স্বাধীনতা প্রশ্নে ফের গণভোট চায় স্কটল্যান্ড
স্বাধীনতার
দাবিতে আবারও গণভোটের দাবি জানাচ্ছে স্কটল্যান্ড। ২০১৮ সালের গ্রীষ্মের
আগেই এ গণভোটের আয়োজন করতে অনুমতি চাওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্কটিশ
ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনের ইইউ ছাড়ার
প্রক্রিয়ায় স্কটল্যান্ডের স্বার্থ সংরক্ষণে এ গণভোট প্রয়োজন। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্য থেকে বের হয়ে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পক্ষে-বিপক্ষে
গণভোট করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ৫১-৪৯ শতাংশ ভোটে তখন যুক্তরাজ্যের অখণ্ডতার
পক্ষ নিয়েছিল স্কটিশ জনগণ। নিকোলা স্টারজিওন মনে করেন, ২০১৪ সালের অবস্থা
এখন আর নেই। পুরো বিষয়টির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। সোমবার স্টারজিওন
বলেন, আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে এ বিষয়ে প্রস্তাব তোলা হবে এবং গণভোট
প্রশ্নে সেকশন-৩০ এর ভিত্তিতে আদেশ প্রার্থনা করা হবে। ওই আদেশে স্বাধীনতার
দাবিতে আইনগতভাবে বাধ্যবাধকতামূলক গণভোটের অনুমতির কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে নতুন গণভোটের অনুমতি দেবেন কিনা- সে বিষয়ে কোনো
মন্তব্য করেননি। শনিবার বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন,
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট সমর্থন করেন। তিনি মনে
করেন, যদি স্কটিশরা চায় তাহলে এমন গণভোট হবে চমৎকার বিষয়।
জেরেমি বলেন,
স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন যদি দ্বিতীয় গণভোটকে সামনে নিয়ে
আসেন, তাহলে সে উদ্যোগে ওয়েস্ট মিনস্টারের বাধা দেয়া উচিত হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিট গণভোটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে ভাঙন শুরু
হয়েছে, তার ঢেউ গিয়ে আছড়ে পড়তে যাচ্ছে খোদ যুক্তরাজ্যের মানচিত্রে।
স্কটল্যান্ডের ৬২ শতাংশ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পক্ষে রায়
দিয়েছিল। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল ৩৮ শতাংশ। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ৬০ শতাংশের
বেশি ভোট পড়েছিল ইইউ’র পক্ষে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বাকি অংশ এবং ওয়েলস
চেয়েছিল বিচ্ছেদ। ভোটের হিসাবে জিতে যায় ব্রেক্সিট পক্ষ। আর তাতেই ইউরোপীয়
ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বের করে নিতে প্রক্রিয়া শুরু করতে হচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেকে।
No comments