চার কিংবদন্তির বিশ্বকাপ-ভাবনা
ভিভ রিচার্ডস, কপিল দেব, ইমরান খান, অর্জুনা রানাতুঙ্গা—চারজনের মধ্যে মিল কোথায়? মিলটা হলো, চারজনই বিশ্বকাপ জিতেছেন। কপিল, ইমরান, রানাতুঙ্গা তো অধিনায়কের ভূমিকাতেই। তবে এক জায়গায় রিচার্ডস এগিয়ে, তিনি জিতেছেন দুটি বিশ্বকাপ (১৯৭৫ ও ১৯৭৯)।
ক্রিকেটের এই চার কিংবদন্তি একই মঞ্চে দাঁড়ালেন কাল। দিল্লিতে ২০১১ বিশ্বকাপের একটি অনুষ্ঠানে। এবারের বিশ্বকাপের ফেবারিট প্রশ্নে অবশ্য আর চারজন এক মঞ্চে থাকলেন না। ভারতের পক্ষে রায় দিলেন রিচার্ডস আর কপিল। ইমরানও ভারতকে অন্যতম ফেবারিট মেনেও নিজ মাঠের বিশাল দর্শকদের চাপে ভারতের ভেঙে পড়ার নজির টেনে শুনিয়েছেন সতর্কবার্তা। অর্জুনা রানাতুঙ্গা ১৯৯৬ বিশ্বকাপের উদাহরণ টেনে ফেবারিট হিসেবে রায় দিলেন নিজ দেশের পক্ষে।
ভারত বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, সেটিকেও ভালো প্রস্তুতিই মনে করছেন রিচার্ডস, ‘ভারত এখন বিশ্বের এক নম্বর দল (টেস্টে)। ওদের পেছনে থাকবে উৎফুল্ল সমর্থকও। নিজেদের প্রমাণের তাগিদও তাই থাকবে। দলটা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাচ্ছে। সেখানকার পিচগুলো অন্যরকম হলেও তাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সেটা কাজে আসতে পারে।’
কীভাবে কাজে আসবে সেটা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন কপিল, ‘১৯৮৩ বিশ্বকাপের আগে আমরাও ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের কঠিন লড়াই-ই করতে হয়েছিল। এরপর আমরা বিশ্বকাপেও ভালো খেলেছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওরা ভালো করলে সেটা বিশ্বকাপের জন্য বিশাল প্রেরণা হবে। যদি না-ও করে ওদের মনোবল বাড়ানোর জন্য বিপুল দর্শক তো রইলই।’
ইমরান আবার মনে করছেন, ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে যাওয়াটা এক ধরনের অভিশাপও। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন, ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর পরের বিশ্বকাপে ফেবারিট ছিল পাকিস্তান। দুটো দলই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। ‘মনে পড়ছে সেমিফাইনালে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু চাপ নিতে পারলাম না, কিছু ভুল করে ফেললাম। ১৯৮৩-তেও ভিভ আউট হওয়ার পরই চাপের মুখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়বড় করে ফেলল।’
১৯৯৬ বিশ্বকাপেও স্বাগতিক দর্শকদের চাপ ভারত নিতে পারেনি। ইডেন গার্ডেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ভারতের পরাজয়ের দিকে ইঙ্গিত করে ওই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গা বলছেন, ‘আমি দেখেছি লাখ খানেক দর্শকের সামনে ভারত চাপের মুখে ভেঙে পড়ে। এমনও অনেক সময় আসে যখন প্রত্যাশা থাকে আকাশছোঁয়া, সেটারই মূল্য দিতে হয় শেষে।’
একটি বিষয়ে এই চারজনকেই একমত দেখা গেল। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে আসলে দলের এক-দুজনই আলো ছড়ায়। অন্যরা সেই দেখিয়ে দেওয়া পথে হাঁটে। নিজ দলের ওপর বড় কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও রিচার্ডস এবার তাকিয়ে থাকবেন গেইল-ব্রাভো-পোলার্ডদের দিকে। কপিল তো মনে করেন, বিশ্বকাপ জিতেই অবসরে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। রানাতুঙ্গা অপেক্ষায় আছেন মুরালিধরন, জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারাদের ঝলসে ওঠার। এখানে একটা আক্ষেপ আছে ইমরানের। এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভালো কিছু করতে হলে আমির আর আসিফকে খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ এই দুই পেসারের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা ঝুলে আছে আইসিসির ট্রাইব্যুনালের ওপর।
ক্রিকেটের এই চার কিংবদন্তি একই মঞ্চে দাঁড়ালেন কাল। দিল্লিতে ২০১১ বিশ্বকাপের একটি অনুষ্ঠানে। এবারের বিশ্বকাপের ফেবারিট প্রশ্নে অবশ্য আর চারজন এক মঞ্চে থাকলেন না। ভারতের পক্ষে রায় দিলেন রিচার্ডস আর কপিল। ইমরানও ভারতকে অন্যতম ফেবারিট মেনেও নিজ মাঠের বিশাল দর্শকদের চাপে ভারতের ভেঙে পড়ার নজির টেনে শুনিয়েছেন সতর্কবার্তা। অর্জুনা রানাতুঙ্গা ১৯৯৬ বিশ্বকাপের উদাহরণ টেনে ফেবারিট হিসেবে রায় দিলেন নিজ দেশের পক্ষে।
ভারত বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, সেটিকেও ভালো প্রস্তুতিই মনে করছেন রিচার্ডস, ‘ভারত এখন বিশ্বের এক নম্বর দল (টেস্টে)। ওদের পেছনে থাকবে উৎফুল্ল সমর্থকও। নিজেদের প্রমাণের তাগিদও তাই থাকবে। দলটা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাচ্ছে। সেখানকার পিচগুলো অন্যরকম হলেও তাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সেটা কাজে আসতে পারে।’
কীভাবে কাজে আসবে সেটা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন কপিল, ‘১৯৮৩ বিশ্বকাপের আগে আমরাও ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের কঠিন লড়াই-ই করতে হয়েছিল। এরপর আমরা বিশ্বকাপেও ভালো খেলেছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওরা ভালো করলে সেটা বিশ্বকাপের জন্য বিশাল প্রেরণা হবে। যদি না-ও করে ওদের মনোবল বাড়ানোর জন্য বিপুল দর্শক তো রইলই।’
ইমরান আবার মনে করছেন, ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে যাওয়াটা এক ধরনের অভিশাপও। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন, ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর পরের বিশ্বকাপে ফেবারিট ছিল পাকিস্তান। দুটো দলই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। ‘মনে পড়ছে সেমিফাইনালে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু চাপ নিতে পারলাম না, কিছু ভুল করে ফেললাম। ১৯৮৩-তেও ভিভ আউট হওয়ার পরই চাপের মুখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়বড় করে ফেলল।’
১৯৯৬ বিশ্বকাপেও স্বাগতিক দর্শকদের চাপ ভারত নিতে পারেনি। ইডেন গার্ডেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ভারতের পরাজয়ের দিকে ইঙ্গিত করে ওই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গা বলছেন, ‘আমি দেখেছি লাখ খানেক দর্শকের সামনে ভারত চাপের মুখে ভেঙে পড়ে। এমনও অনেক সময় আসে যখন প্রত্যাশা থাকে আকাশছোঁয়া, সেটারই মূল্য দিতে হয় শেষে।’
একটি বিষয়ে এই চারজনকেই একমত দেখা গেল। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে আসলে দলের এক-দুজনই আলো ছড়ায়। অন্যরা সেই দেখিয়ে দেওয়া পথে হাঁটে। নিজ দলের ওপর বড় কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও রিচার্ডস এবার তাকিয়ে থাকবেন গেইল-ব্রাভো-পোলার্ডদের দিকে। কপিল তো মনে করেন, বিশ্বকাপ জিতেই অবসরে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। রানাতুঙ্গা অপেক্ষায় আছেন মুরালিধরন, জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারাদের ঝলসে ওঠার। এখানে একটা আক্ষেপ আছে ইমরানের। এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভালো কিছু করতে হলে আমির আর আসিফকে খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ এই দুই পেসারের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা ঝুলে আছে আইসিসির ট্রাইব্যুনালের ওপর।
No comments