ইসরায়েলকে মানাতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র
পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ বন্ধে ইসরায়েলকে রাজি করাতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার এ দায় স্বীকার করে বসতি নির্মাণ বন্ধের দাবি থেকেও সরে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে তারা শান্তি-প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দুই পক্ষকে পরোক্ষ আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।
ইসরায়েলের ‘একগুঁয়েমির’ কারণে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধে ওয়াশিংটনের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিন। গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা এই অভিযোগ করেন। ইসরায়েলের এমন অবস্থানের কোনো প্রতিবাদ যুক্তরাষ্ট্র না জানানোয় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। এতে এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। দুই পক্ষের নেতারা তিন দফায় আলোচনা করেন। ২৬ সেপ্টেম্বর অধিকৃত ভূমিতে বসতি নির্মাণ বন্ধের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে ইসরায়েল নতুন করে বসতি নির্মাণ শুরু করে। এখন ফিলিস্তিন আলোচনা থেকে সরে আসে। ফিলিস্তিনের দাবি, সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরুর আগে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে হবে। কিন্তু ইসরায়েল এই প্রস্তাবে রাজি নয়।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, অর্থপূর্ণ ও টেকসই আলোচনায় দুই পক্ষকে ফিরিয়ে আনতে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়া ধরে রাখার অঙ্গীকার করেন। ক্রাউলি জানান, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি আলোচকেরা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যাবেন। শান্তি-প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে এর মূল উদ্দেশ্য। এতে দুই পক্ষের পরোক্ষ আলোচনা হতে পারে।
ফিলিপ ক্রাউলি আরও বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে উভয় পক্ষকে প্রত্যক্ষ আলোচনায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে দুই পক্ষের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করবে।
ফিলিস্তিনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইয়াসির আবেদ রাব্বো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সরাসরি আলোচনার ব্যাপারে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, ওয়াশিংটন দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। এর মাধ্যমে শান্তি-প্রক্রিয়াকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভয়েস অব প্যালেস্টাইন রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবেদ রাব্বো আরও বলেন, ইসরায়েলের একগুঁয়েমির কারণে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়ার কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০ বছর ধরে শান্তি-প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। কোনো সময়ই সরাসরি আলোচনার আগে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করার কোনো শর্ত ছিল না।
ইসরায়েলের ‘একগুঁয়েমির’ কারণে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধে ওয়াশিংটনের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিন। গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা এই অভিযোগ করেন। ইসরায়েলের এমন অবস্থানের কোনো প্রতিবাদ যুক্তরাষ্ট্র না জানানোয় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। এতে এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। দুই পক্ষের নেতারা তিন দফায় আলোচনা করেন। ২৬ সেপ্টেম্বর অধিকৃত ভূমিতে বসতি নির্মাণ বন্ধের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে ইসরায়েল নতুন করে বসতি নির্মাণ শুরু করে। এখন ফিলিস্তিন আলোচনা থেকে সরে আসে। ফিলিস্তিনের দাবি, সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরুর আগে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াতে হবে। কিন্তু ইসরায়েল এই প্রস্তাবে রাজি নয়।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, অর্থপূর্ণ ও টেকসই আলোচনায় দুই পক্ষকে ফিরিয়ে আনতে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়া ধরে রাখার অঙ্গীকার করেন। ক্রাউলি জানান, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি আলোচকেরা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যাবেন। শান্তি-প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে এর মূল উদ্দেশ্য। এতে দুই পক্ষের পরোক্ষ আলোচনা হতে পারে।
ফিলিপ ক্রাউলি আরও বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে উভয় পক্ষকে প্রত্যক্ষ আলোচনায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে দুই পক্ষের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করবে।
ফিলিস্তিনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইয়াসির আবেদ রাব্বো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সরাসরি আলোচনার ব্যাপারে অগ্রসর হওয়া অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, ওয়াশিংটন দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। এর মাধ্যমে শান্তি-প্রক্রিয়াকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভয়েস অব প্যালেস্টাইন রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবেদ রাব্বো আরও বলেন, ইসরায়েলের একগুঁয়েমির কারণে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়ার কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০ বছর ধরে শান্তি-প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। কোনো সময়ই সরাসরি আলোচনার আগে বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করার কোনো শর্ত ছিল না।
No comments