ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ by ইশতিয়াক পারভেজ
মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা এল। |
এবার
দক্ষিণ আফ্রিকাও হার মানলো। ঘুরে দাঁড়ানো ব্যাঘ্রশাবকদের সামনে মাথা
নোয়ালো আফ্রিকার সিংহশাবকরা। যেনতেন জয় নয়, ২২ ওভার হাতে রেখে বিশ্বের
অন্যতম সেরা দলকে হারানো। পাকিস্তান-ভারতকে হারানোর পরও যাদের মনে খানিকটা
সংশয় ছিল তারাও চুপ মেরে যাবেন নিশ্চয়। টি-২০ সিরিজের পর প্রথম ওয়ানডেতে
কেমন যেন খাপছাড়া খেলা দেখাচ্ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়দের
উজ্জীবিত করতে বিসিবি প্রধান শনিবার হাজির হন মাঠে। ক্রিকেটারদের বোঝালেন,
উদ্দীপনা দিলেন। তাতেই যেন কাজ হলো। মাঝে মাঝে অল্প কিছু কথাতেও যে কাজ হয়
প্রমাণ মিললো। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৬২ রান বাংলাদেশ টপকায় ২৭.৪ ওভারে। এত
বল হাতে রেখে আর কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। দক্ষিণ
আফ্রিকারও এটা বল বাকি থাকার দিক থেকে দ্বিতীয় বড় হার। বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে যে জল্পনা কল্পনা কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘুরপাক
খাচ্ছি কালকের এ জয়ে তা দূর হয়ে যায়। আর কোন বাধাই থাকলো না। পাকিস্তান
জিতুক আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতুক, ত্রিদেশীয় সিরিজ হোক আর না হোক বাংলাদেশকে
আর ঠেকানোর উপায় নেই। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের রেটিং
পয়েন্ট এখন দাঁড়ালো ৯৩তে। পাকিস্তানের ৮৮।
‘আমরা ওয়ানডেতে সেরা দল।’ অনেকটা বুক ঠুকেই বলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৮ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সে কথাটিই যেন আরেকবার মাঠেই প্রমাণ করলেন। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আরেকটি ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের একবারই হারিয়েছিল টাইগাররা। ১৬ বারের দেখায় এবার দ্বিতীয় সাফল্য ধরা দিলো দেশের মাটিতে। জয়ের নায়ক বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নতুন দিগন্ত দেখানো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তরুণ সৌম্য সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬২ রানে অলআউট করে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। কিন্তু ১৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৪ রানে হারালে শঙ্কা জাগে সবার মনে। সেখান থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই তারকা। খেলা শেষে কলার উঁচিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেন সৌম্য। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম জয়টি ছিল ৬৭ রানের। গতকাল পাওয়া সর্বোচ্চ উইকেটের ব্যবধানে দ্বিতীয় জয়ে সিরিজে ১-১ সমতাও ফিরলো। বুধবার চট্টগ্রামে সিরিজ জেতারও উপলক্ষ তৈরি হলো এতে।
দিনের শুরুটা হয়েছিল টসে হার দিয়ে। হাশিম আমলা ব্যাটসম্যানদের উপর ভরসা রেখেই শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে চার নাম্বারে থাকা দলটির ব্যাটিং অহঙ্কার গুঁড়িয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান নাসির হোসেন ও রুবেল হোসেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে কম রানের স্কোর আর পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
খুব বড় লক্ষ্য ছিল না। কিন্তু আবারও তামিম ইকবালের অশান্ত ব্যাটিং শুরুতেই বিপদে ফেলে বাংলাদেশকে। ইনিংসের প্রথম বলটি তিনি ক্রিজ ছেড়ে এমনভাবে মারতে এগিয়ে এলেন মনে হলো সেটিই জয়ের জন্য শেষ বল। প্রথম ৩ বলে কোন রান হলো না। অ্যাবোটের চতুর্থ বলে তামিম ফ্লিক করলেন স্কয়ার লেগ দিয়ে চার। কিন্তু পরের ওভারেই আবার রাবাদার বলে আউট তিনি। প্রথম দিন তাকে আউট করেই রাবাদা ইতিহাসে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তাই সব রাগ যেন সেই রাবাদারের উপর। ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে সজোরে মারতে গেলেন। কিন্তু ব্যাটে বলে হলো না। ব্যাট ছুঁয়ে উড়ে গেল লেগ স্ট্যাম্প। প্রথম ওয়ানডেতে তামিম বিদায় নিলে পরের দুই বলে লিটন কুমার দাস ও মাহমুদুল্লাহকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রাবাদা। কিন্তু গতকাল সেটি হতে দেননি লিটন। সেই ওভারের শেষ বলে ৬ এর মার হাঁকিয়ে তুলে নেন ৯টি রান। এরপর অবশ্য আরও দুটি ওভার খেলার সুযোগ হয়েছিল তার। দুটি চারের মারও হাঁকান। কিন্তু ১৫ বলেই ১৭ রান করে লিটন আবারও রাবাদার শিকার। সরাসরি বোল্ড হয়ে প্রথম ওয়ানডের মতই তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরেন।
২৪ রানে দুই উইকেট পতনের পর ১৬৩ রানের লক্ষ্যটা অনেক বড় মনে হতে থাকে। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার মিলে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন। তৃতীয় উইকেটে ১৩৫ রানের জুটি গড়েন ২২.২ ওভারে। সৌম্য সরকার নিজের প্রথম তিনটি বলে কোন রান নেননি। কিন্তু অ্যাবোটের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে রানের খাতা খোলেন। আর ইমরান তাহিরের বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছয়ের মারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এরই মধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিও তুলে নিয়েছেন মাত্র ৪৭ বলে ৯টি চারের মারে। অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে ছিলেন দৃঢ়তার সঙ্গে। দল যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি তুলে নেন। ৬টি চারের মারে ৬৪ বলে করেন ৫০ রানের ইনিংস। আর সৌম্য সরকার ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের উৎসবে ভাসান। এর আগে মো. আশরাফুলের ৮৭ রানই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
‘আমরা ওয়ানডেতে সেরা দল।’ অনেকটা বুক ঠুকেই বলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৮ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সে কথাটিই যেন আরেকবার মাঠেই প্রমাণ করলেন। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আরেকটি ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের একবারই হারিয়েছিল টাইগাররা। ১৬ বারের দেখায় এবার দ্বিতীয় সাফল্য ধরা দিলো দেশের মাটিতে। জয়ের নায়ক বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নতুন দিগন্ত দেখানো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তরুণ সৌম্য সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬২ রানে অলআউট করে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। কিন্তু ১৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৪ রানে হারালে শঙ্কা জাগে সবার মনে। সেখান থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই তারকা। খেলা শেষে কলার উঁচিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেন সৌম্য। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম জয়টি ছিল ৬৭ রানের। গতকাল পাওয়া সর্বোচ্চ উইকেটের ব্যবধানে দ্বিতীয় জয়ে সিরিজে ১-১ সমতাও ফিরলো। বুধবার চট্টগ্রামে সিরিজ জেতারও উপলক্ষ তৈরি হলো এতে।
দিনের শুরুটা হয়েছিল টসে হার দিয়ে। হাশিম আমলা ব্যাটসম্যানদের উপর ভরসা রেখেই শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে চার নাম্বারে থাকা দলটির ব্যাটিং অহঙ্কার গুঁড়িয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান নাসির হোসেন ও রুবেল হোসেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে কম রানের স্কোর আর পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
খুব বড় লক্ষ্য ছিল না। কিন্তু আবারও তামিম ইকবালের অশান্ত ব্যাটিং শুরুতেই বিপদে ফেলে বাংলাদেশকে। ইনিংসের প্রথম বলটি তিনি ক্রিজ ছেড়ে এমনভাবে মারতে এগিয়ে এলেন মনে হলো সেটিই জয়ের জন্য শেষ বল। প্রথম ৩ বলে কোন রান হলো না। অ্যাবোটের চতুর্থ বলে তামিম ফ্লিক করলেন স্কয়ার লেগ দিয়ে চার। কিন্তু পরের ওভারেই আবার রাবাদার বলে আউট তিনি। প্রথম দিন তাকে আউট করেই রাবাদা ইতিহাসে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তাই সব রাগ যেন সেই রাবাদারের উপর। ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে সজোরে মারতে গেলেন। কিন্তু ব্যাটে বলে হলো না। ব্যাট ছুঁয়ে উড়ে গেল লেগ স্ট্যাম্প। প্রথম ওয়ানডেতে তামিম বিদায় নিলে পরের দুই বলে লিটন কুমার দাস ও মাহমুদুল্লাহকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রাবাদা। কিন্তু গতকাল সেটি হতে দেননি লিটন। সেই ওভারের শেষ বলে ৬ এর মার হাঁকিয়ে তুলে নেন ৯টি রান। এরপর অবশ্য আরও দুটি ওভার খেলার সুযোগ হয়েছিল তার। দুটি চারের মারও হাঁকান। কিন্তু ১৫ বলেই ১৭ রান করে লিটন আবারও রাবাদার শিকার। সরাসরি বোল্ড হয়ে প্রথম ওয়ানডের মতই তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরেন।
২৪ রানে দুই উইকেট পতনের পর ১৬৩ রানের লক্ষ্যটা অনেক বড় মনে হতে থাকে। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার মিলে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন। তৃতীয় উইকেটে ১৩৫ রানের জুটি গড়েন ২২.২ ওভারে। সৌম্য সরকার নিজের প্রথম তিনটি বলে কোন রান নেননি। কিন্তু অ্যাবোটের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে রানের খাতা খোলেন। আর ইমরান তাহিরের বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছয়ের মারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এরই মধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিও তুলে নিয়েছেন মাত্র ৪৭ বলে ৯টি চারের মারে। অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে ছিলেন দৃঢ়তার সঙ্গে। দল যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি তুলে নেন। ৬টি চারের মারে ৬৪ বলে করেন ৫০ রানের ইনিংস। আর সৌম্য সরকার ৮৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের উৎসবে ভাসান। এর আগে মো. আশরাফুলের ৮৭ রানই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
No comments