ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে কী হচ্ছে by শিবনারায়ণ কৈরী |
বাংলাদেশে এখন প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ গ্রামাঞ্চলে বিতরণ হচ্ছে। গ্রাম্য অর্থনীতিতে এর প্রভাব ব্যাপক। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, ক্ষুদ্রঋণ দরিদ্র লোকের কোনো উপকারে আসছে না। কিন্তু গ্রামে এই যে বিশাল অর্থ সরবরাহ হচ্ছে, তার প্রভাব কি অর্থনীতিবিদেরা একটু ভেবে দেখবেন? এই অর্থ গ্রামে ব্যয় হলে সেখানে নানা ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। দেখা যায়, ছোট ছোট নানা ধরনের ব্যবসার প্রসার ঘটছে; জুতার দোকান, দর্জির দোকান, মুদি দোকান, চায়ের স্টল, ফোনের দোকান—এ ধরনের হরেক রকম ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চলছে। এর অন্যতম চালিকাশক্তি ক্ষুদ্রঋণ। ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতারা অর্থ নিয়ে তা ব্যয় করছেন গ্রামেই। এর প্রভাবে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। যাঁরা ক্ষুদ্রঋণের প্রভাব বিশ্লেষণ (ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস) করেন, তাঁরা এ বিষয়গুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখবেন।
চিরাচরিত ব্যাংকিং-ব্যবস্থায় সব ব্যাংকের গ্রামের শাখাগুলোতে সঞ্চয় জমা হয় এবং শহরাঞ্চলের শাখাসমূহে ঋণ বিতরণ হয়। গ্রামের গরিব জনসাধারণ শহরের বিত্তবানদের পুঁজির জোগান দিচ্ছে। এ ব্যবস্থার উল্টো চিত্র হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে। অনেক এনজিও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গ্রামের গরিব লোককে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থের জোগান দিচ্ছে।
অনেকেই শুধু ঋণগ্রহীতার উন্নয়ন হচ্ছে কি না, তা দেখেন এবং সেই বিষয়ে বই লেখেন। গত ২৫-৩০ বছর মাঠে মাঠে ঘুরে আমরা যে চিত্র দেখছি, অনেক সময় তার সঙ্গে বই-পুস্তকের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
গ্রামের নারীরা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে নার্সারি করছেন। গ্রামের প্রতিটি বাজারে নানা ধরনের ফল ও ফুলের চারা বিক্রয় করছেন। যখন দেখি গ্রামের হাট থেকে কৃষক বাজারের থলেসহ হাতে একটি গাছের চারা নিয়ে আসছেন, তখন মনে হয়, এ দৃশ্যটা কল্পনা থেকে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরে নারীরা হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করে যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তার অর্থের জোগান কে দিচ্ছেন, একটু ভেবে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব।
গ্রামের যে নারী বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করছেন এবং সবজি বিক্রি করে মেয়ের বইখাতা কিনছেন, তার মূল্য কি হিসাব কষে বের করা সম্ভব?
৩০ বছর আগে যেখানে অনেক গ্রামে দেখা যেত একটিও টিনের ঘর নেই, এখন সেখানে গিয়ে চার-পাঁচটি বাড়ি ঘুরলেই দেখতে পাবেন একটি টিনের ঘর। মানুষের কোনো উন্নয়ন না হলে এটা হতো না। আগে অনেক মানুষ না খেয়ে থাকত। আগে গ্রামে যখন কোনো বাড়িতে বিয়েশাদি হতো, তখন অনেক বুভুক্ষু মানুষ ভিড় করত একবেলা খাবার পাওয়ার আশায়, এখন সেই চিত্র আর নেই।
গ্রামবাংলার মানুষের উন্নয়নের চিত্র আপনি পাবেন যখন দেখবেন, সকালে গ্রামের ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে স্কুলে যাচ্ছে। এখন প্রায় সব পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। এখানে ছোট একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। আমরা যখন প্রথম কাজের সূত্র ধরে ১৯৮৪ সালে প্রথম ব্র্যাকের সংগঠিত গ্রামসংগঠনের মিটিংয়ে যাই, তখন দেখি ৩০-৪০ জন নারী সেখানে এসেছেন। সবাই মাদুর পেতে উঠানে বসেছেন। আমি ও আমার সহকর্মীরা গেছি। আমাদের পায়ে জুতা। আমরা জুতা খুলে বসলাম। মাদুরের বাইরে শুধু আমাদেরই জুতা। কয়েক দিন আগে অর্থাৎ ২০১০ সালে একই ধরনের একটি এলাকায় গিয়ে দেখি, সবাই জুতা এবং ভালো জামাকাপড় পরে এসেছেন। এতে কি প্রমাণিত হয় না গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণের উন্নতি হচ্ছে? আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এই প্রমাণগুলো অনেককেই বোঝাতে পারছি না।
গত কয়েকটি বছরের অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের অর্থনীতিতে খুব একটা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি, তার বড় একটা কারণ হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ। এই কয়েক বছর শত বাধা সত্ত্বেও ক্ষুদ্রঋণের প্রসার কমেনি, বরং বেড়েছে।
এখন অনেক ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামগঞ্জে এন্টারপ্রাইজ ঋণ দিচ্ছে। এতে করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং গ্রামে দরিদ্র যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ অর্থনীতিতে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তাও ভেবে দেখার জন্য আমি অর্থনীতিবিদদের বিনীত অনুরোধ করব।
প্রায় সব ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতা নারী। এই নারীরা আগে ঘরে বসে থাকতেন এবং পুরুষেরা তাঁদের ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করতেন। আজ চিত্র ভিন্ন। প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি পরিবার থেকে দু-একজন করে প্রায় দুই কোটি নারী আজ প্রতি সপ্তাহে একত্র হচ্ছেন, নিজেদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং সমাধানের পথ তৈরি করছেন। এর মূল্য অর্থনীতিবিদেরা কীভাবে পরিমাপ করবেন, আমি জানি না। তবে এই বিশাল কর্মকাণ্ডের ফল হিসেবে আজ বিশ্বকে বলতে পারছি, আমরা জেন্ডার সমতায় এবং সামাজিক উন্নয়নে অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
আজ আমরা দেখছি শিশুমৃত্যুর হার কমছে, নারীদের পুষ্টিহীনতা আগের তুলনায় অনেক কম। জন্মনিয়ন্ত্রণ-সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বৃদ্ধি—সবকিছুই ঘটছে নারীদের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করায়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ক্ষুদ্রঋণকে যদি তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়া হয়, তাহলে আরও অনেক উন্নয়ন ঘটবে, যা এখনো শুধু আমাদের স্বপ্ন।
আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হবে। প্রতিটি শিশু স্কুলে যাচ্ছে। মেধাবীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যরা বৃত্তিমূলক শিক্ষা পাচ্ছে অথবা অঙ্ক, ভাষা ও ব্যবহারিক জ্ঞান আহরণ করে নিজ নিজ কাজে নিয়োজিত হয়ে সাফল্য অর্জন করছে।
সব জনসাধারণ স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবার গড়ছে। নারী-পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করছে। পরিবারে সব সিদ্ধান্তে সমান অংশগ্রহণ, সম্পদে সমান অধিকার, সন্তান জন্মদান ও পরিবার গঠনের সিদ্ধান্তে নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি পরিবার বাসস্থান, পানীয় জলের সুবিধা, স্যানিটারি ল্যাট্রিন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ইত্যাদি সুবিধা পাচ্ছে।
ক্ষুদ্রঋণ গ্রামের অর্থনীতি তথা গরিব জনসাধারণকে বেঁচে থাকার পথ দেখিয়েছে, এই ক্ষুদ্রঋণব্যবস্থাকে বাধাবিঘ্ন বা আইনের বেড়াজালে না বেঁধে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিলে ক্ষুদ্রঋণ তার সৃজনশীলতা দিয়ে গরিবদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবদান রাখবেই—এই বিশ্বাস আমাদের সবার আছে।
শিবনারায়ণ কৈরী: পরিচালক, অর্থ ও হিসাব, ব্র্যাক।
চিরাচরিত ব্যাংকিং-ব্যবস্থায় সব ব্যাংকের গ্রামের শাখাগুলোতে সঞ্চয় জমা হয় এবং শহরাঞ্চলের শাখাসমূহে ঋণ বিতরণ হয়। গ্রামের গরিব জনসাধারণ শহরের বিত্তবানদের পুঁজির জোগান দিচ্ছে। এ ব্যবস্থার উল্টো চিত্র হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে। অনেক এনজিও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গ্রামের গরিব লোককে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থের জোগান দিচ্ছে।
অনেকেই শুধু ঋণগ্রহীতার উন্নয়ন হচ্ছে কি না, তা দেখেন এবং সেই বিষয়ে বই লেখেন। গত ২৫-৩০ বছর মাঠে মাঠে ঘুরে আমরা যে চিত্র দেখছি, অনেক সময় তার সঙ্গে বই-পুস্তকের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
গ্রামের নারীরা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে নার্সারি করছেন। গ্রামের প্রতিটি বাজারে নানা ধরনের ফল ও ফুলের চারা বিক্রয় করছেন। যখন দেখি গ্রামের হাট থেকে কৃষক বাজারের থলেসহ হাতে একটি গাছের চারা নিয়ে আসছেন, তখন মনে হয়, এ দৃশ্যটা কল্পনা থেকে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরে নারীরা হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করে যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তার অর্থের জোগান কে দিচ্ছেন, একটু ভেবে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব।
গ্রামের যে নারী বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করছেন এবং সবজি বিক্রি করে মেয়ের বইখাতা কিনছেন, তার মূল্য কি হিসাব কষে বের করা সম্ভব?
৩০ বছর আগে যেখানে অনেক গ্রামে দেখা যেত একটিও টিনের ঘর নেই, এখন সেখানে গিয়ে চার-পাঁচটি বাড়ি ঘুরলেই দেখতে পাবেন একটি টিনের ঘর। মানুষের কোনো উন্নয়ন না হলে এটা হতো না। আগে অনেক মানুষ না খেয়ে থাকত। আগে গ্রামে যখন কোনো বাড়িতে বিয়েশাদি হতো, তখন অনেক বুভুক্ষু মানুষ ভিড় করত একবেলা খাবার পাওয়ার আশায়, এখন সেই চিত্র আর নেই।
গ্রামবাংলার মানুষের উন্নয়নের চিত্র আপনি পাবেন যখন দেখবেন, সকালে গ্রামের ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে স্কুলে যাচ্ছে। এখন প্রায় সব পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। এখানে ছোট একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। আমরা যখন প্রথম কাজের সূত্র ধরে ১৯৮৪ সালে প্রথম ব্র্যাকের সংগঠিত গ্রামসংগঠনের মিটিংয়ে যাই, তখন দেখি ৩০-৪০ জন নারী সেখানে এসেছেন। সবাই মাদুর পেতে উঠানে বসেছেন। আমি ও আমার সহকর্মীরা গেছি। আমাদের পায়ে জুতা। আমরা জুতা খুলে বসলাম। মাদুরের বাইরে শুধু আমাদেরই জুতা। কয়েক দিন আগে অর্থাৎ ২০১০ সালে একই ধরনের একটি এলাকায় গিয়ে দেখি, সবাই জুতা এবং ভালো জামাকাপড় পরে এসেছেন। এতে কি প্রমাণিত হয় না গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণের উন্নতি হচ্ছে? আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এই প্রমাণগুলো অনেককেই বোঝাতে পারছি না।
গত কয়েকটি বছরের অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের অর্থনীতিতে খুব একটা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি, তার বড় একটা কারণ হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ। এই কয়েক বছর শত বাধা সত্ত্বেও ক্ষুদ্রঋণের প্রসার কমেনি, বরং বেড়েছে।
এখন অনেক ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামগঞ্জে এন্টারপ্রাইজ ঋণ দিচ্ছে। এতে করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং গ্রামে দরিদ্র যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ অর্থনীতিতে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তাও ভেবে দেখার জন্য আমি অর্থনীতিবিদদের বিনীত অনুরোধ করব।
প্রায় সব ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতা নারী। এই নারীরা আগে ঘরে বসে থাকতেন এবং পুরুষেরা তাঁদের ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করতেন। আজ চিত্র ভিন্ন। প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি পরিবার থেকে দু-একজন করে প্রায় দুই কোটি নারী আজ প্রতি সপ্তাহে একত্র হচ্ছেন, নিজেদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছেন এবং সমাধানের পথ তৈরি করছেন। এর মূল্য অর্থনীতিবিদেরা কীভাবে পরিমাপ করবেন, আমি জানি না। তবে এই বিশাল কর্মকাণ্ডের ফল হিসেবে আজ বিশ্বকে বলতে পারছি, আমরা জেন্ডার সমতায় এবং সামাজিক উন্নয়নে অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
আজ আমরা দেখছি শিশুমৃত্যুর হার কমছে, নারীদের পুষ্টিহীনতা আগের তুলনায় অনেক কম। জন্মনিয়ন্ত্রণ-সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বৃদ্ধি—সবকিছুই ঘটছে নারীদের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করায়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ক্ষুদ্রঋণকে যদি তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়া হয়, তাহলে আরও অনেক উন্নয়ন ঘটবে, যা এখনো শুধু আমাদের স্বপ্ন।
আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হবে। প্রতিটি শিশু স্কুলে যাচ্ছে। মেধাবীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যরা বৃত্তিমূলক শিক্ষা পাচ্ছে অথবা অঙ্ক, ভাষা ও ব্যবহারিক জ্ঞান আহরণ করে নিজ নিজ কাজে নিয়োজিত হয়ে সাফল্য অর্জন করছে।
সব জনসাধারণ স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবার গড়ছে। নারী-পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করছে। পরিবারে সব সিদ্ধান্তে সমান অংশগ্রহণ, সম্পদে সমান অধিকার, সন্তান জন্মদান ও পরিবার গঠনের সিদ্ধান্তে নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি পরিবার বাসস্থান, পানীয় জলের সুবিধা, স্যানিটারি ল্যাট্রিন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ইত্যাদি সুবিধা পাচ্ছে।
ক্ষুদ্রঋণ গ্রামের অর্থনীতি তথা গরিব জনসাধারণকে বেঁচে থাকার পথ দেখিয়েছে, এই ক্ষুদ্রঋণব্যবস্থাকে বাধাবিঘ্ন বা আইনের বেড়াজালে না বেঁধে স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিলে ক্ষুদ্রঋণ তার সৃজনশীলতা দিয়ে গরিবদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবদান রাখবেই—এই বিশ্বাস আমাদের সবার আছে।
শিবনারায়ণ কৈরী: পরিচালক, অর্থ ও হিসাব, ব্র্যাক।
No comments