বাস্তবায়নেই সবাইকে মনোযোগী হতে হবে - জাতীয় শিক্ষানীতি
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদন লাভ করেছে, এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের সংবাদ। তবে এই আনন্দ পূর্ণ মাত্রা পেত, যদি প্রধান বিরোধী দল জাতীয় সংসদে উপস্থিত থেকে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখত। কোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সংকীর্ণ রাজনীতি বা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা সমীচীন নয়। জাতীয় শিক্ষানীতি এমন একটি বিষয়, যাতে গোটা জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকা উচিত। এবার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি খসড়া প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে মতামত চেয়েছে। একই সঙ্গে তারা বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনাও করেছে। সেই বিবেচনায় এটিকে চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতি বলা যাবে না।
এবারের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে ১৯৭৪ সালের কুদরাত-এ-খুদা কমিশনের আলোকে। সেই সময়ে এই কমিশনের প্রতিবেদনটি সর্বমহলে প্রশংসিত হলেও পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি। এর আগে ও পরে যতগুলো শিক্ষানীতি বা প্রতিবেদন হয়েছে, প্রতিটির বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তথা ছাত্রসমাজের প্রবল আপত্তি ছিল। সামরিক সরকারের আমলে প্রণীত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্দোলনও হয়েছে। দেশের শিক্ষানীতি নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন ও বৈরিতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এবারের শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে, মাদ্রাসাশিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো মৌলিক ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বলে আমরা মনে করি। শিক্ষানীতির ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে শিক্ষাকে দক্ষ জনশক্তি গড়ার প্রধান হাতিয়ার করা কিংবা অর্থনৈতিক উন্নতির সোপান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না। তিনি বলেছেন, এমন ব্যবস্থা করা উচিত যাতে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষানীতিও বদলে না যায়। আমরাও মনে করি, কেবল শিক্ষানীতি নয়, সব জাতীয় নীতির ব্যাপারে জাতীয় মতৈক্য থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল নিজস্ব নীতি ও কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাবে, জনগণ যেই দলের নীতি ও কর্মসূচি সমর্থন করবে, তারা ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতির মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম মতৈক্য থাকা প্রয়োজন। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে এসব নীতি বদলাতে পারে না। তবে যেকোনো নীতিতে সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সংযোজন বা বিয়োজন হতে পারে। তাই বলে নীতিটি আমূল বদলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃতিত্ব জাহির করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। কোনো কোনো মহল থেকে এবারের শিক্ষানীতির বিরোধিতা করার চেষ্টা চলছে। এদের উদ্দেশ্য যে সৎ নয়, তা নিশ্চিত করে বলা যায়।
আশা করব, জাতীয় সংসদে শিক্ষানীতিটি অনুমোদনের পর এ নিয়ে আর কোনো বিতর্ক কাম্য নয়। আরেকটি জরুরি কথা হলো, প্রণীত শিক্ষানীতি যত ভালোই হোক না কেন, ঠিকমতো বাস্তবায়িত না হলে দেশবাসী তার সুফল পাবে না। আমাদের দেশে অনেক ভালো নীতি আছে, কিন্তু এর বাস্তবায়ন নেই। বিশেষ করে শিক্ষার মানের ক্রমাবনতি ঠেকাতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একাগ্রচিত্তে কাজ করতে হবে। কেবল শিক্ষার হার বাড়লেই হবে না, দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি গড়তে শিক্ষার মানও বাড়াতে হবে।
এবারের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে ১৯৭৪ সালের কুদরাত-এ-খুদা কমিশনের আলোকে। সেই সময়ে এই কমিশনের প্রতিবেদনটি সর্বমহলে প্রশংসিত হলেও পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি। এর আগে ও পরে যতগুলো শিক্ষানীতি বা প্রতিবেদন হয়েছে, প্রতিটির বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তথা ছাত্রসমাজের প্রবল আপত্তি ছিল। সামরিক সরকারের আমলে প্রণীত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্দোলনও হয়েছে। দেশের শিক্ষানীতি নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন ও বৈরিতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এবারের শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে, মাদ্রাসাশিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো মৌলিক ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বলে আমরা মনে করি। শিক্ষানীতির ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে শিক্ষাকে দক্ষ জনশক্তি গড়ার প্রধান হাতিয়ার করা কিংবা অর্থনৈতিক উন্নতির সোপান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, তার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না। তিনি বলেছেন, এমন ব্যবস্থা করা উচিত যাতে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষানীতিও বদলে না যায়। আমরাও মনে করি, কেবল শিক্ষানীতি নয়, সব জাতীয় নীতির ব্যাপারে জাতীয় মতৈক্য থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল নিজস্ব নীতি ও কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাবে, জনগণ যেই দলের নীতি ও কর্মসূচি সমর্থন করবে, তারা ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতির মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম মতৈক্য থাকা প্রয়োজন। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে এসব নীতি বদলাতে পারে না। তবে যেকোনো নীতিতে সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সংযোজন বা বিয়োজন হতে পারে। তাই বলে নীতিটি আমূল বদলে দেওয়ার মাধ্যমে কৃতিত্ব জাহির করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। কোনো কোনো মহল থেকে এবারের শিক্ষানীতির বিরোধিতা করার চেষ্টা চলছে। এদের উদ্দেশ্য যে সৎ নয়, তা নিশ্চিত করে বলা যায়।
আশা করব, জাতীয় সংসদে শিক্ষানীতিটি অনুমোদনের পর এ নিয়ে আর কোনো বিতর্ক কাম্য নয়। আরেকটি জরুরি কথা হলো, প্রণীত শিক্ষানীতি যত ভালোই হোক না কেন, ঠিকমতো বাস্তবায়িত না হলে দেশবাসী তার সুফল পাবে না। আমাদের দেশে অনেক ভালো নীতি আছে, কিন্তু এর বাস্তবায়ন নেই। বিশেষ করে শিক্ষার মানের ক্রমাবনতি ঠেকাতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একাগ্রচিত্তে কাজ করতে হবে। কেবল শিক্ষার হার বাড়লেই হবে না, দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি গড়তে শিক্ষার মানও বাড়াতে হবে।
No comments