দক্ষিণ আমেরিকা ও আলাস্কায় দ্রুতগতিতে বরফ গলছে
দক্ষিণ আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় হিমবাহগুলো দ্রুত গলছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘ থেকে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মেক্সিকোর কানকুনে জলবায়ু সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম, কানাডার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সুমেরু অঞ্চলের হিমবাহগুলো আগামী দশকগুলোতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অঞ্চলের হিমবাহ দেড় শ বছর আগে থেকে গলতে শুরু করেছে। তবে গত শতকের আশির দশকের পর এই গলার পরিমাণ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ১৯৬০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার সর্বদক্ষিণে প্যাটাগোনিয়া ও আলাস্কায় হিমবাহ গলে এ অঞ্চল দুটির বরফ স্তর যথাক্রমে ৩৫ মিটার ও ২৫ মিটার পাতলা হয়ে গেছে।
ইউএনইপি বলেছে, মূলত উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমবাহ গলছে। এ ছাড়া বায়ুমণ্ডলে জমা ধোঁয়ার কারণে সূর্যের আলো থেকে সৃষ্ট তাপ পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে না পারার কারণেও হিমবাহ গলছে। হিমবাহ গলার ফলে বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। নদীতে কমছে পানির পরিমাণ। এ ছাড়া খাদ্য সরবরাহও কমে যাচ্ছে।
ইউএনইপির মেরুবিষয়ক সমন্বয়ক জন ক্র্যাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহযোগিতা করা দরকার।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী হিমবাহ গলার পরিমাণ বাড়লেও নরওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডসহ অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানে হিমবাহের আকার বেড়েছে।
হিমবাহ গলার ফলে গত ৪০ বছরে বিশ্বের প্রায় সবখানেই বন্যার পরিমাণ বেড়েছে। এর ফলে সৃষ্ট খাল থেকে সেচের মাধ্যমে পানি কমিয়েছে পেরু। একই ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে নেপাল ও ভুটান। তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। তা ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রযুক্তিগতভাবেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
হিমালয় অঞ্চলে হিমবাহ গলার ফলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নরওয়ে সরকার এক কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি অনুদান ঘোষণা করেছে। দেশটির পরিবেশমন্ত্রী এরিক সোলহেইম বলেন, হিমবাহ গলার ফলে ভারত, পাকিস্তান ও চীন—এই তিনটি দেশের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে পাঁচ বছরব্যাপী এ সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়াই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে নরওয়ে এ পরিস্থিতির সম্পূর্ণ উল্টো দিকে অবস্থান করছে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের মুখপাত্র মাধব কার্কি একটি বৈমানিক আলোকচিত্রের বরাত দিয়ে জানান, হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে বছরে পাঁচ থেকে ১৫ মিটার হিমবাহ গলছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে ৪০ শতাংশ বন্যাই এশিয়ায় হয়েছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বন্যায় এ অঞ্চলের ১০০ কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানে এ বছরের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এক হাজার ৭০০ লোক মারা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম, কানাডার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সুমেরু অঞ্চলের হিমবাহগুলো আগামী দশকগুলোতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অঞ্চলের হিমবাহ দেড় শ বছর আগে থেকে গলতে শুরু করেছে। তবে গত শতকের আশির দশকের পর এই গলার পরিমাণ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ১৯৬০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার সর্বদক্ষিণে প্যাটাগোনিয়া ও আলাস্কায় হিমবাহ গলে এ অঞ্চল দুটির বরফ স্তর যথাক্রমে ৩৫ মিটার ও ২৫ মিটার পাতলা হয়ে গেছে।
ইউএনইপি বলেছে, মূলত উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমবাহ গলছে। এ ছাড়া বায়ুমণ্ডলে জমা ধোঁয়ার কারণে সূর্যের আলো থেকে সৃষ্ট তাপ পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে না পারার কারণেও হিমবাহ গলছে। হিমবাহ গলার ফলে বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। নদীতে কমছে পানির পরিমাণ। এ ছাড়া খাদ্য সরবরাহও কমে যাচ্ছে।
ইউএনইপির মেরুবিষয়ক সমন্বয়ক জন ক্র্যাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহযোগিতা করা দরকার।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী হিমবাহ গলার পরিমাণ বাড়লেও নরওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডসহ অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানে হিমবাহের আকার বেড়েছে।
হিমবাহ গলার ফলে গত ৪০ বছরে বিশ্বের প্রায় সবখানেই বন্যার পরিমাণ বেড়েছে। এর ফলে সৃষ্ট খাল থেকে সেচের মাধ্যমে পানি কমিয়েছে পেরু। একই ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে নেপাল ও ভুটান। তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। তা ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রযুক্তিগতভাবেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
হিমালয় অঞ্চলে হিমবাহ গলার ফলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নরওয়ে সরকার এক কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি অনুদান ঘোষণা করেছে। দেশটির পরিবেশমন্ত্রী এরিক সোলহেইম বলেন, হিমবাহ গলার ফলে ভারত, পাকিস্তান ও চীন—এই তিনটি দেশের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে পাঁচ বছরব্যাপী এ সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়াই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে নরওয়ে এ পরিস্থিতির সম্পূর্ণ উল্টো দিকে অবস্থান করছে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের মুখপাত্র মাধব কার্কি একটি বৈমানিক আলোকচিত্রের বরাত দিয়ে জানান, হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে বছরে পাঁচ থেকে ১৫ মিটার হিমবাহ গলছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে ৪০ শতাংশ বন্যাই এশিয়ায় হয়েছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বন্যায় এ অঞ্চলের ১০০ কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানে এ বছরের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এক হাজার ৭০০ লোক মারা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
No comments