‘ছোটদের কাছেও শুনি ইনিংস বড় করেন’ by রানা আব্বাস
মিরপুরে সৌম্য সরকারের অপরাজিত ৮৮ রানে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল বাংলাদেশ। ছবি: শামসুল হক |
সৌম্য
সরকারের ব্যাটিং এমনিতেই নয়নজুড়োনো। তাঁর ব্যাটিং ভঙ্গিমা, শট খেলার
ধরন-চোখের জন্য বড় স্বস্তিদায়ক! কিন্তু সমস্যাটা এখানেই। যখনই উপভোগ করতে
বসেছেন সৌম্যের ব্যাটিং, তখনই হতাশায় ডুবিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
ওয়ানডেতে সৌম্যের গত তিনটি ইনিংস দেখুন-৩৪,৪০, ২৭। থিতু হয়ে ফিরে আসছেন সাজঘরে। কেন এমন হচ্ছে?
গতকাল শনিবার আকস্মিক সভায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পর্যন্ত¯সৌম্যকে পরামর্শ দিলেন ইনিংস বড় করতে। অবশেষে সৌম্য সাফল্য পেয়েছেন। আজ ৭৯ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে তবেই ফিরেছেন।
ইনিংস বড় না করতে পারায় কী চাপ কাজ করছিল ভেতরে? কিংবা বিসিবি সভাপতির কথায় কী অনুপ্রাণিত হয়েছেন? শান্ত-স্নিগ্ধ একটা হাসি ঝুলিয়ে দিলেন সৌম্য। বললেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট আলাদাভাবে তেমন কিছু বলেননি। এ কথাটা (ইনিংস বড় করা) সবার কাছে এমনকি ছোটদের কাছেও শুনেছি। ছোটরাও বলে, ভাই একটু শেষ করে আসেন! কিছুদিন ধরে এটা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’
আজ থিতু হয়ে উইকেট দিয়ে আসেননি। পেয়েছেন বড় রান। দলও জিতেছে। নিজের এ বদলের রহস্য কী? শুনুন সৌম্যর মুখ থেকেই, ‘আসলে আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল না। পরিকল্পনা ছিল লক্ষ্যে পৌঁছাতেই পারলেই হলো। তাতে হয়তো ৫০ কিংবা ১০০ করতে পারি। তবে নির্দিষ্টভাবে সেঞ্চুরির চিন্তা ওভাবে ছিল না। চিন্তা ছিল শেষ পর্যন্ত খেলার।’
পরিকল্পনা যে আসলেই করেননি, তা নয়। বললেন দুই-একটা শট খেলা কমিয়ে দেওয়ায় মিলেছে এ সাফল্য, ‘তেমন কিছুই করিনি। এক-দুইটা শট খেলা কমিয়ে দিয়েছি। চিন্তা করেছি, সব শট না খেলে এক-দুইটা শট কম খেলে ইতিবাচক ফল আসতে পারে।’
সৌম্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন গত এপ্রিলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে সেই সেঞ্চুরির চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন আজকের ৮৮ রানের ইনিংসটিকেই। কেন? দুই দলের বোলিং পার্থক্যের কারণেই, ‘পাকিস্তানের বোলাররা ওভারে একটি বাজে বল দিচ্ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা কোনো বাজে বল দেয়নি। খেলার জন্য বল তৈরি করে নিতে হচ্ছিল। এ ম্যাচকেই বেশি কঠিন বলব। এ ছাড়া সেদিন বড় রান তাড়া করতে (২৫১) হয়েছিল। ওই রকম রান তাড়ার সময় পরিকল্পনা করে খেলা যায়। আর সব সময়ই অল্প রানের লক্ষ্যে খেলা কঠিন। কেননা, পরিকল্পনা পরিবর্তন করা লাগে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে। এ ছাড়া দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। সব মিলিয়ে এ ইনিংসকেই এগিয়ে রাখব।’
প্রথম ওয়ানডেতে নিজের অভিষেকে হ্যাটট্রিক ও ৬ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। অবশ্য গতকালই নাসির হোসেন বলেছিলেন, ‘রাবাদা আহামরি কোনো বোলার নন। আমরা বরং উইকেট দিয়ে এসেছি’। আজ রাবাদাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়া পেসারের ৭ ওভারে ৪৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। উইকেট দুটো। নাসিরের মতো সৌম্যও মনে করেন রাবাদা আহামরি কোনো বোলার নন, ‘তাকে নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না আমাদের। স্বাভাবিক ভাবনাই ছিল। ও নতুন এসেছে, এটাই একটু ভয় ছিল। আমার কাছে মনে হয়, গত ম্যাচে সে উইকেট পেয়ে গেছে। আমার কাছেও আহামরি কোনো বোলার মনে হয়নি।’
এত দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানায় সে ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল আশরাফুলের ৮৭ রানের কল্যাণে। আজ সে রানও টপকে গেলেন সৌম্য। তাও আবার শেষ বলে ছক্কা মেরে! শেষ বলে অমন ছয়ের পেছনে কি আশরাফুলের রানের কথা মনে পড়েছিল? সৌম্য বিনয়ের সঙ্গে জানালেন তেমনটা ভাবেননি, ‘এটা আগে থেকে চিন্তা করিনি। প্রথম বল থেকেই যেভাবে চেষ্টা করি খেলতে, শেষ বলেও তা-ই।’
ওয়ানডেতে সৌম্যের গত তিনটি ইনিংস দেখুন-৩৪,৪০, ২৭। থিতু হয়ে ফিরে আসছেন সাজঘরে। কেন এমন হচ্ছে?
গতকাল শনিবার আকস্মিক সভায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পর্যন্ত¯সৌম্যকে পরামর্শ দিলেন ইনিংস বড় করতে। অবশেষে সৌম্য সাফল্য পেয়েছেন। আজ ৭৯ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে তবেই ফিরেছেন।
ইনিংস বড় না করতে পারায় কী চাপ কাজ করছিল ভেতরে? কিংবা বিসিবি সভাপতির কথায় কী অনুপ্রাণিত হয়েছেন? শান্ত-স্নিগ্ধ একটা হাসি ঝুলিয়ে দিলেন সৌম্য। বললেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট আলাদাভাবে তেমন কিছু বলেননি। এ কথাটা (ইনিংস বড় করা) সবার কাছে এমনকি ছোটদের কাছেও শুনেছি। ছোটরাও বলে, ভাই একটু শেষ করে আসেন! কিছুদিন ধরে এটা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’
আজ থিতু হয়ে উইকেট দিয়ে আসেননি। পেয়েছেন বড় রান। দলও জিতেছে। নিজের এ বদলের রহস্য কী? শুনুন সৌম্যর মুখ থেকেই, ‘আসলে আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল না। পরিকল্পনা ছিল লক্ষ্যে পৌঁছাতেই পারলেই হলো। তাতে হয়তো ৫০ কিংবা ১০০ করতে পারি। তবে নির্দিষ্টভাবে সেঞ্চুরির চিন্তা ওভাবে ছিল না। চিন্তা ছিল শেষ পর্যন্ত খেলার।’
পরিকল্পনা যে আসলেই করেননি, তা নয়। বললেন দুই-একটা শট খেলা কমিয়ে দেওয়ায় মিলেছে এ সাফল্য, ‘তেমন কিছুই করিনি। এক-দুইটা শট খেলা কমিয়ে দিয়েছি। চিন্তা করেছি, সব শট না খেলে এক-দুইটা শট কম খেলে ইতিবাচক ফল আসতে পারে।’
সৌম্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন গত এপ্রিলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে সেই সেঞ্চুরির চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন আজকের ৮৮ রানের ইনিংসটিকেই। কেন? দুই দলের বোলিং পার্থক্যের কারণেই, ‘পাকিস্তানের বোলাররা ওভারে একটি বাজে বল দিচ্ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা কোনো বাজে বল দেয়নি। খেলার জন্য বল তৈরি করে নিতে হচ্ছিল। এ ম্যাচকেই বেশি কঠিন বলব। এ ছাড়া সেদিন বড় রান তাড়া করতে (২৫১) হয়েছিল। ওই রকম রান তাড়ার সময় পরিকল্পনা করে খেলা যায়। আর সব সময়ই অল্প রানের লক্ষ্যে খেলা কঠিন। কেননা, পরিকল্পনা পরিবর্তন করা লাগে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে। এ ছাড়া দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। সব মিলিয়ে এ ইনিংসকেই এগিয়ে রাখব।’
প্রথম ওয়ানডেতে নিজের অভিষেকে হ্যাটট্রিক ও ৬ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। অবশ্য গতকালই নাসির হোসেন বলেছিলেন, ‘রাবাদা আহামরি কোনো বোলার নন। আমরা বরং উইকেট দিয়ে এসেছি’। আজ রাবাদাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়া পেসারের ৭ ওভারে ৪৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। উইকেট দুটো। নাসিরের মতো সৌম্যও মনে করেন রাবাদা আহামরি কোনো বোলার নন, ‘তাকে নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না আমাদের। স্বাভাবিক ভাবনাই ছিল। ও নতুন এসেছে, এটাই একটু ভয় ছিল। আমার কাছে মনে হয়, গত ম্যাচে সে উইকেট পেয়ে গেছে। আমার কাছেও আহামরি কোনো বোলার মনে হয়নি।’
এত দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানায় সে ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল আশরাফুলের ৮৭ রানের কল্যাণে। আজ সে রানও টপকে গেলেন সৌম্য। তাও আবার শেষ বলে ছক্কা মেরে! শেষ বলে অমন ছয়ের পেছনে কি আশরাফুলের রানের কথা মনে পড়েছিল? সৌম্য বিনয়ের সঙ্গে জানালেন তেমনটা ভাবেননি, ‘এটা আগে থেকে চিন্তা করিনি। প্রথম বল থেকেই যেভাবে চেষ্টা করি খেলতে, শেষ বলেও তা-ই।’
No comments