সাহিত্যালোচনা- 'রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে পালাকারের নাটক' by মাহফুজাহিলালী
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর ৩ নং মহড়া কক্ষ। দরজা খুলতেই খটখট শব্দ। সেট লাগানো চলছে। বেশ বড় সেট_ কাঠের পাটাতন, সিঁড়ি, জমিদার বাড়ির বারান্দার পিলার দেখা যাচ্ছে।
এটি 'পালাকার' প্রযোজনা 'বাংলার মাটি বাংলার জলে'র সেট। নাটকটি লিখেছেন সৈয়দ শামসুল হক এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন আতাউর রহমান। পারফরমাররা অপেক্ষা করছে মহড়ার। তবে একজন আপন মনেই নিজের অংশগুলো রিহার্স্যাল করছেন তিনি শামীম সাগর। শামীম সাগর কেন্দ্রীয় চরিত্র 'রবীন্দ নাথ ঠাকুর' য়ের অভিনয় করছেন। বসে আছেন নাটকের সহ-নির্দেশক পালাকারের সভাপতি আমিনুর রহমান মুকুল।
নাটকের কাহিনি এরকম_ বিলেত ফেরত রবীন্দ নাথ। পারিবারিক জমিদারির দায়িত্ব নিয়ে তাঁকে আসতে হলো বাংলাদেশের শিলাইদহ-শাহজাদপুর-পতিসর। এখানকার নায়েবের আয়োজন করা অভ্যর্থনার আতিশয্য সহজ সরল জীবনে অভ্যস্ত রবীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করে না, আর তাইতো রাজা সম্বোধন শুনে তিনি বলে ওঠেন, 'কে রাজা? আমি তো রাজা নই' কিংবা উপস্থিত গ্রামবাসীকে বলেন 'আমি এসেছি তোমাদের সঙ্গে থাকবো, মিলবো বলে'। কলকাতা থেকে আসবার সময় রবীন্দ নাথ ভাতিজী ববকে (সত্যেন্দ নাথ ঠাকুরের মেয়ে ইন্দিরা দেবী) কথা দিয়ে এসেছিলেন, বাংলাদেশে এসে যা কিছু দেখবেন তার সবই লিখে জানাবেন। শিলাইদহ-শাহজাদপুর-পতিসরে বাংলাদেশের প্রকৃতির রূপ নতুন করে আবিষ্কার করতে থাকেন রবীন্দ নাথ, মানুষগুলোকেও আবিষ্কার করতে থাকেন নতুন রূপে। আর এসবের বর্ণনা চিঠি আকারে পৌঁছে যেতে থাকে ইন্দিরা দেবীর কাছে। কলকাতায় বসে কাকার চিঠির বর্ণনা পড়তে পড়তে ইন্দিরার সামনে এসে উপস্থিত হয় বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ এবং প্রকৃতি। শিলাইদহে প্রধান কাজের লোক গফুরের দার্শনিক কথাবার্তা রবীন্দ নাথকে অবাক করে। শাহজাদপুরের সহজ সরল পন্ডিতদের সুনীতি সঞ্চারিণী সভায় সাহিত্য চর্চার প্রচেষ্টা তাঁকে আনন্দিত করে; কিন্তু সভার বাড়াবাড়ি আহত করে। পতিসরের গরীব প্রজাদের ভালোবাসা করে সিক্ত। নদীবক্ষে বোটে ঘুরতে ঘুরতে নদী তীরের নানা ঘটনা দেখতে দেখতে তার কলম থেকে সৃষ্টি হয় জীবিত ও মৃত, সমাপ্তি, ছুটির মতন অসাধারণ সব ছোটগল্পের, আহমেদাবাদে থাকার সময় মনের মাঝে যে বীজ বপন করেছিলেন সেটা লেখার আকার ধারণ করে হয় 'ক্ষুধিত পাষাণ'। শাহজাদপুরে প্রায় দিন যে পোস্ট মাস্টারের সাথে গল্পে আড্ডায় সময় কাটে, তাকে ভেবে সৃষ্টি হয় 'পোস্ট মাস্টার' গল্পের। এমনি করে রবীন্দ নাথের রচনার ঝুলি গান, গল্প, কবিতা, নাটক সহ বিভিন্ন রচনায় সমৃদ্ধ হতে থাকে। পাশাপাশি ডাকাত রূপচাঁদ তাঁর বন্ধুত্বের পরশে ডাকাতি ছেড়ে দেয়। রবীন্দ নাথের সাহসের সাথে সাহস মিলিয়ে মাঝি ফুলচাঁদ ঝড়-ঝঞ্ঝাপূর্ণ পদ্মার বুকে নাও ভাসিয়ে দেয়। গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো আপনার জন মনে করে সরাসরি তার কাছে এসে নালিশ জানায়, তাঁকে ভালোবেসে কখনো কখনো শাসন করে বকে, কখনও তাঁকে শুধু চোখ ভরে দেখবার জন্য আকুল হয়ে ওঠে। নায়েবের প্রশাসনিক ছকে বাঁধা নিয়মকে তোয়াক্কা করে গরীব প্রজাদের জন্য কিছু করার উদ্যোগও গ্রহণ করেন তিনি। আর গগন হরকরার গানের সুর, গানের কথা রবীন্দ নাথকে আকুল করে তোলে। তাইতো গগনের 'আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে' গানটির সুর ধারণ করে রচনা করেন 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি'।
নাটকের নির্দেশক আতাউর রহমান বলেন, বর্তমানে আমি একটি বড় চ্যালেঞ্জিং কাজে নিয়োজিত। 'বাংলার মাটি বাংলার জল' নাটক মঞ্চায়ন করার লক্ষ্যে 'পালাকারের' একদল তরুণ, কর্মঠ ও প্রতিভাবান নাট্যকর্মীর সাথে কাজ করছি। আমাদের বঙ্গভূমি একজন রবীন্দ নাথকে কি ভাবে গড়ে তুলল, তারই প্রতিভাস লক্ষ্য করা যাবে এই নাটকে। প্রায় ৩৫ জন অভিনেতা নিয়ে কাজ করছি, অভিনয়, আবৃত্তি, নৃত্য, কথন ইত্যাদি মিলেমিশে একটি বড় আয়োজনই বলা যেতে পারে। অভিনয়ের সময় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মত লাগবে। পালাকারের সদস্যদের মনস্কতা ও নিরলস শ্রম নিয়োগ আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে। সহযোগী নির্দেশক হিসেবে আমি পেয়েছি পালাকারের কর্ণধার আমিনুর রহমান মুকুলকে যিনি সফল নির্দেশক হিসেবে নিজ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত। আমার কাজটা উনি সহজ করে দিয়েছেন। উনি আমার পরামর্শ অনুসারে নির্দেশনার কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন এবং আমিও তার উপযুক্ত পরামর্শ নির্দ্বিধায় গ্রহণ করছি। এমনও হতে পারে এই নাটকটি বিশ্ব মানব রবীন্দ্রনাথে ঠাকুরের সার্ধশতবর্ষে বাংলাদেশের মানুষদের পক্ষ থেকে দর্শকদের করকমলে একটা বড় উপহার হতে পারে।
পালাকারের সভাপতি আমিনুর রহমান মুকুল এ নাটক সম্পর্কে বলেন, আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক হয়েছে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনো নাটক হয়নি। এই রকম একটি নাটক মঞ্চে ফুটিয়ে তোলা সত্যি চ্যালেঞ্জিং। পালাকার সব সময় চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পছন্দ করে। তাছাড়া আমরা বাংলাদেশের প্রথিতযশা নির্দেশকদের সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞ হতে চাই, আতাউর রহমানও আমাদের সেই চাওয়ায় সাড়া দিয়েছেন। এভাবেই আমাদের দলীয় প্রযোজনায় আতাউর রহমান নির্দেশিত 'বাংলার মাটি বাংলার জল' সংযোজিত হলো।
কুষ্টিয়ার ছেলে শামীম সাগর 'রবীন্দ্রনাথে'র চরিত্র করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি জানান যে, ঠিক রবীন্দ্রনাথের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলছেন না বরং রবীন্দ্রনাথের সেই সময়ের কথাগুলো বলছেন, সেই তারুণ্যকে ধরবার চেষ্টা করেছেন। এই বঙ্গের মানুষ-প্রকৃতির প্রতি তাঁর যে অনুভূতি ছিল এবং এই বাংলাদেশ তাঁকে যেভাবে রবীন্দ নাথ করে তুললো_ সেগুলোকে অনেকটা নিজের মতো করেই প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে ইন্দিরা দেবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শাহানা বাপ্পী। বাপ্পী চেষ্টা করছেন ইন্দিরা দেবীর ব্যক্তিত্বকে আত্মস্থ করবার। নাটকটির ভেতরে 'সমাপ্তি', 'পোস্টমাস্টার', 'চিত্রাঙ্গদা', 'পুরস্কার'-এর অংশবিশেষের অভিনয়ও হচ্ছে। কাহিনির প্রয়োজনে এসেছে একটি নায়েব চরিত্র যার সংলাপ মাত্র একটি কিন্তু তার মাধ্যমে জমিদারি প্রথার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের মতবিরোধটি ফুটে উঠেছে।
নাটকে অভিনয় কুশলীরা হলেন : শামীম সাগর, রবি প্রারম্ভ অরিত্র, অনিকেত পাল বাবু, সেলিম হায়দার, ইভা খান, ফহমিদা মলিস্নক শিশির, নাহিদা শারমিন শর্মী, রফিক নটবর, তাপস তপু, রনি খান, জাহিদ হাসান, শাহরিয়ার খান রিন্টু, ইমরান হোসেন, ইউসুফুল হক শুভ, মেহেদি জুয়েল, মোহাম্মদ আলী পারভেজ, প্রণব দাস বাবু, রাশেদ খান মেনন, শাহানা বাপ্পী, মোহাম্মদ আলী পারভেজ, লিয়াকত লিকু, আরিফুল হক চঞ্চল, তাপস তপু, দোস্ত মাহমুদ নূরী শাহ, নভেম্বর টিউসডে রোদ এবং আমিনুর রহমান মুকুল। মঞ্চ পরিকল্পনা ও কোরিওগ্রাফি করেছেন অনিকেত পাল বাবু, আলোক পরিকল্পনায় নাসিরুল হক খোকন, পোশাক পরিকল্পনায় লুসি তৃপ্তি গোমেজ এবং সংগীত পরিকল্পনায় রয়েছেন অজয় দাশ।
নাটকের কাহিনি এরকম_ বিলেত ফেরত রবীন্দ নাথ। পারিবারিক জমিদারির দায়িত্ব নিয়ে তাঁকে আসতে হলো বাংলাদেশের শিলাইদহ-শাহজাদপুর-পতিসর। এখানকার নায়েবের আয়োজন করা অভ্যর্থনার আতিশয্য সহজ সরল জীবনে অভ্যস্ত রবীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করে না, আর তাইতো রাজা সম্বোধন শুনে তিনি বলে ওঠেন, 'কে রাজা? আমি তো রাজা নই' কিংবা উপস্থিত গ্রামবাসীকে বলেন 'আমি এসেছি তোমাদের সঙ্গে থাকবো, মিলবো বলে'। কলকাতা থেকে আসবার সময় রবীন্দ নাথ ভাতিজী ববকে (সত্যেন্দ নাথ ঠাকুরের মেয়ে ইন্দিরা দেবী) কথা দিয়ে এসেছিলেন, বাংলাদেশে এসে যা কিছু দেখবেন তার সবই লিখে জানাবেন। শিলাইদহ-শাহজাদপুর-পতিসরে বাংলাদেশের প্রকৃতির রূপ নতুন করে আবিষ্কার করতে থাকেন রবীন্দ নাথ, মানুষগুলোকেও আবিষ্কার করতে থাকেন নতুন রূপে। আর এসবের বর্ণনা চিঠি আকারে পৌঁছে যেতে থাকে ইন্দিরা দেবীর কাছে। কলকাতায় বসে কাকার চিঠির বর্ণনা পড়তে পড়তে ইন্দিরার সামনে এসে উপস্থিত হয় বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ এবং প্রকৃতি। শিলাইদহে প্রধান কাজের লোক গফুরের দার্শনিক কথাবার্তা রবীন্দ নাথকে অবাক করে। শাহজাদপুরের সহজ সরল পন্ডিতদের সুনীতি সঞ্চারিণী সভায় সাহিত্য চর্চার প্রচেষ্টা তাঁকে আনন্দিত করে; কিন্তু সভার বাড়াবাড়ি আহত করে। পতিসরের গরীব প্রজাদের ভালোবাসা করে সিক্ত। নদীবক্ষে বোটে ঘুরতে ঘুরতে নদী তীরের নানা ঘটনা দেখতে দেখতে তার কলম থেকে সৃষ্টি হয় জীবিত ও মৃত, সমাপ্তি, ছুটির মতন অসাধারণ সব ছোটগল্পের, আহমেদাবাদে থাকার সময় মনের মাঝে যে বীজ বপন করেছিলেন সেটা লেখার আকার ধারণ করে হয় 'ক্ষুধিত পাষাণ'। শাহজাদপুরে প্রায় দিন যে পোস্ট মাস্টারের সাথে গল্পে আড্ডায় সময় কাটে, তাকে ভেবে সৃষ্টি হয় 'পোস্ট মাস্টার' গল্পের। এমনি করে রবীন্দ নাথের রচনার ঝুলি গান, গল্প, কবিতা, নাটক সহ বিভিন্ন রচনায় সমৃদ্ধ হতে থাকে। পাশাপাশি ডাকাত রূপচাঁদ তাঁর বন্ধুত্বের পরশে ডাকাতি ছেড়ে দেয়। রবীন্দ নাথের সাহসের সাথে সাহস মিলিয়ে মাঝি ফুলচাঁদ ঝড়-ঝঞ্ঝাপূর্ণ পদ্মার বুকে নাও ভাসিয়ে দেয়। গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো আপনার জন মনে করে সরাসরি তার কাছে এসে নালিশ জানায়, তাঁকে ভালোবেসে কখনো কখনো শাসন করে বকে, কখনও তাঁকে শুধু চোখ ভরে দেখবার জন্য আকুল হয়ে ওঠে। নায়েবের প্রশাসনিক ছকে বাঁধা নিয়মকে তোয়াক্কা করে গরীব প্রজাদের জন্য কিছু করার উদ্যোগও গ্রহণ করেন তিনি। আর গগন হরকরার গানের সুর, গানের কথা রবীন্দ নাথকে আকুল করে তোলে। তাইতো গগনের 'আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে' গানটির সুর ধারণ করে রচনা করেন 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি'।
নাটকের নির্দেশক আতাউর রহমান বলেন, বর্তমানে আমি একটি বড় চ্যালেঞ্জিং কাজে নিয়োজিত। 'বাংলার মাটি বাংলার জল' নাটক মঞ্চায়ন করার লক্ষ্যে 'পালাকারের' একদল তরুণ, কর্মঠ ও প্রতিভাবান নাট্যকর্মীর সাথে কাজ করছি। আমাদের বঙ্গভূমি একজন রবীন্দ নাথকে কি ভাবে গড়ে তুলল, তারই প্রতিভাস লক্ষ্য করা যাবে এই নাটকে। প্রায় ৩৫ জন অভিনেতা নিয়ে কাজ করছি, অভিনয়, আবৃত্তি, নৃত্য, কথন ইত্যাদি মিলেমিশে একটি বড় আয়োজনই বলা যেতে পারে। অভিনয়ের সময় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মত লাগবে। পালাকারের সদস্যদের মনস্কতা ও নিরলস শ্রম নিয়োগ আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে। সহযোগী নির্দেশক হিসেবে আমি পেয়েছি পালাকারের কর্ণধার আমিনুর রহমান মুকুলকে যিনি সফল নির্দেশক হিসেবে নিজ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত। আমার কাজটা উনি সহজ করে দিয়েছেন। উনি আমার পরামর্শ অনুসারে নির্দেশনার কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন এবং আমিও তার উপযুক্ত পরামর্শ নির্দ্বিধায় গ্রহণ করছি। এমনও হতে পারে এই নাটকটি বিশ্ব মানব রবীন্দ্রনাথে ঠাকুরের সার্ধশতবর্ষে বাংলাদেশের মানুষদের পক্ষ থেকে দর্শকদের করকমলে একটা বড় উপহার হতে পারে।
পালাকারের সভাপতি আমিনুর রহমান মুকুল এ নাটক সম্পর্কে বলেন, আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক হয়েছে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনো নাটক হয়নি। এই রকম একটি নাটক মঞ্চে ফুটিয়ে তোলা সত্যি চ্যালেঞ্জিং। পালাকার সব সময় চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পছন্দ করে। তাছাড়া আমরা বাংলাদেশের প্রথিতযশা নির্দেশকদের সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞ হতে চাই, আতাউর রহমানও আমাদের সেই চাওয়ায় সাড়া দিয়েছেন। এভাবেই আমাদের দলীয় প্রযোজনায় আতাউর রহমান নির্দেশিত 'বাংলার মাটি বাংলার জল' সংযোজিত হলো।
কুষ্টিয়ার ছেলে শামীম সাগর 'রবীন্দ্রনাথে'র চরিত্র করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি জানান যে, ঠিক রবীন্দ্রনাথের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলছেন না বরং রবীন্দ্রনাথের সেই সময়ের কথাগুলো বলছেন, সেই তারুণ্যকে ধরবার চেষ্টা করেছেন। এই বঙ্গের মানুষ-প্রকৃতির প্রতি তাঁর যে অনুভূতি ছিল এবং এই বাংলাদেশ তাঁকে যেভাবে রবীন্দ নাথ করে তুললো_ সেগুলোকে অনেকটা নিজের মতো করেই প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে ইন্দিরা দেবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন শাহানা বাপ্পী। বাপ্পী চেষ্টা করছেন ইন্দিরা দেবীর ব্যক্তিত্বকে আত্মস্থ করবার। নাটকটির ভেতরে 'সমাপ্তি', 'পোস্টমাস্টার', 'চিত্রাঙ্গদা', 'পুরস্কার'-এর অংশবিশেষের অভিনয়ও হচ্ছে। কাহিনির প্রয়োজনে এসেছে একটি নায়েব চরিত্র যার সংলাপ মাত্র একটি কিন্তু তার মাধ্যমে জমিদারি প্রথার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের মতবিরোধটি ফুটে উঠেছে।
নাটকে অভিনয় কুশলীরা হলেন : শামীম সাগর, রবি প্রারম্ভ অরিত্র, অনিকেত পাল বাবু, সেলিম হায়দার, ইভা খান, ফহমিদা মলিস্নক শিশির, নাহিদা শারমিন শর্মী, রফিক নটবর, তাপস তপু, রনি খান, জাহিদ হাসান, শাহরিয়ার খান রিন্টু, ইমরান হোসেন, ইউসুফুল হক শুভ, মেহেদি জুয়েল, মোহাম্মদ আলী পারভেজ, প্রণব দাস বাবু, রাশেদ খান মেনন, শাহানা বাপ্পী, মোহাম্মদ আলী পারভেজ, লিয়াকত লিকু, আরিফুল হক চঞ্চল, তাপস তপু, দোস্ত মাহমুদ নূরী শাহ, নভেম্বর টিউসডে রোদ এবং আমিনুর রহমান মুকুল। মঞ্চ পরিকল্পনা ও কোরিওগ্রাফি করেছেন অনিকেত পাল বাবু, আলোক পরিকল্পনায় নাসিরুল হক খোকন, পোশাক পরিকল্পনায় লুসি তৃপ্তি গোমেজ এবং সংগীত পরিকল্পনায় রয়েছেন অজয় দাশ।
=========================
স্মরণ- 'আবদুল মান্নান সৈয়দ : কবি ও প্রাবন্ধিক' by রাজু আলাউদ্দিন স্মরণ- 'সিদ্ধার্থ শংকর রায়: মহৎ মানুষের মহাপ্রস্থানে by ফারুক চৌধুরী গল্প- 'ফাইভ স্টার' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গল্প- 'নূরে হাফসা কোথায় যাচ্ছে?' by আন্দালিব রাশদী গল্প- 'হার্মাদ ও চাঁদ' by কিন্নর রায় গল্প- 'মাটির গন্ধ' by স্বপ্নময় চক্রবর্তী সাহিত্যালোচনা- 'কবি ওলগা ফিওদোরোভনা বার্গলজ' গল্পিতিহাস- 'বালিয়াটি জমিদারবাড়ির রূপগল্প' by আসাদুজ্জামান ফিচার- ‘কাপ্তাই লেক:ক্রমেই পতিত হচ্ছে মৃত্যুমুখে' by আজিজুর রহমান রাজনৈতিক আলোচনা- 'ছাত্ররাজনীতি:লেজুড়বৃত্তির অবসান আজ জরুরি by বদিউল আলম মজুমদার কৃষি আলোচনা- 'কৃষিজমি রক্ষার দায় সবার' by আফতাব চৌধুরী শিল্পি- 'আমি যে গান গেয়েছিলেম...কলিম শরাফী' by জাহীদ রেজা নূর আলোচনা- 'হাওয়ার হয়রানি নামে ঢেকে যায় যৌন সন্ত্রাস' সাহিত্যালোচনা- 'মারিও ভার্গাস ইয়োসা'র সাহিত্যে নোবেলের রাজনৈতিক মোড় রাজনৈতিক আলোচনা- 'জনগণ ও সেনাবাহিনীর বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতা by নূরুল কবীর রাজনৈতিক আলোচনা- 'নির্মানবীয় রাজনীতি ও জনসমাজের বিপজ্জনক নীরবতা by নূরুল কবীর আলোচনা- 'সত্য প্রকাশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ত্রিমুখী অভিযান by নূরুল কবীর
দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্য
লেখকঃ মাহফুজা হিলালী
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
স্মরণ- 'আবদুল মান্নান সৈয়দ : কবি ও প্রাবন্ধিক' by রাজু আলাউদ্দিন স্মরণ- 'সিদ্ধার্থ শংকর রায়: মহৎ মানুষের মহাপ্রস্থানে by ফারুক চৌধুরী গল্প- 'ফাইভ স্টার' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গল্প- 'নূরে হাফসা কোথায় যাচ্ছে?' by আন্দালিব রাশদী গল্প- 'হার্মাদ ও চাঁদ' by কিন্নর রায় গল্প- 'মাটির গন্ধ' by স্বপ্নময় চক্রবর্তী সাহিত্যালোচনা- 'কবি ওলগা ফিওদোরোভনা বার্গলজ' গল্পিতিহাস- 'বালিয়াটি জমিদারবাড়ির রূপগল্প' by আসাদুজ্জামান ফিচার- ‘কাপ্তাই লেক:ক্রমেই পতিত হচ্ছে মৃত্যুমুখে' by আজিজুর রহমান রাজনৈতিক আলোচনা- 'ছাত্ররাজনীতি:লেজুড়বৃত্তির অবসান আজ জরুরি by বদিউল আলম মজুমদার কৃষি আলোচনা- 'কৃষিজমি রক্ষার দায় সবার' by আফতাব চৌধুরী শিল্পি- 'আমি যে গান গেয়েছিলেম...কলিম শরাফী' by জাহীদ রেজা নূর আলোচনা- 'হাওয়ার হয়রানি নামে ঢেকে যায় যৌন সন্ত্রাস' সাহিত্যালোচনা- 'মারিও ভার্গাস ইয়োসা'র সাহিত্যে নোবেলের রাজনৈতিক মোড় রাজনৈতিক আলোচনা- 'জনগণ ও সেনাবাহিনীর বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতা by নূরুল কবীর রাজনৈতিক আলোচনা- 'নির্মানবীয় রাজনীতি ও জনসমাজের বিপজ্জনক নীরবতা by নূরুল কবীর আলোচনা- 'সত্য প্রকাশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ত্রিমুখী অভিযান by নূরুল কবীর
দৈনিক ইত্তেফাক এর সৌজন্য
লেখকঃ মাহফুজা হিলালী
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments