আলোচনা- উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র by ফরহাদ মাহমুদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামক দেশটি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষমতাধর। বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ওয়ারশ জোটের পতনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট এখন দুনিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি। এই একচ্ছত্র আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে এবং তাকে আরো শক্তিশালী করতে এ হেন কাজ নেই, যা তারা করতে দ্বিধাবোধ করে। ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে এই অজুহাতে ইরাক আক্রমণ করতে তারা কুণ্ঠিত হয়নি। 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের' নামে ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে এখনো তালিবানদের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
এতে বহু নিরীহ মানুষও প্রাণ হারাচ্ছে। ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র বানিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে পরবাসী বানিয়েছে। চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দে, কিউবার বিপ্লবী চে গুয়েভারাকে হত্যা করতে তাদের গোপন বাহিনী সিআইএ সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। ফিদেল কাস্ত্রোকে মারার জন্যও তারা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। অনেকে বলে থাকেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনেও তৎকালীন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। দুনিয়াব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অন্যায় আচরণের ফিরিস্তি বিশাল। এসব নিয়ে অনেক মোটা মোটা বইও লেখা হয়েছে। কিন্তু তাতে মার্কিন প্রশাসন মোটেও বিচলিত নয়। কিন্তু সম্প্রতি তারা কিছুটা হলেও বিচলিত হয়েছে উইকিলিকস নামক একটি ওয়েবসাইট সারা দুনিয়ার আড়াই লক্ষাধিক গোপন দলিল ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বহু কুকর্মের তথ্য বিশ্ববাসীর নাগালে চলে এসেছে। তারা গণতন্ত্র, মানবতার মতো ভালো ভালো বুলি আওড়ানো মহাশক্তিধর দেশগুলোর আসল চরিত্র কিছুটা হলেও দেখতে পেয়েছেন এসব দলিল থেকে।
এতে বহু নিরীহ মানুষও প্রাণ হারাচ্ছে। ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র বানিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে পরবাসী বানিয়েছে। চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দে, কিউবার বিপ্লবী চে গুয়েভারাকে হত্যা করতে তাদের গোপন বাহিনী সিআইএ সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। ফিদেল কাস্ত্রোকে মারার জন্যও তারা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। অনেকে বলে থাকেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনেও তৎকালীন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। দুনিয়াব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অন্যায় আচরণের ফিরিস্তি বিশাল। এসব নিয়ে অনেক মোটা মোটা বইও লেখা হয়েছে। কিন্তু তাতে মার্কিন প্রশাসন মোটেও বিচলিত নয়। কিন্তু সম্প্রতি তারা কিছুটা হলেও বিচলিত হয়েছে উইকিলিকস নামক একটি ওয়েবসাইট সারা দুনিয়ার আড়াই লক্ষাধিক গোপন দলিল ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বহু কুকর্মের তথ্য বিশ্ববাসীর নাগালে চলে এসেছে। তারা গণতন্ত্র, মানবতার মতো ভালো ভালো বুলি আওড়ানো মহাশক্তিধর দেশগুলোর আসল চরিত্র কিছুটা হলেও দেখতে পেয়েছেন এসব দলিল থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এতে যে কতটা বিচলিত হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নেতৃস্থানীয় লোকজনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ থেকে। গোপন তথ্য প্রকাশের পরপরই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা টম ফ্লানাগান সিবিসি টেলিভিশনকে বলেছিলেন, উইকিলিকসের প্রধান উদ্যোক্তা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হত্যা করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের বিগত নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারা পলিন তো তাঁকে আল কায়েদার এজেন্ট বলতেও দ্বিধা করেননি। কয়েক সিনেটরও অ্যাসাঞ্জকে হত্যা করাসহ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁরা তাঁকে 'সাইবার টেররিস্ট' বা 'টেররিস্ট' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। সব শেষে সুইডেনে একটি ধর্ষণের অভিযোগে লন্ডনে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অভিযোগটিকে অনেকেই মিথ্যা বলেই মনে করছেন। অ্যাসাঞ্জও তা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছেন। উইকিলিকসকে যে সব সংস্থা ওয়েবসাইট হোস্ট করেছিল, সেগুলো থেকে সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা সাইবার নেটওয়ার্ক থেকে উইকিলিকসের সব তথ্য মুছে ফেলার জন্যও প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাতে কোনো লাভ হবে না। ইতিমধ্যে দুনিয়াব্যাপী এসব তথ্য এমনভাবে প্রচারিত হয়েছে যে একে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। বিশ্বের বড় মিডিয়াগুলো তো অবশ্যই, এমনকি ছোটখাটো মিডিয়াগুলোও এসব তথ্য তাদের ব্যক্তিগত স্টোরেজে নিয়ে গেছে। দুনিয়াব্যাপী আগ্রহী ব্যক্তিরাও এসব তথ্য ডাউনলোড করে রেখেছেন। তা ছাড়া অতিরিক্ত সাবধানতা হিসেবে উইকিলিকস নিজেও এসব তথ্য শতাধিক স্থানে বিশেষ এনক্রিপ্টেড অবস্থায় রেখে দিয়েছে, যাতে অন্য কারো প্রবেশাধিকার নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করার পরও উইকিলিকসে নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে।
উইকিলিকস এবং জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর সহযোগীদের ব্যাপারে আমরা সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাগুলোকেও যদি সত্য বলে ধরে নিই_তা হলে কি হবে? সেই খারাপগুলো কি হতে পারে? অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর সহযোগীদের হত্যা করা হতে পারে। উইকিলিকসকে সাইবার নেটওয়ার্ক থেকে উচ্ছেদ করা যেতে পারে। কিন্তু তাতে কি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দুনিয়াব্যাপী কুকর্মের ইতিহাস ঢাকা পড়ে যাবে? কখনো না। নতুন নতুন অ্যাসাঞ্জ তৈরি হবে। তাঁরা অ্যাসাঞ্জের শূন্যস্থান পূরণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাদের দুষ্কর্ম যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য সাইবার নেটওয়ার্কে নতুন নতুন ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বাংলায় একটি প্রবচন আছে, 'পাপ বাপকেও ছাড়ে না।' সত্যকে কখনো অসত্য দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। তার প্রমাণও অতীতেও রয়েছে। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দার্শনিক, ভাষাতত্ত্ববিদ ও রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী নোয়াম চমস্কি ও তাঁর দুই বন্ধু ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের সময় পেন্টাগনের অনেক গোপন দলিল ফাঁস করে দিয়েছিলেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতায় তিনি তীব্রভাবে মুখর ছিলেন। এ জন্য তাঁকে হত্যার বহু হুমকি দেওয়া হয়েছে, চেষ্টাও করা হয়েছে এবং বাধ্যতামূলকভাবে পুলিশি নিরাপত্তায় তথা বন্দি অবস্থায়ও তাঁকে থাকতে হয়েছে। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) একজন অধ্যাপক হিসেবে ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাঁর চলাচল সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অন্যতম প্রবক্তা হলেও ইরাক আক্রমণের সময় দেশটি একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল আল জাজিরা টেলিভিশনের সঙ্গেও। ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ নিউইয়র্ক স্টক এঙ্চেঞ্জে (এনওয়াইএসই) আল জাজিরাসহ বেশ কিছু বার্তা সংস্থার শেয়ার লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল। এনওয়াইএসইর মুখপাত্র সেদিন বলেছিলেন, 'নিরাপত্তাজনিত কারণে' এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেছিলেন, কেবল সে সব নেটওয়ার্ককেই ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যারা 'দায়িত্বশীল' সংবাদ পরিবেশন করছে। আসলে এর দুই দিন আগে, অর্থাৎ ২২ মার্চ, আল জাজিরা এমন কিছু ফুটেজ দেখিয়েছিল, যা মার্কিন প্রশাসনকে বেজায় ক্ষুব্ধ করেছিল। একই ব্যবস্থা পরে অন্যান্য স্টক মার্কেটেও নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, চুক্তি ভঙ্গ করে আকামি টেকনোলজিস নামের মার্কিন কম্পানিটি আল জাজিরার ইংলিশ সার্ভিস ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আল জাজিরা ফ্রান্সের একটি ওয়েব হোস্টিং কম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। আল জাজিরা আজ বিশ্বব্যাপী একটি নন্দিত প্রচার মাধ্যম। প্রযুক্তি যত এগুচ্ছে তথ্যপ্রবাহের সুযোগ-সুবিধা ততো বাড়ছে। অবদমনের সুযোগ ততো কমছে। সুতরাং বলা যায়, উইকিলিকসের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র সেই প্রাচীন নীতিই অনুসরণ করছে, যা কাম্য নয়। বরং কাম্য হচ্ছে, অবাধ তথ্যপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত না করে সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা_যা তারা বরাবরই অন্য রাষ্ট্রগুলোকে শিক্ষা দিয়ে আসছে। আর সে জন্য প্রথমেই তাদের পৃথিবীব্যাপী অন্যায় আচরণ বন্ধ করতে হবে, যাকে সারা দুনিয়া 'কুকর্ম' হিসেবেই দেখে থাকে।
ভূ-রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের অঞ্চলভিত্তিক উপ-দপ্তর রয়েছে। নিরন্তর গবেষণা ও নতুন নতুন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ থেমে নেই। একই সঙ্গে নিত্যনতুন কৌশল উদ্ভাবন করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিস্তর হিসাব-নিকাশ করেই তারা ভূ-রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার যে দাবি শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী দীর্ঘদিন থেকে করে আসছে তাতে দেশটি কর্ণপাত করছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েল কয়েক বছর ধরেই ইরানবধের মহড়া দিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে আমরা এমনো জানতে পেরেছি, স্বয়ং সৌদি বাদশাহও যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান আক্রমণে উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওই যে বললাম 'হিসাব-নিকাশ', তা অনুকূলে নয় বলে তারা সম্ভবত এখনো ইরানবধে নামেনি। মাত্র কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিং ইনস্টিটিউট আরব জগতে একটি ব্যাপকভিত্তিক জনমত জরিপ করেছে। তাতে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ আরব নাগরিক মনে করে তাদের জন্য প্রধান হুমকি হচ্ছে ইসরায়েল। ৭৭ শতাংশ মনে করে তাদের জন্য দ্বিতীয় প্রধান হুমকি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে হুমকি মনে করে মাত্র ১০ শতাংশ। শুধু তা-ই নয়, ৫৭ শতাংশ আরব নাগরিকই মনে করে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্যই ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা প্রয়োজন। এই জনমত যে একেবারে উপেক্ষা করার মতো নয়, সে বোধটুকুই সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান আক্রমণে বিরত রেখেছে।
বাংলায় একটি প্রবচন আছে, 'তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে'। প্রবাদ-প্রবচন হচ্ছে অভিজ্ঞতার নির্যাস। এগুলো একেবারে মিথ্যা হয় না। তার কিছু প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র নিজেই রেখেছে। আফগানিস্তান থেকে রুশ বাহিনীকে তাড়ানোর জন্য তারা পাকিস্তানের সহায়তায় ধর্মান্ধ আফগানদের নিয়ে তালেবান বাহিনী তৈরি করেছিল। সেই তালেবানদের হাতেই এ পর্যন্ত মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর কয়েক হাজার সৈনিককে প্রাণ দিতে হয়েছে। আল কায়েদাও তাদেরই সৃষ্টি। মিত্রদের অনেকেই আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে বা নিতে চাইছে। এখন উইকিলিকস এবং জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া সরাসরি মার্কিন বিরোধিতায় নেমেছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন, গোপন নথি ফাঁসের জন্য উইকিলিকস দায়ী নয়, দায়ী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা অ্যাসাঞ্জকে আইনি সহযোগিতা প্রদানেরও ঘোষণা দিয়েছে।
অর্থনৈতিক শক্তিমত্তার দিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ক্রমেই পেছনে পড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা তারা এখনো ঠিকমতো সামলে উঠতে পারেনি। অন্যদিকে জাপান, চীন, ভারত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে চলে যাচ্ছে। ন্যাটোর ইউরোপীয় মিত্ররাও এখন আর আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বশংবদ থাকতে রাজি হচ্ছে না। এ অবস্থায় ওবামার প্রশাসন কি পূর্বসূরিদেরই অনুসরণ করে যাবে! উইকিলিকস একটি অতি ছোট সংগঠন। অবাধ তথ্য প্রবাহের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এটি সামান্য উদ্যোগ নিয়েছিল। তাকে এভাবে দমন করা যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির জন্যই ক্ষতিকর হচ্ছে। আজ যদি সারা দুনিয়ায় উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে একটি জনমত জরিপ করা হয়, তাহলে অনেকেরই ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবে হেরে যাবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মনে উইকিলিকস যে ঝড় তৈরি করেছে, তা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে যাবে না।
==============================
দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ! ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব মুক্তির গান এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে! খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি ট্রেনের ওপর ট্রেন সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক' আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর? আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব' স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক' খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ ফরহাদ মাহমুদ
এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ! ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব মুক্তির গান এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে! খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি ট্রেনের ওপর ট্রেন সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক' আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর? আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব' স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক' খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ ফরহাদ মাহমুদ
এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
No comments