ফুটেজে বেপরোয়া স্বপ্না by ওয়েছ খছরু
সিলেটের
স্বপ্না আক্তার। ছলনার মায়াবী জাল ফেলাই তার পেশা। আর এর মাধ্যমে টাকা
কামানোই নেশা। তার ছলনার জালে পড়ে অনেকের সাজানো সংসারে লেগেছে আগুন। তার
প্রতারণায় পড়ে অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব। এতসব কাহিনীর ভিড়ে এখন স্বপ্নার সেই
দুটি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে শোরগোল চলছে সিলেটে। কী আছে সেই দুটি ভিডিও ক্লিপে- এ
নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। মানবজমিনের কাছে আসা দুটি ক্লিপেই
স্বপ্নার বেপরোয়া জীবনের সচিত্র কাহিনী উঠে এসেছে। স্বপ্নার সঙ্গে সম্পর্ক
ছিল আমেরিকান প্রবাসী এক যুবকের। ওই যুবকের নাম লিটন বলে জানা গেছে। তার
বাসা নগরীর নাইওরপুল এলাকায়। জকিগঞ্জের ব্যবসায়ী শিহাবের সঙ্গে গভীর
সম্পর্কের পরও আমেরিকান ওই প্রবাসী লিটনের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক গড়ে উঠে
স্বপ্নার। এ সম্পর্কের কারণে ব্যবসায়ী শিহাবের সঙ্গে স্বপ্নার কিছুটা
সম্পর্কের ঘাটতি পড়ে। তবে, টাকার লোভে স্বপ্না ওই আমেরিকান প্রবাসী যুবকের
সঙ্গে গোপন অভিসারে মেতে ওঠে। সিলেটে বেশ কয়েকটি হোটেল, মোটেল ও
পর্যটনগুলোতে তারা নিয়মিত যাতায়াত করতো। আর এসব স্থানে রাতের পর রাত
কাটিয়েছে স্বপ্না। স্বপ্নার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, টাকার লোভে
স্বপ্না সিলেট নগরীর একটি হোটেলে ওই প্রবাসীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে।
আর এ সময় ওই প্রবাসী পরপর কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ মোবাইলে ধারণ করে। এর মধ্যে
দুটি ভিডিও ফুটেজ ইউটিউবে প্রচার করা হয়। ওই দুটি ভিডিও ফুটেজে সিলেটের এ
স্বপ্নার বেপরোয়া জীবন উঠে এসেছে। দুটি ভিডিও ক্লিপের মধ্যে একটি ভিডিও
ক্লিপের সময়সীমা ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ড। ওই ভিডিও ক্লিপে স্বপ্নাকে স্বল্পবসনে
বসে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা গেছে। এ সময় ভিডিও গ্রহণকারী ব্যক্তি কৌশলে
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে স্বপ্নার শরীরের বিভিন্ন অংশকে ধারণ করে। ভিডিও ক্লিপের
একপর্যায়ে স্বপ্নাকে বেশ আবেদনময়ী হিসেবে দেখা যায়। ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা
করে দেখা গেছে, ওই হোটেলের আলো-আঁধারি পরিবেশে থাকা স্বপ্না অনেকটাই নগ্ন।
আর মোবাইল হাতে থাকা ব্যক্তিটি তার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করলেও স্বপ্না
হাসিমুখে সেই ভিডিও ক্লিপে পোজ দেয়। ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহে সে অনীহা
দেখিয়েছে- এমনটি দেখা যায়নি। এর বাইরে ৩৮ মিনিটের আরও একটি ভিডিও ক্লিপ
রয়েছে। ওই ভিডিও ক্লিপে স্বপ্নাকে আরও একাধিক ভঙ্গিমায় দেখা যায়। এর বাইরে
ওই প্রবাসীর সঙ্গে স্বপ্নার অন্তরঙ্গ দৃশ্যের কিছু ফুটেজও দেখা যায়।
বিভিন্ন স্টাইলে ছবি সংগ্রহে স্বপ্না ছিল বেশ আবেদনময়ী। সূত্র জানিয়েছে,
স্বপ্নার সঙ্গে বছরখানেক আগে হোটেল কক্ষে ওই ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করা হয়। এর
পর ওই ভিডিও ক্লিপগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয় ইউটিউবে। ইউটিউবে স্বপ্নার ভিডিও
ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় দেখা দেয়। আর ওই ভিডিও ফুটেজগুলো স্বপ্নার পরিবারেও
ছড়িয়ে পড়ে। এতে একমাত্র পুত্রের কাছেও স্বপ্না বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি
হয়। এর পরও স্বপ্না বেপরোয়া জীবন থেকে পিছু হটেনি। একের পর এক কেলেঙ্কারি
করে চলছে। স্বপ্না সম্প্রতি সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের সন্ধ্যাবাজারে আস্তা
গেড়েছিল। একটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী হিসেবে সে নিজেকে প্রকাশ করলেও পরে
স্বপ্না সন্ধ্যাবাজারের একটি আস্তানা প্রধানের প্রিয় পাত্রী হয়ে ওঠে। এর
ফলে দিনে-রাতে স্বপ্নার আড্ডাস্থল ছিল সন্ধ্যাবাজারের ওই আস্তানা। ওই
আস্তানা-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, স্বপ্না নিজেকে পর্নো দুনিয়ায় পরিচিতি
করে তোলার পর নিজেকে গুটিয়ে নেয়ারও চেষ্টা চালায়। আর এ সুযোগে ইতিমধ্যে সে
তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তরুণীকে নিয়ে এসেছে বর্তমান আবাসস্থল শিবগঞ্জ সেনপাড়া
বাসায়। সেখানে রেখে চাহিদামতো আগের প্রেমিকদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে
চলেছে সে।
No comments