সরকারদলীয় নেতা খুন
রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীন ইসলামকে হত্যা করার পর সাধারণ মানুষের জীবন কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। একজন সরকারদলীয় নেতাকে যদি দুর্বৃত্তরা থানার কাছেই এত অনায়াসে গুলি করে নিরাপদে প্রস্থান করতে পারে, তাহলে তাদের অসাধ্য তো আর কিছু নেই। উপরন্তু, নিহত ব্যক্তি ঢাকা-৬ আসনের সাংসদ মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর তো প্রবল প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকার কথা। তাৎক্ষণিকভাবে সন্দেহভাজন যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের অন্যতম হলেন ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্ভাব্য তিনটি কারণ রয়েছে বলে এলাকার জনসাধারণ মনে করেন। প্রথমত, ধারণা করা হয় যে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির সঙ্গে নিহত সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব ছিল। এলাকায় প্রভাব বিস্তারেরও একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু তাই বলে এসব কারণে একজন মানুষ খুন হয়ে যাবেন! এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে অরাজকতা দেখা দেবে, যে যার শত্রু নিধনে নেমে পড়বে। এ রকম চলতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, নিহত দীন ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে বেশ কিছু অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি তিনি এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। হয়তো এসব কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে। যখন সরকার ও পুলিশ প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণে মানুষকে সচেতন ও সংঘবদ্ধ হওয়ার কথা বলছে, তখন যদি সন্ত্রাসীদের গুলি খেয়ে মরতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোন ভরসায় এগিয়ে আসবে?
তৃতীয় যে কারণটির কথা সবাই বলছেন তা হলো, সামনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় চলছে। নিহত দীন ইসলাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। হয়তো তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পথের কাঁটা অপসারণের জন্য খুনের আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এরই মধ্যে যদি খুনোখুনি শুরু হয়ে যায়, তাহলে নির্বাচনের সময় কী হবে? অতীতে, বিশেষত এরশাদ আমলে, আশির দশকে ইউপি, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে খুনোখুনি আতঙ্কজনক পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এখন যদি আবার সেই প্রবণতা ফিরে আসে, তাহলে সেটা হবে সাংঘাতিক উদ্বেগের বিষয়।
দীন ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।
এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্ভাব্য তিনটি কারণ রয়েছে বলে এলাকার জনসাধারণ মনে করেন। প্রথমত, ধারণা করা হয় যে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির সঙ্গে নিহত সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব ছিল। এলাকায় প্রভাব বিস্তারেরও একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু তাই বলে এসব কারণে একজন মানুষ খুন হয়ে যাবেন! এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে অরাজকতা দেখা দেবে, যে যার শত্রু নিধনে নেমে পড়বে। এ রকম চলতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, নিহত দীন ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে বেশ কিছু অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি তিনি এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। হয়তো এসব কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে। যখন সরকার ও পুলিশ প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণে মানুষকে সচেতন ও সংঘবদ্ধ হওয়ার কথা বলছে, তখন যদি সন্ত্রাসীদের গুলি খেয়ে মরতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোন ভরসায় এগিয়ে আসবে?
তৃতীয় যে কারণটির কথা সবাই বলছেন তা হলো, সামনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় চলছে। নিহত দীন ইসলাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। হয়তো তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পথের কাঁটা অপসারণের জন্য খুনের আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এরই মধ্যে যদি খুনোখুনি শুরু হয়ে যায়, তাহলে নির্বাচনের সময় কী হবে? অতীতে, বিশেষত এরশাদ আমলে, আশির দশকে ইউপি, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে খুনোখুনি আতঙ্কজনক পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এখন যদি আবার সেই প্রবণতা ফিরে আসে, তাহলে সেটা হবে সাংঘাতিক উদ্বেগের বিষয়।
দীন ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।
No comments