যুবক নিয়ে অর্থমন্ত্রীঃ গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার উপায় খোঁজা হচ্ছে
সরকার এখনো যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার উপায় খুঁজছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সালিস নিষ্পত্তি অথবা প্রতিষ্ঠানটির নামে থাকা সম্পত্তি বিক্রি করে এই অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে মত এসেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে যুবক কমিশনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকার জন্য এত লোক ভিড় করছে যে যুবক কমিশন ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। তাঁরা (প্রতারিতরা) চান দ্রুত সমাধান। কিন্তু হায় হায় কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা তো সব পালিয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, কমিশনের চেয়ারম্যান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার দুটি উপায়ের সুপারিশ করেছেন। যেহেতু মামলা-টামলা আছে, তাই একটি উপায় হতে পারে সালিস নিষ্পত্তি। আর অন্যটি হতে পারে সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া। মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনেক সম্পত্তি কিনেছিল যুবক। এখন যাচাই করে দেখা হবে, কোনটা ভালো হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন বা সর্বস্ব খুইয়েছেন, তাঁদের সাহায্য করা। কীভাবে তা করা যায়, সেটাই হলো প্রশ্ন। তবে সালিস নিষ্পত্তি একটি ভালো উপায় হতে পারে বলে তিনি নিজেও মনে করেন।
মামলা-মোকদ্দমা করে অনেক সময় পাওনা আদায় দেরি হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, সালিস নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করা হলে গ্রাহকেরা কিছু অর্থ কম পেতে পারেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কারও হয়তো ১০ হাজার টাকা আছে, এ থেকে কিছু টাকা কম পাবেন তিনি।
সরকারকে কিছু না জানিয়ে যুবকের সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে—সাংবাদিকেরা এমন প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে বিস্ময় প্রকাশ করে মুহিত বলেন, ‘তাই নাকি!’ তবে যুবকের সম্পত্তি ঢালাও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী মনে করেন না। তিনি বলেন, যুবকের সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আছে। লুকিয়ে-ছাপিয়ে কিছু হয়তো বিক্রি হয়ে থাকতে পারে।
যুবক কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে মুহিত বলেন, এর মেয়াদ দুই বছর হলেও ইতিমধ্যে অফিস নেওয়া, লোকবল নিয়োগ নিয়ে ছয় মাস কেটে গেছে। তারা জানিয়েছে যে, মোট দুই বছরের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করা হয়তো সম্ভব হবে না।
১৯৫৬ সালের কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট অনুযায়ী, যুবকের সার্বিক বিষয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধ, তাঁদের হয়রানি বন্ধ এবং যুবক কর্তৃপক্ষ যাতে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে না পারে, সে জন্য ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
তদন্ত কমিশন যুবকের দুই লাখ ৬৭ হাজার ৩৩০ জন গ্রাহকের আবেদন অনুযায়ী দুই হাজার ১৪৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা দাবির কথা উল্লেখ করে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পত্তির পরিমাণ বাজারমূল্যে তিন হাজার কোটি টাকা বলে কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সুপারিশ করে বলা হয়, যুবকের গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধে একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করতে হবে এবং এর আগে যুবকের যাবতীয় সম্পত্তি থাকবে সরকারের জিম্মায়।
সেই সুপারিশ অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুর দিকে দুই বছরের জন্য ‘যুবক কমিশন’ গঠন করা হয়, যার চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলামকে।
যোগাযোগ করলে যুবক কমিশনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যুবকের ব্যাপারে সব পদক্ষেপই নেওয়া হবে গ্রাহকদের স্বার্থের কথা ভেবে। তবে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট উপায় চিহ্নিত করা হয়নি। যুবকের মাধ্যমে প্রতারিত অনেক গ্রাহক এখনো কমিশনের কাছে আবেদন করে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন বা সর্বস্ব খুইয়েছেন, তাঁদের সাহায্য করা। কীভাবে তা করা যায়, সেটাই হলো প্রশ্ন। তবে সালিস নিষ্পত্তি একটি ভালো উপায় হতে পারে বলে তিনি নিজেও মনে করেন।
মামলা-মোকদ্দমা করে অনেক সময় পাওনা আদায় দেরি হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, সালিস নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করা হলে গ্রাহকেরা কিছু অর্থ কম পেতে পারেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কারও হয়তো ১০ হাজার টাকা আছে, এ থেকে কিছু টাকা কম পাবেন তিনি।
সরকারকে কিছু না জানিয়ে যুবকের সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে—সাংবাদিকেরা এমন প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে বিস্ময় প্রকাশ করে মুহিত বলেন, ‘তাই নাকি!’ তবে যুবকের সম্পত্তি ঢালাও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী মনে করেন না। তিনি বলেন, যুবকের সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আছে। লুকিয়ে-ছাপিয়ে কিছু হয়তো বিক্রি হয়ে থাকতে পারে।
যুবক কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে মুহিত বলেন, এর মেয়াদ দুই বছর হলেও ইতিমধ্যে অফিস নেওয়া, লোকবল নিয়োগ নিয়ে ছয় মাস কেটে গেছে। তারা জানিয়েছে যে, মোট দুই বছরের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করা হয়তো সম্ভব হবে না।
১৯৫৬ সালের কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট অনুযায়ী, যুবকের সার্বিক বিষয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধ, তাঁদের হয়রানি বন্ধ এবং যুবক কর্তৃপক্ষ যাতে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে না পারে, সে জন্য ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
তদন্ত কমিশন যুবকের দুই লাখ ৬৭ হাজার ৩৩০ জন গ্রাহকের আবেদন অনুযায়ী দুই হাজার ১৪৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা দাবির কথা উল্লেখ করে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পত্তির পরিমাণ বাজারমূল্যে তিন হাজার কোটি টাকা বলে কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সুপারিশ করে বলা হয়, যুবকের গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধে একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করতে হবে এবং এর আগে যুবকের যাবতীয় সম্পত্তি থাকবে সরকারের জিম্মায়।
সেই সুপারিশ অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুর দিকে দুই বছরের জন্য ‘যুবক কমিশন’ গঠন করা হয়, যার চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলামকে।
যোগাযোগ করলে যুবক কমিশনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যুবকের ব্যাপারে সব পদক্ষেপই নেওয়া হবে গ্রাহকদের স্বার্থের কথা ভেবে। তবে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট উপায় চিহ্নিত করা হয়নি। যুবকের মাধ্যমে প্রতারিত অনেক গ্রাহক এখনো কমিশনের কাছে আবেদন করে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
No comments