মেগরাহির মুক্তির জন্য ব্রিটেনকে হুমকি দিয়েছিলেন গাদ্দাফি
স্কটল্যান্ডে কারাবন্দী অবস্থায় আবদেলবাসেত আল-মেগরাহি মারা গেলে লিবিয়া ব্রিটেনের সঙ্গে সব বাণিজ্যচুক্তি বাতিল করবে। মেগরাহির মুক্তির জন্য লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি এভাবেই ব্রিটেনকে হুমকি দেন। এ হুমকির ফলে লিবিয়ায় ব্রিটিশ স্বার্থ ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে ভীত ছিল ব্রিটেন। এমন ভীতি থেকেই গত বছর মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়া হয়। মেগরাহির মুক্তির ব্যাপারে স্কটিশ কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ সহায়তা দেয় লন্ডন। গতকাল বুধবার উইকিলিকসের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এই তথ্য প্রকাশ করে।
১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবি শহরের আকাশে বিমানে বোমা হামলা চালান লিবিয়ার নাগরিক মেগরাহি। ওই হামলায় ২৭০ জন নিহত হয়। ২০০১ সালে মেগরাহিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন স্কটল্যান্ডের একটি আদালত। তাঁকে স্কটল্যান্ডের কারাগারে রাখা হয়। গত বছর আগস্টে মানবিক কারণ দেখিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত মেগরাহিকে মুক্তি দিয়ে ফেরত পাঠানো হয় লিবিয়ায়।
উইকিলিকসের বার্তায় দেখা যায়, ত্রিপলিতে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার ভিনসেন্ট ফেন লন্ডনে সতর্কবার্তা পাঠান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মেগরাহিকে স্কটল্যান্ডে কারবন্দী রাখলে ‘লিবিয়ায় ব্রিটিশ স্বার্থে ভয়াবহ বিপর্যয়’ নেমে আসতে পারে। এক বার্তায় দেখা যায়, মেগরাহিকে মানবিক কারণে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে—এমন খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ভিনসেন্ট। তিনি বলেন, মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়া না হলে ব্রিটেনের অবস্থাও সুইজারল্যান্ডের মতোই হতো। লিবিয়ার কর্মকর্তারা ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কারাগারে মেগরাহির মৃত্যু হলে লিবিয়া-ব্রিটেন সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব পড়বে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারবার্তায় এ তথ্য জানা যায়। এতে আরও বলা হয়, ওয়াশিংটন মেগরাহির মুক্তির বিষয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলে লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাস ও দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকেরা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
২০০৮ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করে সুইজারল্যান্ড। এ ঘটনায় গাদ্দাফি সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেন। গাদ্দাফি সুইস ব্যাংক থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করে নেন। দেশটিতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় লিবিয়া। একই সঙ্গে লিবিয়ার নাগরিকদের সুইজারল্যান্ড ভ্রমণে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। গৃহপরিচারকের সঙ্গে বিবাদের অভিযোগে গাদ্দাফির ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করেছিল সুইস কর্তৃপক্ষ।
গত বছর আগস্টে মেগরাহিকে লিবিয়ায় পাঠানোর সময় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন দৃঢ়ভাবে বলেন, মেগরাহির মুক্তির প্রক্রিয়ায় ব্রিটিশ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। ওই সময় মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়ার কঠোর বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৮৮ সালে স্কটল্যান্ডের লকারবি শহরের আকাশে বিমানে বোমা হামলা চালান লিবিয়ার নাগরিক মেগরাহি। ওই হামলায় ২৭০ জন নিহত হয়। ২০০১ সালে মেগরাহিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন স্কটল্যান্ডের একটি আদালত। তাঁকে স্কটল্যান্ডের কারাগারে রাখা হয়। গত বছর আগস্টে মানবিক কারণ দেখিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত মেগরাহিকে মুক্তি দিয়ে ফেরত পাঠানো হয় লিবিয়ায়।
উইকিলিকসের বার্তায় দেখা যায়, ত্রিপলিতে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার ভিনসেন্ট ফেন লন্ডনে সতর্কবার্তা পাঠান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মেগরাহিকে স্কটল্যান্ডে কারবন্দী রাখলে ‘লিবিয়ায় ব্রিটিশ স্বার্থে ভয়াবহ বিপর্যয়’ নেমে আসতে পারে। এক বার্তায় দেখা যায়, মেগরাহিকে মানবিক কারণে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে—এমন খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ভিনসেন্ট। তিনি বলেন, মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়া না হলে ব্রিটেনের অবস্থাও সুইজারল্যান্ডের মতোই হতো। লিবিয়ার কর্মকর্তারা ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কারাগারে মেগরাহির মৃত্যু হলে লিবিয়া-ব্রিটেন সম্পর্কের ওপর এর প্রভাব পড়বে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসের এক তারবার্তায় এ তথ্য জানা যায়। এতে আরও বলা হয়, ওয়াশিংটন মেগরাহির মুক্তির বিষয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলে লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাস ও দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকেরা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
২০০৮ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করে সুইজারল্যান্ড। এ ঘটনায় গাদ্দাফি সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেন। গাদ্দাফি সুইস ব্যাংক থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করে নেন। দেশটিতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় লিবিয়া। একই সঙ্গে লিবিয়ার নাগরিকদের সুইজারল্যান্ড ভ্রমণে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। গৃহপরিচারকের সঙ্গে বিবাদের অভিযোগে গাদ্দাফির ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করেছিল সুইস কর্তৃপক্ষ।
গত বছর আগস্টে মেগরাহিকে লিবিয়ায় পাঠানোর সময় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন দৃঢ়ভাবে বলেন, মেগরাহির মুক্তির প্রক্রিয়ায় ব্রিটিশ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। ওই সময় মেগরাহিকে মুক্তি দেওয়ার কঠোর বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র।
No comments