১২ দিনে গড়িয়েছিল যে টেস্ট ম্যাচ!
১২ দিন পর ডারবানের টেস্ট ম্যাচটির স্কোরবোর্ড। ছবি: ইএসপিএনক্রিকইনফো |
একটা সময় ছিল যখন টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ার
কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না। অর্থাৎ, একটি টেস্ট ম্যাচ যে পাঁচ দিনেই
শেষ হতে হবে—এমন কোনো বাঁধা-ধরা নিয়ম ছিল না। সাধারণত দুই দল মিলে ঠিক করত
সিরিজের কোন টেস্ট কত দিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে। ফল নির্ধারণের জন্য আক্ষরিক
অর্থেই কোনো কোনো টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না।
‘টাইমলেস টেস্ট’ হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসে পরিচিত এমন একটি টেস্ট মাঠে
গড়িয়েছিল সর্বোচ্চ ১২ দিন। ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন মাঠে গড়ানো টেস্ট
ম্যাচের উদাহরণ এটিই।
ডারবানে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার এই ‘টাইমলেস টেস্ট’ মাঠে গড়িয়েছিল ১৯৩৯ সালের ৩ মার্চ। মাঝখানে বৃষ্টি ও খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে ৫ ও ১২ মার্চ মাঠে কোনো খেলা গড়ায়নি। এই দুটি তারিখ বাদে বাকি ১০ দিন ধরে এক নাগাড়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরামহীন ক্রিকেট খেলে গেছেন দু’দলের ক্রিকেটাররা। খেলাটি শেষ হয়েছিল ১৪ মার্চ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে ১২ দিন পরেও খেলাটিতে কোনো ফল হয়নি। কেন ফল হলো না, এটাও এক চমকপ্রদ ঘটনা। খেলার চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯৬ রানের। ইংলিশরা জয়ের খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছিল। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৪২ রান দূরে থাকতে এই ম্যাচ অমীমাংসিত ঘোষণা করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের ‘জাহাজ ধরা’র তাড়া থাকার কারণে!
জাহাজ ধরার তাড়াটা এতটাই প্রকট ছিল যে জয়ের জন্য মাত্র ৪২ রান করার ব্যাপারটিও ইংল্যান্ড দল মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছিল। নিশ্চিত ফলের লক্ষ্যে যে ম্যাচটি ১২ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই ম্যাচটাই কিনা অমীমাংসিত ঘোষিত হয় দুই দলের সমঝোতার ভিত্তিতে! ক্রিকেট ইতিহাস কত অদ্ভুত ঘটনারই না জন্ম দিয়েছে।
ডারবানের এই ম্যাচটির আগে ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার একটি টেস্ট ম্যাচ একই কারণে অমীমাংসিত ঘোষিত হয়েছিল। জ্যামাইকার কিংস্টোনে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি নয় দিন মাঠে গড়ানোর পর দুই দলের মিলিত সিদ্ধান্তে খেলাটি অমীমাংসিত ঘোষিত হয়। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৮৩৬ রান। ক্যারিবীয়রা ৫ উইকেটে ৪০৮ রান তোলার পর জাহাজ ধরার কথা বলে ইংল্যান্ড ম্যাচটি অমীমাংসার প্রস্তাব দিলে তাতে আর ফল হয়নি। একটি তথ্য এখানে দিয়ে রাখা ভালো টেস্ট ক্রিকেট এই ম্যাচেই ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি স্যান্ডহামের মাধ্যমে দেখেছিল ইতিহাসের প্রথম ত্রিশকটি। সূত্র: ইএসপিএনক্রিকইনফো।
ডারবানে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার এই ‘টাইমলেস টেস্ট’ মাঠে গড়িয়েছিল ১৯৩৯ সালের ৩ মার্চ। মাঝখানে বৃষ্টি ও খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে ৫ ও ১২ মার্চ মাঠে কোনো খেলা গড়ায়নি। এই দুটি তারিখ বাদে বাকি ১০ দিন ধরে এক নাগাড়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরামহীন ক্রিকেট খেলে গেছেন দু’দলের ক্রিকেটাররা। খেলাটি শেষ হয়েছিল ১৪ মার্চ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে ১২ দিন পরেও খেলাটিতে কোনো ফল হয়নি। কেন ফল হলো না, এটাও এক চমকপ্রদ ঘটনা। খেলার চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯৬ রানের। ইংলিশরা জয়ের খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছিল। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৪২ রান দূরে থাকতে এই ম্যাচ অমীমাংসিত ঘোষণা করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের ‘জাহাজ ধরা’র তাড়া থাকার কারণে!
জাহাজ ধরার তাড়াটা এতটাই প্রকট ছিল যে জয়ের জন্য মাত্র ৪২ রান করার ব্যাপারটিও ইংল্যান্ড দল মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছিল। নিশ্চিত ফলের লক্ষ্যে যে ম্যাচটি ১২ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই ম্যাচটাই কিনা অমীমাংসিত ঘোষিত হয় দুই দলের সমঝোতার ভিত্তিতে! ক্রিকেট ইতিহাস কত অদ্ভুত ঘটনারই না জন্ম দিয়েছে।
ডারবানের এই ম্যাচটির আগে ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার একটি টেস্ট ম্যাচ একই কারণে অমীমাংসিত ঘোষিত হয়েছিল। জ্যামাইকার কিংস্টোনে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি নয় দিন মাঠে গড়ানোর পর দুই দলের মিলিত সিদ্ধান্তে খেলাটি অমীমাংসিত ঘোষিত হয়। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৮৩৬ রান। ক্যারিবীয়রা ৫ উইকেটে ৪০৮ রান তোলার পর জাহাজ ধরার কথা বলে ইংল্যান্ড ম্যাচটি অমীমাংসার প্রস্তাব দিলে তাতে আর ফল হয়নি। একটি তথ্য এখানে দিয়ে রাখা ভালো টেস্ট ক্রিকেট এই ম্যাচেই ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যান্ডি স্যান্ডহামের মাধ্যমে দেখেছিল ইতিহাসের প্রথম ত্রিশকটি। সূত্র: ইএসপিএনক্রিকইনফো।
No comments