সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ওপর ‘হামলার’ নিন্দা বসনিয়ার
সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্দার ভুটিচের ওপর গত শনিবারের ‘হামলার’ নিন্দা করেছে বসনিয়া সরকার। স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যার ২০তম বার্ষিকীতে যোগ দিতে গেলে শনিবার বিক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়েন ভুটিচ। হত্যাযজ্ঞের শিকারদের স্বজন ও শোক জানাতে যাওয়া বসনীয়দের অনেকে ভুটিচকে দুয়ো দেয় ও পাথর ছুড়ে মারে। খবর বিবিসির।
ঘটনার নিন্দা করে বসনিয়া সরকার বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ভুটিচ স্রেব্রেনিৎসায় এসেছিলেন, ‘বিবাদ নিরসন ও শ্রদ্ধা জানানোর ইচ্ছা নিয়েই।’
পূর্ব বসনিয়ার শহরটিতে ভয়াবহ ওই গণহত্যার দিবস উপলক্ষে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়। ভুটিচ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এলে তাঁর প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দেওয়ামাত্র একদল লোক ভুটিচের ওপর পাথর ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে ভুটিচ এবং তাঁর দেহরক্ষীরা মাথার ওপর ছাতা মেলে ধরে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন। পাথর নিক্ষেপকারীদের অনেকে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেন।
আলেক্সান্দার ভুটিচ সাবেক জাতীয়তাবাদী সার্ব নেতা। তিনি গত শতকের ৯০-এর দশকে সার্বিয়ার সাবেক জাতীয়তাবাদী নেতা এবং গণহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি সাবেক সার্ব নেতা স্লোভোদান মিলোসোভিচের অধীনে কর্মরত ছিলেন।
বেলগ্রেডে ভুটিচ বলেন, ওই ঘটনায় তাঁর চশমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর বাইরে তাঁর শরীরে কোনো আঘাত লাগেনি।
শনিবার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ভুটিচের কথিত উক্তি লেখা একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হয়। উক্তিটি ছিল, ‘একজন সার্বের জীবন গেলে ১০০ মুসলিমকে হত্যা করব আমরা’।
ভুটিচ বলেন, ‘আমি দুঃখিত। কেননা, কিছু লোক সার্বিয়া ও বসনিয়ার নাগরিকদের মধ্যে বন্ধু স্থাপনে আমার আন্তরিক চেষ্টাকে বুঝতে পারেনি। বসনিয়ার মানুষদের দিকে আমার বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত।’
বসনিয়ার যুদ্ধ চলাকালে সার্ব বাহিনী ছোট শহর স্রেব্রেনিৎসার প্রায় আট হাজার সাধারণ মুসলিম নাগরিককে হত্যা করে। তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের হেফাজতে ছিল।
সার্বিয়া সরকার এ ঘটনাকে ‘হত্যাচেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। ভুটিচের ওপর হামলাকে ‘সার্বিয়ার সব নাগরিক এবং শান্তি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য তাদের প্রচেষ্টার ওপর হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিকা দাতিচ।
বসনীয়, সার্ব এবং ক্রোয়াট—এই তিন জাতির সমন্বিত প্রেসিডেন্সি পর্ষদ ‘সব বিদেশি’ অতিথির কাছে সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শনিবার স্রেব্রেনিৎসায় অন্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে এসেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বসনিয়ার যুদ্ধ বন্ধ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্লিনটন বলেন, ‘এমন কোনো হত্যাকাণ্ড এই মাটিতে আর দেখতে চাই না।’
ঘটনার নিন্দা করে বসনিয়া সরকার বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ভুটিচ স্রেব্রেনিৎসায় এসেছিলেন, ‘বিবাদ নিরসন ও শ্রদ্ধা জানানোর ইচ্ছা নিয়েই।’
পূর্ব বসনিয়ার শহরটিতে ভয়াবহ ওই গণহত্যার দিবস উপলক্ষে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়। ভুটিচ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এলে তাঁর প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দেওয়ামাত্র একদল লোক ভুটিচের ওপর পাথর ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে ভুটিচ এবং তাঁর দেহরক্ষীরা মাথার ওপর ছাতা মেলে ধরে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন। পাথর নিক্ষেপকারীদের অনেকে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেন।
আলেক্সান্দার ভুটিচ সাবেক জাতীয়তাবাদী সার্ব নেতা। তিনি গত শতকের ৯০-এর দশকে সার্বিয়ার সাবেক জাতীয়তাবাদী নেতা এবং গণহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি সাবেক সার্ব নেতা স্লোভোদান মিলোসোভিচের অধীনে কর্মরত ছিলেন।
বেলগ্রেডে ভুটিচ বলেন, ওই ঘটনায় তাঁর চশমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর বাইরে তাঁর শরীরে কোনো আঘাত লাগেনি।
শনিবার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ভুটিচের কথিত উক্তি লেখা একটি ব্যানার প্রদর্শন করা হয়। উক্তিটি ছিল, ‘একজন সার্বের জীবন গেলে ১০০ মুসলিমকে হত্যা করব আমরা’।
ভুটিচ বলেন, ‘আমি দুঃখিত। কেননা, কিছু লোক সার্বিয়া ও বসনিয়ার নাগরিকদের মধ্যে বন্ধু স্থাপনে আমার আন্তরিক চেষ্টাকে বুঝতে পারেনি। বসনিয়ার মানুষদের দিকে আমার বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত।’
বসনিয়ার যুদ্ধ চলাকালে সার্ব বাহিনী ছোট শহর স্রেব্রেনিৎসার প্রায় আট হাজার সাধারণ মুসলিম নাগরিককে হত্যা করে। তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের হেফাজতে ছিল।
সার্বিয়া সরকার এ ঘটনাকে ‘হত্যাচেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। ভুটিচের ওপর হামলাকে ‘সার্বিয়ার সব নাগরিক এবং শান্তি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য তাদের প্রচেষ্টার ওপর হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিকা দাতিচ।
বসনীয়, সার্ব এবং ক্রোয়াট—এই তিন জাতির সমন্বিত প্রেসিডেন্সি পর্ষদ ‘সব বিদেশি’ অতিথির কাছে সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শনিবার স্রেব্রেনিৎসায় অন্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে এসেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বসনিয়ার যুদ্ধ বন্ধ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্লিনটন বলেন, ‘এমন কোনো হত্যাকাণ্ড এই মাটিতে আর দেখতে চাই না।’
No comments