নির্বাচনী ধাঁধায় অস্ট্রেলীয় নির্বাচকেরা
সমস্যা তখনো ছিল, এখনো আছে। তবে বদলে গেছে ধরন। একসময় অস্ট্রেলীয় নির্বাচকদের সমস্যা ছিল মধুর, কাকে রেখে কাকে বাদ দেবেন? ম্যাকগ্রা-লি-গিলেস্পিদের জন্য বাইরে বসে থাকত হতো ফ্লেমিং-ক্যাসপ্রোভিচ-বিকেলদের। একজন শেন ওয়ার্নের জন্য যেমন স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের মতো লেগ স্পিনারের ক্যারিয়ার থেমে গেল ৪৪ টেস্টে। সেই দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান নির্বাচকেরা। তাঁদের যে ঠগ বাছতে গা উজাড় হওয়ার জোগাড়। বাজে পারফর্ম করার পরও অনেককে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না। বিকল্প কোথায়?
দুজন মিলে ১ উইকেট পাওয়ার পর ব্রিসবেনের দুই পেসার বেন হিলফেনহস ও মিচেল জনসনকে বাদ দেওয়া হয়েছিল অ্যাডিলেডে। তাঁদের জায়গায় সুযোগ পেয়ে রায়ান হ্যারিস ও ডগ বলিঞ্জারই বা সুবিধা করতে পারলেন কোথায়? দুজন মিলে নিয়েছেন তিন উইকেট। এমনিতে আঁটসাঁট বোলিংয়ের জন্য পরিচিত বলিঞ্জার রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে চার করে। ব্রিসবেনে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেটের পর ৫৪ ওভার বোলিং করেও আর কোনো উইকেট পাননি পিটার সিডল।
সমস্যা হলো, বিকল্প না থাকায় পার্থে এই পাঁচ পেসারের তিনজনকেই খেলাতে হবে। গত কিছুদিনে পিটার জর্জ, মিচেল স্টার্ক বা জন হাস্টিংসদের বিভিন্ন সময় দেখে পরিষ্কার হয়ে গেছে টেস্ট খেলতে এখনো অনেক দূর পাড়ি দিতে হবে তাঁদের। অ্যাডিলেডে মাত্র ২ উইকেট পেলেও সবচেয়ে বেশিবার উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি গেছেন রায়ান হ্যারিস। মন্দের ভালো হিসেবে পার্থে তাঁর জায়গা অনেকটা নিশ্চিত, যদি না সদ্য সেরে ওঠা তাঁর হাঁটুর চোটটা আবার মাথাচাড়া দেয়। হ্যাটট্রিকের কারণেই হয়তো আরেকটা সুযোগ পাবেন সিডল, তবে বলিঞ্জারের বাদ পড়া প্রায় নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে দলে ফিরবেন সেই হিলফেনহস বা জনসনের কেউ একজন।
স্পিনে সমস্যা তো সেই শেন ওয়ার্ন বিদায় নেওয়ার পর থেকেই। বিউ ক্যাসন, জেসন ক্রেজা, ব্রাইস ম্যাকগেইন, নাথান হরিজ, স্টিভেন স্মিথের মতো অনেককে খেলানো হলেও লম্বা দৌড়ের ঘোড়া হতে পারেননি কেউই। এবার জেভিয়ার ডোহার্টিকে নিয়ে রিকি পন্টিংয়ের জুয়াও ব্যর্থ হলো চরমভাবে। দুই টেস্টে ব্যাটসম্যানদের নয়, ডোহার্টি বরং বেশি ঝামেলায় ফেলেছেন স্কোরারকে! সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে দল থেকে বাদ পড়া হরিজকেই আবার তাই দেখা যেতে পারে দলে। বাদ পড়ার পর অবশ্য শেফিল্ড শিল্ডে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন হরিজ। আগের ম্যাচে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করার পর কাল সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
সম্ভাব্য কোপের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মার্কাস নর্থও। ৩৫ টেস্ট ইনিংসের ২৫টিতেই ৩০-র কমে আউট হওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ধৈর্য শেষ হয়ে যাওয়ার কথা নির্বাচকদের। পার্থে তাঁর জায়গায় টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে আরেক বাঁহাতি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত উসমান খাজার। এত কিছুর ভিড়ে নির্বাচকদের একমাত্র স্বস্তি, সাইমন ক্যাটিচের বিকল্প খুঁজতে খুব বেশি গলদঘর্ম হতে হচ্ছে না তাঁদের। অ্যাকিলিসের চোটে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া ক্যাটিচের জায়গায় ফিরছেন ফিলিপ হিউজ, সর্বশেষ টেস্ট ইনিংসে যিনি করেছিলেন অপরাজিত ৮৬।
দুজন মিলে ১ উইকেট পাওয়ার পর ব্রিসবেনের দুই পেসার বেন হিলফেনহস ও মিচেল জনসনকে বাদ দেওয়া হয়েছিল অ্যাডিলেডে। তাঁদের জায়গায় সুযোগ পেয়ে রায়ান হ্যারিস ও ডগ বলিঞ্জারই বা সুবিধা করতে পারলেন কোথায়? দুজন মিলে নিয়েছেন তিন উইকেট। এমনিতে আঁটসাঁট বোলিংয়ের জন্য পরিচিত বলিঞ্জার রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে চার করে। ব্রিসবেনে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেটের পর ৫৪ ওভার বোলিং করেও আর কোনো উইকেট পাননি পিটার সিডল।
সমস্যা হলো, বিকল্প না থাকায় পার্থে এই পাঁচ পেসারের তিনজনকেই খেলাতে হবে। গত কিছুদিনে পিটার জর্জ, মিচেল স্টার্ক বা জন হাস্টিংসদের বিভিন্ন সময় দেখে পরিষ্কার হয়ে গেছে টেস্ট খেলতে এখনো অনেক দূর পাড়ি দিতে হবে তাঁদের। অ্যাডিলেডে মাত্র ২ উইকেট পেলেও সবচেয়ে বেশিবার উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি গেছেন রায়ান হ্যারিস। মন্দের ভালো হিসেবে পার্থে তাঁর জায়গা অনেকটা নিশ্চিত, যদি না সদ্য সেরে ওঠা তাঁর হাঁটুর চোটটা আবার মাথাচাড়া দেয়। হ্যাটট্রিকের কারণেই হয়তো আরেকটা সুযোগ পাবেন সিডল, তবে বলিঞ্জারের বাদ পড়া প্রায় নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে দলে ফিরবেন সেই হিলফেনহস বা জনসনের কেউ একজন।
স্পিনে সমস্যা তো সেই শেন ওয়ার্ন বিদায় নেওয়ার পর থেকেই। বিউ ক্যাসন, জেসন ক্রেজা, ব্রাইস ম্যাকগেইন, নাথান হরিজ, স্টিভেন স্মিথের মতো অনেককে খেলানো হলেও লম্বা দৌড়ের ঘোড়া হতে পারেননি কেউই। এবার জেভিয়ার ডোহার্টিকে নিয়ে রিকি পন্টিংয়ের জুয়াও ব্যর্থ হলো চরমভাবে। দুই টেস্টে ব্যাটসম্যানদের নয়, ডোহার্টি বরং বেশি ঝামেলায় ফেলেছেন স্কোরারকে! সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে দল থেকে বাদ পড়া হরিজকেই আবার তাই দেখা যেতে পারে দলে। বাদ পড়ার পর অবশ্য শেফিল্ড শিল্ডে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন হরিজ। আগের ম্যাচে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করার পর কাল সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
সম্ভাব্য কোপের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মার্কাস নর্থও। ৩৫ টেস্ট ইনিংসের ২৫টিতেই ৩০-র কমে আউট হওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ধৈর্য শেষ হয়ে যাওয়ার কথা নির্বাচকদের। পার্থে তাঁর জায়গায় টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে আরেক বাঁহাতি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত উসমান খাজার। এত কিছুর ভিড়ে নির্বাচকদের একমাত্র স্বস্তি, সাইমন ক্যাটিচের বিকল্প খুঁজতে খুব বেশি গলদঘর্ম হতে হচ্ছে না তাঁদের। অ্যাকিলিসের চোটে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া ক্যাটিচের জায়গায় ফিরছেন ফিলিপ হিউজ, সর্বশেষ টেস্ট ইনিংসে যিনি করেছিলেন অপরাজিত ৮৬।
No comments