুলনার অলরাউন্ডার তাপস ঘোষ। খুলনার ২১৯ রানের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি। এরপর তাপসের স্পিনে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংস। দলের ৯১ রানের জয় এবং নিজের সেঞ্চুরির সঙ্গে ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও পেয়েছেন তুষার ইমরান।
* ঢাকা মেট্রো-বরিশাল : ৮ উইকেটে ৪৫০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণার পর বরিশালকে মাত্র ১২০ রানে থামিয়ে দিয়ে ফলো অন করানোর সুযোগ পেয়েছিল ঢাকা মেট্রো। কিন্তু তা না করে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত কিছু রান করে বরিশালের ওপর রানের পাহাড় চাপিয়ে দিয়েছে ঢাকার দলটি। সে বোঝার চাপে গতকালই ২ উইকেট খুইয়েছে বরিশাল। এখনো ৪৩৫ রানে পিছিয়ে থাকায় বরিশালের একমাত্র লক্ষ্য ম্যাচ বাঁচানো। আর মেট্রোর চোখ জয়ে।
* চট্টগ্রাম-রাজশাহী : নাজিমউদ্দিনের সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম ৩৭৮ রান তুলে ফেলায় ব্যাকফুটেই মনে হচ্ছিল রাজশাহীকে। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেনের ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের ব্যাটিং ব্যর্থতা উল্টো জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ফরহাদের বীরত্বে ৯ উইকেটে ৪৫৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। এরপর ফরহাদ রেজা এবং সাকলাইন সজিবের জোড়া শিকারে মাত্র ১৩ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসেছে চট্টগ্রাম। তাতে রাজশাহীর প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ৬২ রানে পিছিয়ে চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : সিলেট-রংপুর : সিলেট ১ম ইনিংস ১৩৬.৫ ওভার ৪২৩/৯ ডিক্লে. (অলক ৯১, সাজেদুল ৪/৮২, মাহমুদুল ৩/৭৪)। রংপুর ১৩৮ ও ২য় ইনিংস ৩৯ ওভার ১১২/১০ (সাজেদুল ৩৫, জাহেদ ৫/২৪)। ম্যাচের ফল : সিলেট ইনিংস ও ১৭৩ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রাজিন সালেহ।
খুলনা-ঢাকা : খুলনা ২২৪ ও ২য় ইনিংস ৬৪.২ ওভার ২১৯/১০ (তাপস ঘোষ ৪৩, সগির ৪৬, শরিফ ৩/৩৫)। ঢাকা ১৫৮ ও ২য় ইনিংস ৬৫.২ ওভার ১৯৪/১০ (বাশার ৪৯, তৈয়বুর ৫৩, তাপস ঘোষ ৫/৫১)। ফল : খুলনা ৯১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তুষার ইমরান।
ঢাকা মেট্রো-বরিশাল : ঢাকা মেট্রো ৪৫০/৮ ও ২য় ইনিংস ৪০ ওভার ১৮৫/৫ (তাসামুল ৫৩, আসিফ ৫৭*, ইসলামুল ৪/৪২)। বরিশাল ১ম ইনিংস ৫০.৫ ওভার ১২০/১০ (ফজলে রাবি্ব ৩৪, আরাফাত সানি ৫/১১) ও ২য় ইনিংস ২৭ ওভার ৭০/২ (ইসলামুল ব্যাটিং ২৬, শাহিন ব্যাটিং ৪)।
চট্টগ্রাম-রাজশাহী : চট্টগ্রাম ৩৭৮ ও ২য় ইনিংস ৭.৪ ওভার ১৩/৪ (ফরহাদ রেজা ২/৯, সাকলাইন ২/৪)। রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৩৯.৩ ওভার ৪৫৩/৯ ডিক্লে. (ফরহাদ হোসেন ২১৬, জুবায়ের ৪৮, কাজি কামরুল ৪/৮০)।
No comments