ইরাকের নতুন সরকার গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা
নির্বাচনের আট মাস পর ক্ষমতা ভাগাভাগিতে রাজি হয়েছে ইরাকের রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই সমঝোতা অনুযায়ী শিয়া নেতা নুরি আল-মালিকিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বহাল থাকবেন।
আলী আল-দাব্বাগ নামের সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গত শনিবার সমঝোতা হয়েছে। এ সমঝোতা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জালাল তালাবানি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নুরি আল-মালিকি দায়িত্ব পালন করবেন। আর পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত হবেন সুন্নি সমর্থিত ইরাকিয়া জোট থেকে। তবে কে হবেন স্পিকার তা ইরাকিয়া জোটই নির্বাচিত করবে।
আল-দাব্বাগ বলেন, শিয়া সমর্থিত ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ও কুর্দি সমর্থিত প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তানের (পিইউকে) মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে স্পিকার ও প্রেসিডেন্টের পদ নিয়ে কিছু সময়ের জন্য দ্বিমত পোষণ করেছিল ইরাকিয়া জোট। গুরুত্বপূর্ণ এ পদ দুটি কোন দল থেকে নির্বাচন করা হবে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
গত ৭ মার্চ ইরাকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবি নেতৃত্বাধীন সুন্নি জোট ইরাকিয়া জয়ী হলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
আল-দাব্বাগ জানান, কুর্দিস্তানের আরবিলে গতকাল সোমবার এক বৈঠকে হাজির হয়ে এ সমঝোতার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে নুরি আল-মালিকি ও আইয়াদ আলাবির। তবে তিনি বলেন, ইরাকিয়ার সঙ্গে খসড়া চুক্তি হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হবে বলে দাব্বাগ জানান। তিনি বলেন, আর এটাই হবে নতুন সরকার গঠনের পথে প্রথম পদক্ষেপ।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন একটি সরকারই গঠন করা উচিত। তিনি বলেন, ‘ইরাকের সব জনগোষ্ঠীর স্বার্থ প্রতিফলিত হয় এমন একটি সরকার গঠনের জন্য আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি।’
ইরাকিয়া জোটের সাংসদ জামাল আল-বুতিখ বলেছেন, ইরাকিয়ার সম্মতি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না—এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই তাঁর দল প্রথম দিকে এ সমঝোতার ব্যাপারে রাজি হয়েছিল। এই নিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতেই কুর্দিস্তানের আরবিলের অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হয়েছেন আলাবি। বুতিখ বলেন, ইরাকিয়া জোটের কিছু সদস্য প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইরাকিয়া জোটের অপর এক এমপি আলিয়া নুসায়েফ জানান, আরবিল বৈঠকে শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পার্লামেন্টে তাঁর দলের ৪০টি আসন রয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি ইরাকের নতুন সরকার গঠনে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কুর্দিস্তানের রাজধানী আরবিলে গতকাল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে হামলা চালানোর পর এটাই হলো দ্বিতীয় নির্বাচন। মার্চের ওই নির্বাচনে ৩২৫ আসনের পার্লামেন্টে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
আলী আল-দাব্বাগ নামের সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গত শনিবার সমঝোতা হয়েছে। এ সমঝোতা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জালাল তালাবানি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নুরি আল-মালিকি দায়িত্ব পালন করবেন। আর পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত হবেন সুন্নি সমর্থিত ইরাকিয়া জোট থেকে। তবে কে হবেন স্পিকার তা ইরাকিয়া জোটই নির্বাচিত করবে।
আল-দাব্বাগ বলেন, শিয়া সমর্থিত ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ও কুর্দি সমর্থিত প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তানের (পিইউকে) মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে স্পিকার ও প্রেসিডেন্টের পদ নিয়ে কিছু সময়ের জন্য দ্বিমত পোষণ করেছিল ইরাকিয়া জোট। গুরুত্বপূর্ণ এ পদ দুটি কোন দল থেকে নির্বাচন করা হবে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
গত ৭ মার্চ ইরাকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাবি নেতৃত্বাধীন সুন্নি জোট ইরাকিয়া জয়ী হলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
আল-দাব্বাগ জানান, কুর্দিস্তানের আরবিলে গতকাল সোমবার এক বৈঠকে হাজির হয়ে এ সমঝোতার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে নুরি আল-মালিকি ও আইয়াদ আলাবির। তবে তিনি বলেন, ইরাকিয়ার সঙ্গে খসড়া চুক্তি হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কিছু বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হবে বলে দাব্বাগ জানান। তিনি বলেন, আর এটাই হবে নতুন সরকার গঠনের পথে প্রথম পদক্ষেপ।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন একটি সরকারই গঠন করা উচিত। তিনি বলেন, ‘ইরাকের সব জনগোষ্ঠীর স্বার্থ প্রতিফলিত হয় এমন একটি সরকার গঠনের জন্য আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি।’
ইরাকিয়া জোটের সাংসদ জামাল আল-বুতিখ বলেছেন, ইরাকিয়ার সম্মতি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না—এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই তাঁর দল প্রথম দিকে এ সমঝোতার ব্যাপারে রাজি হয়েছিল। এই নিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতেই কুর্দিস্তানের আরবিলের অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হয়েছেন আলাবি। বুতিখ বলেন, ইরাকিয়া জোটের কিছু সদস্য প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইরাকিয়া জোটের অপর এক এমপি আলিয়া নুসায়েফ জানান, আরবিল বৈঠকে শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পার্লামেন্টে তাঁর দলের ৪০টি আসন রয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি ইরাকের নতুন সরকার গঠনে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কুর্দিস্তানের রাজধানী আরবিলে গতকাল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে হামলা চালানোর পর এটাই হলো দ্বিতীয় নির্বাচন। মার্চের ওই নির্বাচনে ৩২৫ আসনের পার্লামেন্টে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
No comments