আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া by মু. আবদুল জলিল মিয়া
উনিশ শতকের শেষদিকে সময়টা ছিল যুগপৎ হিন্দু ও মুসলমান নারীদের জন্য অন্ধকার যুগ। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়েদের কঠোর পর্দা মেনে চলতে হতো। বিনা প্রয়োজনে মেয়েদের বাড়ির বাইরে যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ। তাদের লেখাপড়া করার তেমন সুযোগ ছিল না, কেবল ঘরের কাজকর্ম শেখানো হতো। তারা নিজ গৃহে বা স্থানীয় মক্তবে আরবি, ফারসি শিখত। হিন্দু নারীরাও ছিল শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। নারীশিক্ষা, নারী-অধিকারের প্রতিকূল সময়ে ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নারীজাগরণের অগ্রদূত আর এস হোসেন বা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। আর দশজন মুসলমান মেয়ের মতো বেগম রোকেয়াও মুসলিম পারিবারিক নিয়মে বেড়ে উঠছিলেন। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লেখাপড়ার প্রতি তাঁর আগ্রহ বাড়তে থাকে। বাবা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের আরবি, ফারসি, ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি বিষয়ে সুপণ্ডিত হলেও মেয়েদের লেখাপড়ার বিষয়ে ছিলেন উদাসীন। একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেননি রোকেয়া। বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য বেগম রোকেয়ার আগ্রহ ছিল প্রবল। বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের ও বড় বোন করিমন নেছার হাতে শৈশবকালে বেগম রোকেয়ার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। মূলত ইব্রাহিম সাবের বেগম রোকেয়াকে লেখাপড়ায় উৎসাহ, প্রেরণা ও সহযোগিতা করেন।
১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয়। স্বামী বিহার রাজ্যের ভাগলপুরের অধিবাসী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ছিলেন সমাজসচেতন, প্রগতিশীল ও সংস্কারমুক্ত মানুষ। তাঁর সাহচর্যে এসেই রোকেয়ার লেখাপড়ার উন্মেষ ঘটে। স্বামীর কাছ থেকে তিনি ইংরেজি ও উর্দু শিক্ষা লাভ করেন।
বেগম রোকেয়ার দাম্পত্য জীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের মাত্র নয় বছর পর ১৩১৬ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে (৩ মে ১৯০৯) সাখাওয়াত হোসেন ইন্তেকাল করেন। স্বামীর মৃত্যু তাঁর জীবনে সাময়িক বিপর্যয় ঘটালেও অকালবৈধব্য তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। অসীম মনোবলসম্পন্ন এই নারী শোককে শক্তিতে পরিণত করে নারীশিক্ষার বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর স্বামীর ভাগলপুরে একটি মুসলিম বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা ছিল। ১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর মাত্র পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে ভাগলপুরের তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শাহ আবদুল মালেকের সরকারি বাসভবন ‘গোলকুঠি’তে ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’-এর যাত্রা শুরু। সাখাওয়াত হোসেনের প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধসহ আরও নানা প্রতিকূলতার কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর স্কুলটি কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে ১৩ নম্বর ওয়ালীউল্লাহ লেনের ভাড়াবাড়িতে নতুন করে চালু করেন ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’। নারীশিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা বলে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করার কাজে লেগে গেলেন। মেয়েদের মা, বাবা ও অভিভাবকদের অনুরোধ জানালেন। মেয়েরা কঠোর পর্দা মেনে চলত বলে তিনি পর্দাঘেরা গাড়ির ব্যবস্থা করেন। ধীরে ধীরে ছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকল। পরে ১৯১৭ সালে মধ্য ইংরেজি গার্লস স্কুল এবং ১৯৩১ সালে উচ্চ ইংরেজি গার্লস স্কুলে উন্নীত হয়। বর্তমানে স্কুলটি ১৭ নম্বর লর্ড সিনহা রোড, কলকাতায় অবস্থিত। মেয়েদের সার্বিক উন্নতির জন্য তিনি শিক্ষা গ্রহণকেই সর্বাগ্রে জোর দিয়েছিলেন, তাঁর স্বপ্ন ছিল নারীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা।
১৯১৯ সালে বেগম রোকেয়ার প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয় ‘মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল’। সেখানে নারীদের সেলাই, রান্না, সন্তান প্রতিপালনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেখানো হতো। বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। সমাজসেবার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে নারীদের অধিকার নিয়ে মত তৈরির চেষ্টা করেছেন। মিসেস আর এস হোসেন নামে সেকালের বিখ্যাত পত্রপত্রিকায় তিনি অসংখ্য কবিতা, উপন্যাস ও নারীদের জন্য সমাজসচেতনতামূলক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। রোকেয়ার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে মতিচূর, অবরোধবাসিনী, পদ্মরাগ, সুলতানার স্বপ্ন। এ ছাড়া রয়েছে অসংখ্য প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, ব্যঙ্গ রচনা ও অনুবাদ।
১৯০২ সালে পিপাসা রচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন বেগম রোকেয়া। ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয় বহুল আলোচিত উপন্যাস মতিচূর-এর প্রথম খণ্ড। সাহিত্যের মান বিবেচনায় মতিচূর সত্যিই অমূল্য। মেরি করেলির মার্ডার অব ডেলিশিয়া উপন্যাস থেকে সংকলিত ডেলিশিয়া হত্যা রচনাটিতে নারীসমাজের এক করুণ চিত্র উঠে এসেছে। পদ্মরাগ একটি ভিন্ন ধরনের উপন্যাস, যা পাঠকমনকে খুব নাড়া দেয়। বেগম রোকেয়া শুধু অবরোধবাসিনীদের নির্যাতন ও তাদের ওপর পুুরুষতান্ত্রিক সমাজের নিপীড়নের কথা বলেননি, তিনি নারীজাগরণের ডাক দিয়েছেন। অবরোধবাসিনী গ্রন্থে সামাজিক চিন্তা-চেতনার নতুন দিক উন্মোচন করেছেন লেখিকা। লেখিকার সাহিত্য-প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায় সুলতানার স্বপ্ন (ইংরেজিতে লেখা, লেখিকা কর্তৃক বাংলায় অনূদিত) রচনায়।
বহুমাত্রিকতায় অনন্য বেগম রোকেয়া। একাধারে দার্শনিক, লেখক, সমাজসংস্কারক, নারীশিক্ষায় পথিকৃৎ, নারীমুক্তি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক। বিশ শতকের একেবারে প্রথম দিকে আবির্ভূত বহুমুখী রোকেয়া সারা জীবন নারীমুক্তি ও অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একনিষ্ঠ সেবক বেগম রোকেয়া আজীবন কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন কিন্তু প্রগতিশীলতা ও আধুনিকতার নামে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধের আদর্শ ও ঐতিহ্যকে বিসর্জন দেননি।১৯৬৩ সালে রংপুরে বেগম রোকেয়ার নামে একটি কলেজ স্থাপন করা হয় এবং ১৯৭৯ সালে এটি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের নাম রোকেয়া হল করা হয়। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রংপুরের মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর’ নামকরণ করে তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন করেন। বেগম রোকেয়া আজ নেই, তাঁর আদর্শ আমাদের সামনে রয়েছে। আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা রক্ষায় আন্তরিক হলেই বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ও সংগ্রাম বাস্তব রূপ পাবে।
মু. আবদুল জলিল মিয়া: উপাচার্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয়। স্বামী বিহার রাজ্যের ভাগলপুরের অধিবাসী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ছিলেন সমাজসচেতন, প্রগতিশীল ও সংস্কারমুক্ত মানুষ। তাঁর সাহচর্যে এসেই রোকেয়ার লেখাপড়ার উন্মেষ ঘটে। স্বামীর কাছ থেকে তিনি ইংরেজি ও উর্দু শিক্ষা লাভ করেন।
বেগম রোকেয়ার দাম্পত্য জীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের মাত্র নয় বছর পর ১৩১৬ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে (৩ মে ১৯০৯) সাখাওয়াত হোসেন ইন্তেকাল করেন। স্বামীর মৃত্যু তাঁর জীবনে সাময়িক বিপর্যয় ঘটালেও অকালবৈধব্য তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। অসীম মনোবলসম্পন্ন এই নারী শোককে শক্তিতে পরিণত করে নারীশিক্ষার বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর স্বামীর ভাগলপুরে একটি মুসলিম বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা ছিল। ১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর মাত্র পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে ভাগলপুরের তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শাহ আবদুল মালেকের সরকারি বাসভবন ‘গোলকুঠি’তে ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’-এর যাত্রা শুরু। সাখাওয়াত হোসেনের প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধসহ আরও নানা প্রতিকূলতার কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর স্কুলটি কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে ১৩ নম্বর ওয়ালীউল্লাহ লেনের ভাড়াবাড়িতে নতুন করে চালু করেন ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’। নারীশিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা বলে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করার কাজে লেগে গেলেন। মেয়েদের মা, বাবা ও অভিভাবকদের অনুরোধ জানালেন। মেয়েরা কঠোর পর্দা মেনে চলত বলে তিনি পর্দাঘেরা গাড়ির ব্যবস্থা করেন। ধীরে ধীরে ছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকল। পরে ১৯১৭ সালে মধ্য ইংরেজি গার্লস স্কুল এবং ১৯৩১ সালে উচ্চ ইংরেজি গার্লস স্কুলে উন্নীত হয়। বর্তমানে স্কুলটি ১৭ নম্বর লর্ড সিনহা রোড, কলকাতায় অবস্থিত। মেয়েদের সার্বিক উন্নতির জন্য তিনি শিক্ষা গ্রহণকেই সর্বাগ্রে জোর দিয়েছিলেন, তাঁর স্বপ্ন ছিল নারীকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা।
১৯১৯ সালে বেগম রোকেয়ার প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয় ‘মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল’। সেখানে নারীদের সেলাই, রান্না, সন্তান প্রতিপালনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেখানো হতো। বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। সমাজসেবার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে নারীদের অধিকার নিয়ে মত তৈরির চেষ্টা করেছেন। মিসেস আর এস হোসেন নামে সেকালের বিখ্যাত পত্রপত্রিকায় তিনি অসংখ্য কবিতা, উপন্যাস ও নারীদের জন্য সমাজসচেতনতামূলক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। রোকেয়ার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে মতিচূর, অবরোধবাসিনী, পদ্মরাগ, সুলতানার স্বপ্ন। এ ছাড়া রয়েছে অসংখ্য প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, ব্যঙ্গ রচনা ও অনুবাদ।
১৯০২ সালে পিপাসা রচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন বেগম রোকেয়া। ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয় বহুল আলোচিত উপন্যাস মতিচূর-এর প্রথম খণ্ড। সাহিত্যের মান বিবেচনায় মতিচূর সত্যিই অমূল্য। মেরি করেলির মার্ডার অব ডেলিশিয়া উপন্যাস থেকে সংকলিত ডেলিশিয়া হত্যা রচনাটিতে নারীসমাজের এক করুণ চিত্র উঠে এসেছে। পদ্মরাগ একটি ভিন্ন ধরনের উপন্যাস, যা পাঠকমনকে খুব নাড়া দেয়। বেগম রোকেয়া শুধু অবরোধবাসিনীদের নির্যাতন ও তাদের ওপর পুুরুষতান্ত্রিক সমাজের নিপীড়নের কথা বলেননি, তিনি নারীজাগরণের ডাক দিয়েছেন। অবরোধবাসিনী গ্রন্থে সামাজিক চিন্তা-চেতনার নতুন দিক উন্মোচন করেছেন লেখিকা। লেখিকার সাহিত্য-প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায় সুলতানার স্বপ্ন (ইংরেজিতে লেখা, লেখিকা কর্তৃক বাংলায় অনূদিত) রচনায়।
বহুমাত্রিকতায় অনন্য বেগম রোকেয়া। একাধারে দার্শনিক, লেখক, সমাজসংস্কারক, নারীশিক্ষায় পথিকৃৎ, নারীমুক্তি আন্দোলনের পথপ্রদর্শক। বিশ শতকের একেবারে প্রথম দিকে আবির্ভূত বহুমুখী রোকেয়া সারা জীবন নারীমুক্তি ও অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একনিষ্ঠ সেবক বেগম রোকেয়া আজীবন কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন কিন্তু প্রগতিশীলতা ও আধুনিকতার নামে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধের আদর্শ ও ঐতিহ্যকে বিসর্জন দেননি।১৯৬৩ সালে রংপুরে বেগম রোকেয়ার নামে একটি কলেজ স্থাপন করা হয় এবং ১৯৭৯ সালে এটি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের নাম রোকেয়া হল করা হয়। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রংপুরের মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর’ নামকরণ করে তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন করেন। বেগম রোকেয়া আজ নেই, তাঁর আদর্শ আমাদের সামনে রয়েছে। আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা রক্ষায় আন্তরিক হলেই বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ও সংগ্রাম বাস্তব রূপ পাবে।
মু. আবদুল জলিল মিয়া: উপাচার্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
No comments