সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না
বাংলাদেশে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে কাঙ্ক্ষিত বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতা, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কাজের সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতি ইত্যাদি বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে।
ঢাকা শেরাটন হোটেলে গতকাল বুধবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত মাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক, রেল ও বন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করতে হবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক জ্যাক গ্যারিটি। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি, বোস্টন ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিজের প্রেসিডেন্ট গুস্তাভ এফ পাপানেক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (যিনি প্রধানমন্ত্রীকে তথ্যপ্রযুক্তিসেবা বিষয়ে পরামর্শ দেন) এবং অ্যামচেমের সভাপতি আফতাব উল ইসলাম।
গুস্তাভ এফ পাপানেক বলেন, ‘এ দেশে বড় বিনিয়োগ নিয়ে কেউ এলে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। সরকারের উচ্চপর্যায় পর্যন্ত যেতে হয়। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হন।’ তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। কেননা প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে কেউ বিনিয়োগ করে ফেললে তা সহজে সরিয়ে নিতে আগ্রহী হবেন না।
এফ পাপানেক আরও বলেন, চীন সমাজতান্ত্রিক দেশ হলেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। বাংলাদেশ জ্বালানি ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ নিতে পারে।
এস এ সামাদ বলেন, ‘এ দেশে বিনিয়োগ করতে এলে উদ্যোক্তাদের নানা ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। সে জন্য বিনিয়োগকারীদের অফিসে অফিসে ঘুরানোর সংস্কৃতি বদলাতে হবে। কেননা তাঁরা আমাদের গ্রাহক। তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারলে আমাদের চাকরি থাকা উচিত নয়।’
জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, প্রশাসনিক জটিলতা ও দুর্নীতি বাংলাদেশের বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ ছাড়া বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার কাজে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। এমন ধরনের বিনিয়োগ নীতি প্রণয়ন করা উচিত যাতে বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়।
সজীব ওয়াজেদ ট্রানজিট ও আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্পর্কে সজীব ওয়াজেদ বলেন, এই সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বিএনপি বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এত দিন এই অবস্থানগত সুবিধা নিতে পারেনি। সে জন্য বর্তমান সরকার ট্রানজিট ও আঞ্চলিক যোগাযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে। এ ছাড়া আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বমানে পৌঁছে যাবে বলে সজীব ওয়াজেদ উল্লেখ করেন।
জ্যাক গেরেটি তাঁর মূল প্রবন্ধে বলেন, চীন, ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো তিনটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মাঝে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান। এই বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারে।
ঢাকা শেরাটন হোটেলে গতকাল বুধবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত মাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক, রেল ও বন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করতে হবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক জ্যাক গ্যারিটি। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি, বোস্টন ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিজের প্রেসিডেন্ট গুস্তাভ এফ পাপানেক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (যিনি প্রধানমন্ত্রীকে তথ্যপ্রযুক্তিসেবা বিষয়ে পরামর্শ দেন) এবং অ্যামচেমের সভাপতি আফতাব উল ইসলাম।
গুস্তাভ এফ পাপানেক বলেন, ‘এ দেশে বড় বিনিয়োগ নিয়ে কেউ এলে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। সরকারের উচ্চপর্যায় পর্যন্ত যেতে হয়। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হন।’ তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। কেননা প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে কেউ বিনিয়োগ করে ফেললে তা সহজে সরিয়ে নিতে আগ্রহী হবেন না।
এফ পাপানেক আরও বলেন, চীন সমাজতান্ত্রিক দেশ হলেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। বাংলাদেশ জ্বালানি ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ নিতে পারে।
এস এ সামাদ বলেন, ‘এ দেশে বিনিয়োগ করতে এলে উদ্যোক্তাদের নানা ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। সে জন্য বিনিয়োগকারীদের অফিসে অফিসে ঘুরানোর সংস্কৃতি বদলাতে হবে। কেননা তাঁরা আমাদের গ্রাহক। তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারলে আমাদের চাকরি থাকা উচিত নয়।’
জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, প্রশাসনিক জটিলতা ও দুর্নীতি বাংলাদেশের বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ ছাড়া বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার কাজে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। এমন ধরনের বিনিয়োগ নীতি প্রণয়ন করা উচিত যাতে বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়।
সজীব ওয়াজেদ ট্রানজিট ও আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্পর্কে সজীব ওয়াজেদ বলেন, এই সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বিএনপি বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এত দিন এই অবস্থানগত সুবিধা নিতে পারেনি। সে জন্য বর্তমান সরকার ট্রানজিট ও আঞ্চলিক যোগাযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে। এ ছাড়া আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বমানে পৌঁছে যাবে বলে সজীব ওয়াজেদ উল্লেখ করেন।
জ্যাক গেরেটি তাঁর মূল প্রবন্ধে বলেন, চীন, ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো তিনটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মাঝে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান। এই বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারে।
No comments