প্রত্নতত্ত্ব- মহাস্থানগড়ের ধ্বংস-পরিস্থিতিঃ পর্যবেক্ষণ

হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের কারণে মহাস্থানগড়ে মাজার উন্নয়নের নামে পরিচালিত প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনাদি ধ্বংসের অপতৎপরতা আপাতত বন্ধ রয়েছে। এই খবরটি পেয়ে আমরা সাময়িক স্বস্তি বোধ করছি। রিট পিটিশন দাখিলকারী হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আইনজীবীদের, বগুড়ার সংগঠক বন্ধু ও সহকর্র্মীদের, মিডিয়া-কর্মীদের আর উচ্চ আদালতকে আমরা মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
তবে আমরা জানি যে প্রত্নস্থান ধ্বংসের এই তৎপরতা এভাবে সাময়িকভাবেই বন্ধ রাখা যাবে। সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোর অকর্মণ্যতা ও ব্যর্থতা এ ঘটনা আরো উলঙ্গ করে দিয়েছে। পাশাপাশি সরকারের বাইরের তৃণমূল পর্যায়ে যূথবদ্ধ তৎপরতা ও লড়াই বাংলাদেশে প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন ধ্বংস প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে; এ ঘটনা তারই প্রমাণ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত প্রথমে আমরা এই নিন্দনীয় এবং বিক্ষুব্ধ হওয়ার মতো খবরটা জানতে পারি। পরবর্তী সময়ে বগুড়ার মহাস্থানের বন্ধু, সহকর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগ করে আমরা আরো বিশদ তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ তথ্যাদি আমাদের হতাশা ও ক্রোধকে আরো ঘনীভূত করেছে। বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও ধারাবাহিকভাবে বসতির কেন্দ্র দুর্গনগরীগুলোর অন্যতম প্রাচীন পুণ্ড্রনগরী, আর আজকের মহাস্থানগড়ের সীমানাপ্রাচীরের ওপর অবস্থিত সুলতান মাহীসওয়ারের মাজারসংলগ্ন এলাকায় প্রাচীর ধ্বংস করে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য গর্ত খোঁড়া হয়েছে। আরো তাজ্জব কথা হলো, বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোক্তা, 'মাজার উন্নয়ন কমিটির' সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপূর্ণ পদে বহাল দুজন কর্মর্কর্তা_যথাক্রমে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য। তাঁরা প্রচ্ছন্নভাবে এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এদিকে তাঁরা বলছেন যে নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা কাজ বন্ধ করবেন; অন্যদিকে খোঁড়াখুঁড়ি অব্যাহত থাকে। ইতিমধ্যে ৩৫টি বড় গর্ত খোঁড়া হয়েছে। গর্ত খোঁড়ার কারণে হওয়া ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণীয় নয়। আমরা তাঁদের এই কৃতকর্মের ব্যাখ্যা দাবি করছি; আর আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহাস্থানগড়ের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় সম্পদের ধ্বংস স্থায়ীভাবে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনতিবিলম্বে গ্রহণ করবেন।
আমরা মহাস্থানগড়সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন প্রত্নস্থানে দীর্ঘদিন ধরেই জরিপ, খনন ও জনপ্রত্নতত্ত্ববিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করে আসছি। আমাদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত পরিতাপ ও ক্ষোভের সঙ্গে বলতে পারি যে মহাস্থানগড় (মূল দুর্গনগরী) এবং সংলগ্ন অঞ্চলের ১৫০টিরও বেশি প্রত্নস্থান, যেগুলোর বেশির ভাগই স্থাপত্যিক কাঠামোবিশিষ্ট ঢিবি, বছরের পর বছর ধরে আইনি অসংগতি, কর্তৃপক্ষের অচলতা, প্রশাসনের দুর্নীতি, কর্মকর্তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত সবজান্তা-ভাবের শিকার হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পারছেন না। এ প্রসঙ্গে কথা বলে আমরা তাঁদের অসহায়ত্ব, নিরাপত্তাহীনতা, ব্যর্থতা-উদ্ভূত-সংক্ষোভ ও বেদনার বোধে বারবার আক্রান্ত হয়েছি। মহাস্থানগড় ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্তির অপেক্ষায় আছে। গড় এলাকায় ১৭ বছর ধরে পরিচালিত বাংলাদেশ-ফ্রান্স যৌথ খননের ফলে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানসম্মত স্তরবিন্যাসভিত্তিক পদ্ধতিতে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ইতিহাস জানার পথ সুগম হয়েছে। আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, দক্ষিণ এশিয়ায় এ মুহূর্তে মহাস্থানগড়ের প্রত্নতত্ত্ব চর্চা একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। আবার একই সময়ে মথুরা ধাপ, ছোট ট্যাংরা ধাপ, বড় ট্যাংরা ধাপসহ মহাস্থানের অনেক প্রত্ন-ঢিবিই খোঁড়াখুঁড়ি করে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং লোপাট হয়েছে। বিস্ময়করভাবে আমাদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সাধারণ মানুষ নয়; বরং এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বেশির ভাগই সরকারি কর্মকর্তাদের সরাসরি বা প্রচ্ছন্ন সংশ্লিষ্টতায় পরিচালিত হচ্ছে। প্রত্নস্থানটির আয়তন বিশাল হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা খুঁড়লেই প্রত্ননিদর্শন উন্মোচিত হয়। এটি এই প্রত্নস্থানটির ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্তি্বক গুরুত্বের একটি বড় ও অতুলনীয় প্রমাণ। কিন্তু প্রত্নস্থানটি বিশাল হওয়ার অর্থ এই নয় যে আমরা এটির কোনো কোনো অংশ কম গুরুত্বপূর্ণ বলে ধ্বংস করে ফেলতে পারি। কিংবা ভবন নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি যেমনটি বলেছেন যেসব জায়গায় প্রত্ননিদর্শন পাওয়া যায় বলে কোনো কোনো প্রত্ননিদর্শনকে গুরুত্ব না দিলেও হয়।
মহাস্থানের প্রত্নতত্ত্বের সাম্প্র্রতিক নব নব উদ্ভাস বাংলাদেশের প্রত্নতাত্তি্বক হিসেবে আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আর এই মহার্ঘ ও অনন্য বিপুলায়তন প্রত্নস্থানটির ধ্বংস_তাও আমাদের নিজেদের হাতে, আমাদের ক্লেদাক্ত, বিমর্ষ ও ক্ষুব্ধ করে। যখন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর মাজার উন্নয়ন কমিটি সংশ্লিষ্ট কোনো ক্ষমতাধর ব্যক্তি এই ধ্বংসের পক্ষে সাফাই গান কিংবা এই ধ্বংস প্রতিরোধে তৎপর মানুষজনকে হুমকি-ধমকি দেন, তখন আমরা অসহায় বোধ করতে থাকি। সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন গবেষণার অভিজ্ঞতা ও ফলাফলের সূত্রে এবং তৃণমূল পর্যায়ে গড়ে ওঠা কাজের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে আমরা অনুমান করতে পারি, মাজার উন্নয়নের নামে বহুতল ভবন নির্মাণকে বৈধতা দিতে তৎপর এসব 'শিক্ষিত', 'সচেতন' ও নীতিনির্ধারক রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা এবং স্বার্থকেন্দ্রিক-সংহতিতে আবদ্ধ সরকারি-বিরোধীদলীয় স্থানীয় ক্ষমতাবানরা সম্ভবত 'অন্য' অসৎ ও অনৈতিক উদ্দেশ্যতাড়িত। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো, ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত ঐতিহ্য-ভোক্তা নাগরিকরা তৃণমূলের এই ধান্দা-স্বার্থ-সংহতিকে বুঝতে অক্ষম। তাই তাঁরা মহাস্থানগড়কে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য যতটা তৎপর, প্রত্নস্থান-পর্যটনকেন্দ্রিক সরকারি ও বিদেশি অর্থ সংগ্রহে যতটা সক্রিয়, এই প্রত্নস্থানকে রক্ষা করার লাগসই তরিকাগুলো খুঁজে বের করতে ততটাই নির্লিপ্ত। ইদানীং হেরিটেজ ব্যবস্থাপনায় ভ্যালু বা মানদণ্ডকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই ধারণা ও চর্চায় একটি প্রত্নস্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কিত মানুষ আচরণ, তৎপরতা, ধর্মীয় অনুশীলনকে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে।
আমরা কখনো বলছি না যে ওই স্থান থেকে মাজার অপসারণ করা হোক। মাজারটি মহাস্থানের মহত্তম একটি স্থান হয়ে ওঠার আখ্যানের অংশ। প্রচলিত অ্যানটিকুইটি অ্যাক্ট ১৯৬৮-এর সীমাবদ্ধতা অনেক। সেটি সংস্কার ও পরিমার্জনের কাজও থেমে আছে। সরকারি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকবল অনেক কম। দক্ষ জনবলের দারুণ অভাব। নেতৃত্বে পেশাদার প্রত্নতাত্তি্বকের অনুপস্থিতি সমস্যাজনক। সরকারি অর্থ বরাদ্দ অনেক কম। এসব বাধা অতিক্রম করেও বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্য থেকেই 'মাজার উন্নয়নের' নামে ঐতিহ্য ধ্বংসের এই কর্মকাণ্ড আপাতত বন্ধ করা সম্ভব। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৬৮-এর আইনের ১২ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও ওই জমির মালিক মাজার কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা ও চুক্তির মাধ্যমে সেটা খুব দ্রুতই করা যেতে পারে বলে আমরা মনে করি। তবে নতজানু হয়ে জমির মালিক মাজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অন্য কোনো ধরনের সমঝোতার চেষ্টা করা আত্মবিধ্বংসী হবে। যেমনটা শোনা যাচ্ছে, সমঝোতার মাধ্যমে তেমনটি আগে খনন করে, নথিভুক্তকরণ করে, এরপর ভবন নির্মাণের জন্য ছাড় দিলে সেটা হবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধ্বংসের উদ্যোগ। খননের নামে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর কর্তৃক এর আগে এমন ধ্বংসের অনেক উদাহরণও আমাদের সামনে আছে।
আমরা আশঙ্কা করি, প্রস্তাবিত সমঝোতা না করা গেলে পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক ও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এড়ানোর জন্য অসাধুদের কৌশল খুঁজে পেতে সমস্যা হয় না। এখানে যখন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-বিভিন্ন দলীয় নেতা-অন্য স্থানীয় স্বার্থান্বেষী চক্র ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তখন আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আর অ্যানটিকুইটি অ্যাক্ট ১৯৬৮-এর যথাযথ পরিবর্তন-পরিমার্জন-যুগোপযোগীকরণ করা ছাড়া প্রত্নস্থানের অনবরত ধ্বংসযজ্ঞ স্থায়ীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তা করার জন্যও কি আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে?
==========================
ওয়ান-ইলেভেনের চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে!  ডিসেম্বরঃ গৌরব ও গর্বের মাস  উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র  দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে  উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ  আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন  ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত  ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ!  ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের  কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ  নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক  সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত  বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব  মুক্তির গান  এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান  জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন  সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প  রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন  বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব  প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও  স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া  আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম  মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত  আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে!  খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি  ট্রেনের ওপর ট্রেন  সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ  আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা  আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা  বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি  আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক'  আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর?  আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব'  স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক'  খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ স্বাধীন সেন, মাসউদ ইমরান, মোহাম্মদ কামাল হোসেন আকন্দ, সাইফুর রহমান পলিন, নাজমুস সাকিব, সারোয়ার বাশার, অনন্যা জুলফিকার শাঁওলী


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.