মুক্তিযুদ্ধ- মুক্তির গান by তারেক মাসুদ
লিয়ার লেভিন নিউজরিল ফটোগ্রাফার ছিলেন না, ছিলেন ক্যামেরার কবি। অন্যান্য সাংবাদিকের মতো যুদ্ধবিগ্রহের ছবি তুলতে তিনি আসেননি, এসেছিলেন মুক্তির সংগ্রামের মহাকাব্যের ছন্দকে তাঁর ক্যামেরায় ধারণ করতে। তাই ফটোসাংবাদিকের ক্যামেরা যেখানে থেমে গেছে, ঠিক সেখান থেকে শুরু হয়েছে লিয়ারের ক্যামেরা। আর তার ফলেই আমরা মুক্তির গান-এ তৈরি করতে পেরেছি কিছু সিনেমাটিক ও মানবিক মুহূর্ত। এ রকম দু-একটি সিকোয়েন্স নেপথ্য-নির্মাণের গল্প পাঠকের গোচরে আনতে চাই। বৃষ্টি-কাদার মধ্যে একদল মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখসমরে এগিয়ে চলেছে।
লিয়ার তাদের দ্রুত হাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারী ক্যামেরা হাতে ধরে হেঁটে হেঁটে ছবি তুলে গেছেন। কখনো তাদের পেছন থেকে, কখনো পাশ থেকে আবার কখনো সামনে থেকে নিজের পেছন দিকে হেঁটে হেঁটে। আর একটি সিকোয়েন্স রয়েছে লিয়ারের ফুটেজে, তা হলো, শরণার্থী শিবিরের অলিগলি দিয়ে বেনু ভাইয়ের নেতৃত্বে শিল্পীরা গান গেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পীদের পেছনে শরণার্থীদের লম্বা মিছিল। বেনু ভাইয়ের গলায় গামছা দিয়ে ঝোলানো হারমোনিয়াম। তাঁর পেছনে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। এই গানের মিছিলের দৃশ্যের সঙ্গে কোনো সাউন্ড রের্কড না থাকায় শিল্পীরা কী গান গাইছে বোঝার উপায় ছিল না। এ কারণে ’৯৩ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে বেনু ভাই, শাহীন সামাদসহ সব শিল্পীকে দিয়ে একাত্তরে তাঁদের গাওয়া প্রায় সব কটি গানই নতুন করে ডন স্টুডিওতে রেকর্ড করলাম। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ল। শরণার্থী শিবিরের মিছিলের গানটাই শুধু নয়, আরও তিন-চারটি সিকোয়েন্স শব্দহীন দৃশ্যের সঙ্গে মিলে যায় অথবা মিলিয়ে দেওয়া যায় এ রকম তিন-চারটি গান পেয়ে গেলাম। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘এই না সোনার বাংলা’, ‘দেশে দেশে ভ্রমি তব দুঃখ গান গাহিয়া’, ‘যশোর, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল’ ইত্যাদি। কিন্তু নতুন করে গাওয়া গানগুলোর মধ্যে একটি গান ‘বাংলা মা’র দুর্নিবার আমরা তরুণ দল’ গানটি শরণার্থী মিছিলের গানের দৃশ্যের সঙ্গে মিলে গেল। গানের প্রথম অংশটি গানের মিছিলের সঙ্গে ব্যবহার করে, শেষ অংশের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মার্চের দৃশ্যগুলো জুড়ে দিলাম। ক্যাথরিনের সম্পাদনার গুণে গান ও মার্চের ছন্দ একাকার হয়ে গেল। এভাবেই দুটো বিচ্ছিন্ন ও নিঃশব্দ সিকোয়েন্স একটি অসাধারণ ও লাগসই গানের মাধ্যমে অভিন্ন সিকোয়েন্সের রূপ ধারণ করল। কিন্তু প্রামাণ্য চিত্রটির নেপথ্য নাটকের এখানেই শেষ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি, বৃষ্টির প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে একটি টিনের চালের স্কুলঘরে যাত্রাবিরতি করে। কিন্তু লিয়ারের ক্যামেরা বিরতি নেয় না। বাইরের মুষলধারে বৃষ্টি আর ভেতরে আলো অন্ধকারে চিকচিক করা মুক্তিযোদ্ধাদের চোখ ও মুখাবয়ব লিয়ারের সৃষ্টিশীল অনুসন্ধানী চোখ এড়িয়ে যায় না। মুক্তিযোদ্ধাদের এই অবিস্মরণীয় প্রতিকৃতিগুলো মুক্তির গানে ব্যবহারের লোভ কোনোভাবেই সামলাতে পারছিলাম না। কিন্তু কীভাবে ব্যবহার করব? একেকজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর দীর্ঘ সময় ধরে থাকা শটগুলো দেখে মনে হচ্ছিল, মনোযোগ দিয়ে ওরা কিছু একটা শুনছে। হ্যাঁ, অনায়াসে এভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ওরা কি শুনছে? বৃষ্টির আওয়াজ? হঠাৎ মনে হলো ওখানে যদি একটা রেডিওর এক বা একাধিক শট লাগিয়ে দেওয়া যায় তাহলে ওরা রেডিও শুনছে বোঝানো অনেক সহজ হয়ে যায়। দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক বেবী ইসলামকে ফ্যাক্স করলাম। পুরোনো কাঠের চেয়ারে, একাত্তর সালে ব্যবহূতকোনো রেডিও রেখে একটি ক্লোজআপ, একটি মিড শট ও মিড লং শট নিতে বললাম। আমার তখনকার সহকারী জুনায়েদ হালিমের মাধ্যমে বেবী ভাইয়ের গ্যারেজে শুটিং সম্পন্ন করে ড. হামিদা হোসেনের মাধ্যমে নিউইয়র্কে আমাদের কাছে তা পাঠানো হলো। শব্দ ছাড়াই লাগিয়ে দেখলাম খুব ভালোভাবেই ম্যাচ করে। এরপর ভাবতে শুরু করলাম রেডিওতে কী বাজতে পারে? কলকাতার আকাশবাণী বেতার কেন্দ্রের দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সংবাদ পরিক্রমা একাত্তরে কিশোর বয়সে প্রচণ্ড দাগ কেটেছিল। ভাবলাম আকাশবাণীর অডিও আকাইর্ভে সংবাদ পরিক্রমা পাওয়া যায় কি না? সরাসরি দেবদুলালকে যোগাযোগ করতে পারলে ব্যাপারটা অনেক সহজ হবে ভাবলাম। কিন্তু নিউইয়র্কের বাঙালি বন্ধু-বান্ধব যাকেই বলি সবার একই উত্তর, দেবদুলাল তো কয়েক বছর হলো মারা গেছেন। অবশেষে কলকাতায় বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনকে ফোন করে চলচ্চিত্র সম্পাদক মহাদেব শীর মাধ্যমে একটি নম্বর পেলাম। ফোন করতেই ২০ বছর আগে শোনা দরাজ কণ্ঠ, ‘হ্যালো, দেবদুলাল বলছি’। আশ্বস্ত হলাম। জানলাম, তিনি এখন আর আকাশবাণীতে চাকরিরত না হলেও আগামীকাল সরাসরি গিয়ে খবর নেবেন। ওনার পরামর্শ অনুযায়ী দুই দিন পরে ফোন করে জানতে পারলাম একাত্তরের কোনো অনুষ্ঠানের টেপই আকাশবাণীর সংগ্রহে আর নেই। তবে তিনি বললেন, সংবাদ পরিক্রমাটি লিখতেন প্রণবেশ সেন। পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেলে তিনি তা নতুন করে পড়ে, রেকর্ড করে দেবেন। ওনার কাছে অন্তত দু-একটি অরিজিনাল পাণ্ডুলিপি থাকতে পারে। ওনার পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা থেকে আমার তরুণ সহযোগী বন্ধু জুনায়েদকে কলকাতায় পাঠালাম। প্রণবেশ সেন জুনায়েদকে দেখে অবাক হয়ে বললেন, ‘এই জিনিসের দরকার হবে তা তো কখনো ভাবিনি। কিন্তু মশায়, আপনার ভাগ্য সত্যি ভালো, কারণ বছর আটেক আগে বাসা বদল করতে গিয়ে ট্রাঙ্কের মধ্যে একগাদা সংবাদ পরিক্রমার পাণ্ডুলিপি পেয়ে আমি নিজেই অবাক হয়েছিলাম। নিন, এগুলো যদি বাংলাদেশের কোনো কাজে লাগে আমি খুশি হব।’ বিড়ম্বনা বাধল জুনায়েদ যখন স্টুডিও ভাড়া করে রেকর্ডিং করতে গিয়ে টের পেল দেবদুলালদা কড়া পাওয়ারের চশমা পড়েও পাণ্ডুলিপি পড়তে পারেন না। ফলে জুনায়েদকে পাণ্ডুলিপির প্রায় ৫০ পাতা ফ্যাক্স করে নিউইয়র্কে আমার কাছে পাঠাতে হলো। আমি সেগুলো থেকে বেছে বেছে কিছু লাইন সম্ভবত মোহাম্মদ জাফর ইকবাল উদ্ভাবিত নিরীক্ষা পর্যায়ের বাংলা ফন্টে নিজে টাইপ করে বড় বড় অক্ষরে প্রিন্ট করে আবার কলকাতায় ফ্যাক্স করে পাঠালাম। দেবদুলাল-দা সেটাকে স্টুডিওতে গিয়ে পড়লেন এবং জুনায়েদ তা ঢাকায় ফিরে আমাকে নিউইয়র্কে পাঠাল। এভাবেই সৃষ্টি হলো একদল মুক্তিযোদ্ধার রেডিও শোনার সিকোয়েন্সটি!
লিয়ার তাদের দ্রুত হাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারী ক্যামেরা হাতে ধরে হেঁটে হেঁটে ছবি তুলে গেছেন। কখনো তাদের পেছন থেকে, কখনো পাশ থেকে আবার কখনো সামনে থেকে নিজের পেছন দিকে হেঁটে হেঁটে। আর একটি সিকোয়েন্স রয়েছে লিয়ারের ফুটেজে, তা হলো, শরণার্থী শিবিরের অলিগলি দিয়ে বেনু ভাইয়ের নেতৃত্বে শিল্পীরা গান গেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পীদের পেছনে শরণার্থীদের লম্বা মিছিল। বেনু ভাইয়ের গলায় গামছা দিয়ে ঝোলানো হারমোনিয়াম। তাঁর পেছনে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। এই গানের মিছিলের দৃশ্যের সঙ্গে কোনো সাউন্ড রের্কড না থাকায় শিল্পীরা কী গান গাইছে বোঝার উপায় ছিল না। এ কারণে ’৯৩ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে বেনু ভাই, শাহীন সামাদসহ সব শিল্পীকে দিয়ে একাত্তরে তাঁদের গাওয়া প্রায় সব কটি গানই নতুন করে ডন স্টুডিওতে রেকর্ড করলাম। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ল। শরণার্থী শিবিরের মিছিলের গানটাই শুধু নয়, আরও তিন-চারটি সিকোয়েন্স শব্দহীন দৃশ্যের সঙ্গে মিলে যায় অথবা মিলিয়ে দেওয়া যায় এ রকম তিন-চারটি গান পেয়ে গেলাম। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘এই না সোনার বাংলা’, ‘দেশে দেশে ভ্রমি তব দুঃখ গান গাহিয়া’, ‘যশোর, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল’ ইত্যাদি। কিন্তু নতুন করে গাওয়া গানগুলোর মধ্যে একটি গান ‘বাংলা মা’র দুর্নিবার আমরা তরুণ দল’ গানটি শরণার্থী মিছিলের গানের দৃশ্যের সঙ্গে মিলে গেল। গানের প্রথম অংশটি গানের মিছিলের সঙ্গে ব্যবহার করে, শেষ অংশের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মার্চের দৃশ্যগুলো জুড়ে দিলাম। ক্যাথরিনের সম্পাদনার গুণে গান ও মার্চের ছন্দ একাকার হয়ে গেল। এভাবেই দুটো বিচ্ছিন্ন ও নিঃশব্দ সিকোয়েন্স একটি অসাধারণ ও লাগসই গানের মাধ্যমে অভিন্ন সিকোয়েন্সের রূপ ধারণ করল। কিন্তু প্রামাণ্য চিত্রটির নেপথ্য নাটকের এখানেই শেষ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি, বৃষ্টির প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে একটি টিনের চালের স্কুলঘরে যাত্রাবিরতি করে। কিন্তু লিয়ারের ক্যামেরা বিরতি নেয় না। বাইরের মুষলধারে বৃষ্টি আর ভেতরে আলো অন্ধকারে চিকচিক করা মুক্তিযোদ্ধাদের চোখ ও মুখাবয়ব লিয়ারের সৃষ্টিশীল অনুসন্ধানী চোখ এড়িয়ে যায় না। মুক্তিযোদ্ধাদের এই অবিস্মরণীয় প্রতিকৃতিগুলো মুক্তির গানে ব্যবহারের লোভ কোনোভাবেই সামলাতে পারছিলাম না। কিন্তু কীভাবে ব্যবহার করব? একেকজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর দীর্ঘ সময় ধরে থাকা শটগুলো দেখে মনে হচ্ছিল, মনোযোগ দিয়ে ওরা কিছু একটা শুনছে। হ্যাঁ, অনায়াসে এভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ওরা কি শুনছে? বৃষ্টির আওয়াজ? হঠাৎ মনে হলো ওখানে যদি একটা রেডিওর এক বা একাধিক শট লাগিয়ে দেওয়া যায় তাহলে ওরা রেডিও শুনছে বোঝানো অনেক সহজ হয়ে যায়। দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক বেবী ইসলামকে ফ্যাক্স করলাম। পুরোনো কাঠের চেয়ারে, একাত্তর সালে ব্যবহূতকোনো রেডিও রেখে একটি ক্লোজআপ, একটি মিড শট ও মিড লং শট নিতে বললাম। আমার তখনকার সহকারী জুনায়েদ হালিমের মাধ্যমে বেবী ভাইয়ের গ্যারেজে শুটিং সম্পন্ন করে ড. হামিদা হোসেনের মাধ্যমে নিউইয়র্কে আমাদের কাছে তা পাঠানো হলো। শব্দ ছাড়াই লাগিয়ে দেখলাম খুব ভালোভাবেই ম্যাচ করে। এরপর ভাবতে শুরু করলাম রেডিওতে কী বাজতে পারে? কলকাতার আকাশবাণী বেতার কেন্দ্রের দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সংবাদ পরিক্রমা একাত্তরে কিশোর বয়সে প্রচণ্ড দাগ কেটেছিল। ভাবলাম আকাশবাণীর অডিও আকাইর্ভে সংবাদ পরিক্রমা পাওয়া যায় কি না? সরাসরি দেবদুলালকে যোগাযোগ করতে পারলে ব্যাপারটা অনেক সহজ হবে ভাবলাম। কিন্তু নিউইয়র্কের বাঙালি বন্ধু-বান্ধব যাকেই বলি সবার একই উত্তর, দেবদুলাল তো কয়েক বছর হলো মারা গেছেন। অবশেষে কলকাতায় বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনকে ফোন করে চলচ্চিত্র সম্পাদক মহাদেব শীর মাধ্যমে একটি নম্বর পেলাম। ফোন করতেই ২০ বছর আগে শোনা দরাজ কণ্ঠ, ‘হ্যালো, দেবদুলাল বলছি’। আশ্বস্ত হলাম। জানলাম, তিনি এখন আর আকাশবাণীতে চাকরিরত না হলেও আগামীকাল সরাসরি গিয়ে খবর নেবেন। ওনার পরামর্শ অনুযায়ী দুই দিন পরে ফোন করে জানতে পারলাম একাত্তরের কোনো অনুষ্ঠানের টেপই আকাশবাণীর সংগ্রহে আর নেই। তবে তিনি বললেন, সংবাদ পরিক্রমাটি লিখতেন প্রণবেশ সেন। পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেলে তিনি তা নতুন করে পড়ে, রেকর্ড করে দেবেন। ওনার কাছে অন্তত দু-একটি অরিজিনাল পাণ্ডুলিপি থাকতে পারে। ওনার পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা থেকে আমার তরুণ সহযোগী বন্ধু জুনায়েদকে কলকাতায় পাঠালাম। প্রণবেশ সেন জুনায়েদকে দেখে অবাক হয়ে বললেন, ‘এই জিনিসের দরকার হবে তা তো কখনো ভাবিনি। কিন্তু মশায়, আপনার ভাগ্য সত্যি ভালো, কারণ বছর আটেক আগে বাসা বদল করতে গিয়ে ট্রাঙ্কের মধ্যে একগাদা সংবাদ পরিক্রমার পাণ্ডুলিপি পেয়ে আমি নিজেই অবাক হয়েছিলাম। নিন, এগুলো যদি বাংলাদেশের কোনো কাজে লাগে আমি খুশি হব।’ বিড়ম্বনা বাধল জুনায়েদ যখন স্টুডিও ভাড়া করে রেকর্ডিং করতে গিয়ে টের পেল দেবদুলালদা কড়া পাওয়ারের চশমা পড়েও পাণ্ডুলিপি পড়তে পারেন না। ফলে জুনায়েদকে পাণ্ডুলিপির প্রায় ৫০ পাতা ফ্যাক্স করে নিউইয়র্কে আমার কাছে পাঠাতে হলো। আমি সেগুলো থেকে বেছে বেছে কিছু লাইন সম্ভবত মোহাম্মদ জাফর ইকবাল উদ্ভাবিত নিরীক্ষা পর্যায়ের বাংলা ফন্টে নিজে টাইপ করে বড় বড় অক্ষরে প্রিন্ট করে আবার কলকাতায় ফ্যাক্স করে পাঠালাম। দেবদুলাল-দা সেটাকে স্টুডিওতে গিয়ে পড়লেন এবং জুনায়েদ তা ঢাকায় ফিরে আমাকে নিউইয়র্কে পাঠাল। এভাবেই সৃষ্টি হলো একদল মুক্তিযোদ্ধার রেডিও শোনার সিকোয়েন্সটি!
==========================
এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে! খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি ট্রেনের ওপর ট্রেন সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক' আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর? আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব' স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক' খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস' আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!' রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে' স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী' আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়' আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি' গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’ আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ তারেক মাসুদ
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে! খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি ট্রেনের ওপর ট্রেন সংকেত অমান্য, দুই ট্রেনের সংঘর্ষ আলোচনা- রবীন্দ্রনাথের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ভাবনা আলোচনা- 'ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ঠাঁয় নেই দরিদ্রর উচ্চ শিক্ষা বিশেষ আলোচনা- ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি আলোচনা- 'সংসদ বর্জনের অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক' আলোচনা- 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ, তারপর? আলোচনা- 'ওয়াংগালাঃ গারোদের জাতীয় উৎসব' স্মরণ- 'বাঘা যতীনঃ অগ্নিযুগের মহানায়ক' খবর, কালের কণ্ঠের- আগেই ধ্বংস মহাস্থানগঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কাজ বন্ধ কেয়ার্নের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী চুক্তির পেছনেও জ্বালানি উপদেষ্টা উইকিলিকস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আত্মসমর্পণ সবুজ মাঠ পেরিয়ে আলোচনা- 'আরো অনুদানের টাকা সরিয়েছিলেন ইউনূস' আলোচনা- 'একটি 'উজ্জ্বল ভাবমূর্তির' এভারেস্ট থেকে পতন গল্পালোচনা- 'আসি আসি করে আশিতে আসবে!' রাষ্ট্র ও রাজনীতিঃ সবুজ মাঠ পেরিয়ে স্মরণ- 'রবীন্দ্রনাথ—সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে' স্মরণ- 'জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী' আলোচনা- 'প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন পর্যায়' আলোচনা- 'কর্মপরিবেশঃ স্বর্গে তৈরি' গল্পালোচনা- ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া...’ আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ তারেক মাসুদ
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments