সাকিবে আলোকিত সন্ধ্যা
সন্ধ্যার পর মোহামেডান ক্লাবকে কেন্দ্র করে মতিঝিল ক্লাব পাড়াটা এমনিতেই জমজমাট হয়ে ওঠে। কাল তো ছিল একেবারে গমগমে অবস্থা। গাড়ির সারি ক্লাবগেট উপচে বাইরের রাস্তায় চলে এল। ভেতর থেকে স্লোগান ভেসে এল—সাকিব, সাকিব!
বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান কি নতুন কিছু জিতলেন নাকি! না, জেতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এলেন মোহামেডান ক্লাবে। মোহামেডানেই ছিলেন, মোহামেডানেই এলেন; মাঝে এক মৌসুম ঘুরে এলেন ‘চিরশত্রু’ ক্লাব আবাহনীতে। মোহামেডান ক্লাবের হলরুমে সমর্থক আর সাংবাদিকদের ভিড়ে হাঁসফাঁস করতে করতেও স্বভাবসুলভ হাসি সাকিবের মুখে, ‘মোহামেডানের প্রতি ছোটবেলা থেকেই একটা ভালোবাসা আছে। পেশাদার যুগে কোনো ক্লাবে একটানা থাকা কঠিন। তার পরও মোহামেডানে ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
কথাগুলো সাকিবের বলার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বসে, মোহামেডানের এই উৎসবটা হওয়ার কথা ছিল সিসিডিএম কার্যালয়ে। কিন্তু এই সব সম্ভবের দেশে দৃশ্যত কোনো বড় কারণ ছাড়াই মোহামেডান তাদের ক্লাবে নিয়ে এল সিসিডিএম কার্যালয়; বিশেষ কমিশনে ক্লাবে এসে দলবদল করলেন সিসিডিএম কর্মকর্তারা।
সিসিডিএমের তিন কর্মকর্তার সামনে নাজিমউদ্দিন, শামসুর রহমান, তারেক আজিজ, এনামুল হক জুনিয়র, সাকিব আল হাসানসহ সাত ক্রিকেটারকে সই করাল মোহামেডান।
কারণ হিসেবে মোহামেডান কর্মকর্তা লুৎফর রহমান অবশ্য দাবি করলেন, ‘বড় একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাওয়ার ঝামেলা এড়াতেই এই উদ্যোগ।’ ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে দলগুলো এসে যেখানে দলবদল সারল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, সেখানে নিকটতম ক্লাব মোহামেডানের এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত!
তবে এতে একটা ব্যাপার অন্ত হলো—দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের দলবদল নিয়ে আলাদা একটা উত্তেজনা বয়ে গেল। সাকিবের কণ্ঠেও সেই উত্তেজনার ছোঁয়া, ‘এভাবে দলবদল করাটা একটু অন্যরকম ব্যাপার। আমার বেশ মজাই লাগছে। এই অভিজ্ঞতাটা এর আগে কখনো হয়নি।’
আরেক অভিজ্ঞতার সঙ্গেও পরিচিত হতে চান সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে এই অলরাউন্ডার প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে চেনাতে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সটা ঠিকমতো অনুবাদ করতে পারেননি। এবার ওটাই করতে চান, ‘শুধু প্রিমিয়ার নয়, দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও আমার পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো ভালো নয়। এবার সেটা বদলাতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে সব ধরনের ক্রিকেটকে সিরিয়াসলি নিই, এবার প্রিমিয়ারকে আরও সিরিয়াসলি নিচ্ছি।’
এই ‘সিরিয়াসলি’ নেওয়া না-নেওয়া নিয়ে অবশ্য সাকিবের ব্যাপারে তাঁর সাবেক ক্লাব আবাহনীর কিঞ্চিৎ অভিযোগ আছে। তাদের অনেক সমর্থক বলেন, সাকিবের কারণেই গত মৌসুমে শিরোপা হারিয়েছে আবাহনী। সাকিব এ অভিযোগ শুনে হাসলেন, ‘যারা এ রকম মনে করে, তাদের ব্যাপারে তো আমার কিছু বলার নেই।’
ক্লাব রাজনীতি নিয়ে তিনি মাথা ঘামান না, এ কথা প্রায় সময়ই বলেন সাকিব। আবারও সে রকম করেই বললেন, ‘আমি পেশাদার খেলোয়াড়। যে ক্লাবে খেলব, তাদের হয়ে ভালো খেলাই আমার কাজ, তাদের শিরোপা এনে দেওয়ার জন্যই লড়াই করি আমি।’
বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান কি নতুন কিছু জিতলেন নাকি! না, জেতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এলেন মোহামেডান ক্লাবে। মোহামেডানেই ছিলেন, মোহামেডানেই এলেন; মাঝে এক মৌসুম ঘুরে এলেন ‘চিরশত্রু’ ক্লাব আবাহনীতে। মোহামেডান ক্লাবের হলরুমে সমর্থক আর সাংবাদিকদের ভিড়ে হাঁসফাঁস করতে করতেও স্বভাবসুলভ হাসি সাকিবের মুখে, ‘মোহামেডানের প্রতি ছোটবেলা থেকেই একটা ভালোবাসা আছে। পেশাদার যুগে কোনো ক্লাবে একটানা থাকা কঠিন। তার পরও মোহামেডানে ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
কথাগুলো সাকিবের বলার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বসে, মোহামেডানের এই উৎসবটা হওয়ার কথা ছিল সিসিডিএম কার্যালয়ে। কিন্তু এই সব সম্ভবের দেশে দৃশ্যত কোনো বড় কারণ ছাড়াই মোহামেডান তাদের ক্লাবে নিয়ে এল সিসিডিএম কার্যালয়; বিশেষ কমিশনে ক্লাবে এসে দলবদল করলেন সিসিডিএম কর্মকর্তারা।
সিসিডিএমের তিন কর্মকর্তার সামনে নাজিমউদ্দিন, শামসুর রহমান, তারেক আজিজ, এনামুল হক জুনিয়র, সাকিব আল হাসানসহ সাত ক্রিকেটারকে সই করাল মোহামেডান।
কারণ হিসেবে মোহামেডান কর্মকর্তা লুৎফর রহমান অবশ্য দাবি করলেন, ‘বড় একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাওয়ার ঝামেলা এড়াতেই এই উদ্যোগ।’ ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে দলগুলো এসে যেখানে দলবদল সারল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, সেখানে নিকটতম ক্লাব মোহামেডানের এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত!
তবে এতে একটা ব্যাপার অন্ত হলো—দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের দলবদল নিয়ে আলাদা একটা উত্তেজনা বয়ে গেল। সাকিবের কণ্ঠেও সেই উত্তেজনার ছোঁয়া, ‘এভাবে দলবদল করাটা একটু অন্যরকম ব্যাপার। আমার বেশ মজাই লাগছে। এই অভিজ্ঞতাটা এর আগে কখনো হয়নি।’
আরেক অভিজ্ঞতার সঙ্গেও পরিচিত হতে চান সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে এই অলরাউন্ডার প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে চেনাতে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সটা ঠিকমতো অনুবাদ করতে পারেননি। এবার ওটাই করতে চান, ‘শুধু প্রিমিয়ার নয়, দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও আমার পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো ভালো নয়। এবার সেটা বদলাতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে সব ধরনের ক্রিকেটকে সিরিয়াসলি নিই, এবার প্রিমিয়ারকে আরও সিরিয়াসলি নিচ্ছি।’
এই ‘সিরিয়াসলি’ নেওয়া না-নেওয়া নিয়ে অবশ্য সাকিবের ব্যাপারে তাঁর সাবেক ক্লাব আবাহনীর কিঞ্চিৎ অভিযোগ আছে। তাদের অনেক সমর্থক বলেন, সাকিবের কারণেই গত মৌসুমে শিরোপা হারিয়েছে আবাহনী। সাকিব এ অভিযোগ শুনে হাসলেন, ‘যারা এ রকম মনে করে, তাদের ব্যাপারে তো আমার কিছু বলার নেই।’
ক্লাব রাজনীতি নিয়ে তিনি মাথা ঘামান না, এ কথা প্রায় সময়ই বলেন সাকিব। আবারও সে রকম করেই বললেন, ‘আমি পেশাদার খেলোয়াড়। যে ক্লাবে খেলব, তাদের হয়ে ভালো খেলাই আমার কাজ, তাদের শিরোপা এনে দেওয়ার জন্যই লড়াই করি আমি।’
No comments