মানসিক চাপে শিশুর জটিল রোগের আশংকা
অতিরিক্ত
মানসিক চাপ বা তর্জন কোমল মনের শিশুরদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে।
শুধু তাই নয়, এতে তাদের দীর্ঘস্থায়ী অবসাদ, বিষাদগ্রস্ত, ডায়াবেটিস ও
হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ে। একটি নতুন গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা এমনটাই দাবি করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, শরীর সবসময় নিয়মের মধ্যে চলে। বর্তমান সমাজে মানসিক
নিপীড়ন বা তর্জনের শিকার হয় শিশুরা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ শিশুর শরীরের ওপর
ক্রিয়া করে একসময় স্ট্রেইন ইনজুরিতে আক্রান্ত হয় সে। পরে শরীরেও এর প্রভাব
পড়ে। এমনটা বারংবার হলে বায়োলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া হয় এবং শিশুর জটিল অসুখে
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। খবর জি নিউজের। যেকোনো মানুষ অল্পসময়ের জন্য
মানসিক চাপ সহ্য করতে পারে। এতে শরীরেরও কোনো ক্ষতি হয় না।
তবে
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসে এই পুনরুদ্ধারের সুযোগ থাকে না এবং ওলোস্টেটিক
(allostatic) সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য এবং
নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মায়ো ক্লিনিক
স্বাস্থ্যসেবা গবেষণা সংস্থার সুজানা জে টাই বলেন, ওলোস্টেটিকের
(allostatic) বেড়ে গেলেই দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস, প্রদাহজনিত সমস্যা, হরমোনের
পরিবর্তন, এবং বিপাকীয় প্রতিক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে। পরে এক সময় মানসিক
চাপে শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন, বিষণ্নতা, ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগের মতো
ঘাতক রোগ হওয়ার আশংকা বেড়ে যায়। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস এছাড়াও শিশুর মানসিক
ও শারিরীক বিকাশে বাধার সৃষ্টি হয়। নিপীড়ন বা তর্জন পরিবেশ শিশুর
স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই শিশুটির মানসিক চিকিৎসা করা
জরুরি। এসময় ক্লিনিকাল যত্নই শিশুটিকে সুস্থ রাখতে পারে। নইলে ধ্বংসের মুখে
পড়বে নির্দোষ শিশুর ভবিষ্যৎ।
No comments