গ্রিস সংকট: ইইউর সম্মেলন বাতিল
ঋণদাতাদের
কাছে দেওয়া গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে গতকাল রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের
(ইইউ) যে পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবটি নিয়ে ব্রাসেলসে ইউরোজোনের মন্ত্রীদের বৈঠক শেষ না হওয়ায় আরও
আলোচনার সুযোগ দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইইউর ইতিহাসে এত স্বল্প সময়ে
কোনো শীর্ষ সম্মেলন স্থগিতের নজির নেই। খবর এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির।
চলমান আলোচনা নিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের ফোরাম ইউরোগ্রুপের নেতারা আবার আলোচনায় বসবেন। গ্রিস নিয়ে আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।’ ইউরোজোনের মন্ত্রীদের আলোচনার পর গ্রিসের দেওয়া প্রস্তাবটি ইইউর সম্মেলনে উত্থাপনের কথা ছিল। কর আরোপ, পেনশন এবং প্রশাসনিক নানা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রিস এই প্রস্তাব দিয়েছে।
মন্ত্রীদের আলোচনায় গ্রিসের প্রস্তাব গৃহীত না হলে ইউরোজোন থেকে দেশটির বিদায় নেওয়ার আশঙ্কা আছে। গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে ইউরোগ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকেও গতকাল দুপুর পর্যন্ত কোনো মতৈক্য হয়নি। ইউরোগ্রুপের প্রধান ইউরুন দায়সোব্লুম বলেন, ‘গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘ ও গভীর আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনা খুবই জটিল অবস্থায়, তবে এখানে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে।’
ইউরোজোনের মন্ত্রীরা গ্রিসের ঋণের বোঝা কমানোর জন্য নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা একপর্যায়ে বেশ জটিল হয়ে ওঠে। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস দমব্রোভকিস বলেন, ‘গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অসম্ভবই মনে হচ্ছে।’
দমব্রোভকিসের কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় স্লোভাকিয়ার অর্থমন্ত্রী পিটার কাজিমির কথায়। তিনি বলেন, ‘আজ কোনো চুক্তি সম্ভব নয়। ইইউ সরকারপ্রধানদের জন্য আমরা কিছু পরামর্শ দিতে পারি। এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না।’
তবে ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী আলেক্সান্দার স্টাব বলেন, ‘আমি এখনো আশাবাদী। একটি চুক্তির বিষয়ে গ্রিস এবং অন্য ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ব্যবধান সামান্য।’
আলোচনা ব্যর্থ হলে গ্রিসকে সাময়িকভাবে ইউরোজোন থেকে বাইরে রাখতে ইইউর নেতৃস্থানীয় দেশ জার্মানি একটি প্রস্তাব দিয়েছে বলে গত শনিবার বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে বলা হয়। গ্রিস বলছে তারা এমন প্রস্তাবের বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে এযাবৎ যে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গ্রিস। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গ্রিসের ক্ষমতাসীন সিরিজা পার্টির সদস্য দিমিত্রিয়স পাপাদিমুলিস বলেছেন, এখানে যে নাটক হচ্ছে তার উদ্দেশ্য হলো গ্রিস এবং গ্রিসের মানুষদের অপমান করা। এটি আলেক্সিস সিপ্রাসের সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা।
আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত গ্রিস ২০১৮ সালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের জন্য ঋণদাতাদের কাছে আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি ইউরো চেয়েছিল। তবে নতুন প্রস্তাবে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪০০ কোটি ইউরোতে। আর্থিক পুনরুদ্ধারের (বেইল আউট) কর্মসূচির জন্য গ্রিস যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে একগুচ্ছ ঋণদাতাদের শর্ত অনুযায়ী একগুচ্ছ কৃচ্ছ্রর প্রতিশ্রুতি আছে। প্রায় অনুরূপ শর্ত ৫ জুলাইয়ের আলোচিত গণভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। এ কারণে ক্ষুব্ধ গ্রিকদের অনেকে এখন একে জনগণের সঙ্গে সরকারের তামাশা বলে আখ্যা দিয়েছে।
চলমান আলোচনা নিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের ফোরাম ইউরোগ্রুপের নেতারা আবার আলোচনায় বসবেন। গ্রিস নিয়ে আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে।’ ইউরোজোনের মন্ত্রীদের আলোচনার পর গ্রিসের দেওয়া প্রস্তাবটি ইইউর সম্মেলনে উত্থাপনের কথা ছিল। কর আরোপ, পেনশন এবং প্রশাসনিক নানা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রিস এই প্রস্তাব দিয়েছে।
মন্ত্রীদের আলোচনায় গ্রিসের প্রস্তাব গৃহীত না হলে ইউরোজোন থেকে দেশটির বিদায় নেওয়ার আশঙ্কা আছে। গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে ইউরোগ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকেও গতকাল দুপুর পর্যন্ত কোনো মতৈক্য হয়নি। ইউরোগ্রুপের প্রধান ইউরুন দায়সোব্লুম বলেন, ‘গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘ ও গভীর আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনা খুবই জটিল অবস্থায়, তবে এখানে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে।’
ইউরোজোনের মন্ত্রীরা গ্রিসের ঋণের বোঝা কমানোর জন্য নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা একপর্যায়ে বেশ জটিল হয়ে ওঠে। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস দমব্রোভকিস বলেন, ‘গ্রিসের প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো অসম্ভবই মনে হচ্ছে।’
দমব্রোভকিসের কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় স্লোভাকিয়ার অর্থমন্ত্রী পিটার কাজিমির কথায়। তিনি বলেন, ‘আজ কোনো চুক্তি সম্ভব নয়। ইইউ সরকারপ্রধানদের জন্য আমরা কিছু পরামর্শ দিতে পারি। এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না।’
তবে ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী আলেক্সান্দার স্টাব বলেন, ‘আমি এখনো আশাবাদী। একটি চুক্তির বিষয়ে গ্রিস এবং অন্য ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ব্যবধান সামান্য।’
আলোচনা ব্যর্থ হলে গ্রিসকে সাময়িকভাবে ইউরোজোন থেকে বাইরে রাখতে ইইউর নেতৃস্থানীয় দেশ জার্মানি একটি প্রস্তাব দিয়েছে বলে গত শনিবার বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে বলা হয়। গ্রিস বলছে তারা এমন প্রস্তাবের বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে এযাবৎ যে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গ্রিস। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গ্রিসের ক্ষমতাসীন সিরিজা পার্টির সদস্য দিমিত্রিয়স পাপাদিমুলিস বলেছেন, এখানে যে নাটক হচ্ছে তার উদ্দেশ্য হলো গ্রিস এবং গ্রিসের মানুষদের অপমান করা। এটি আলেক্সিস সিপ্রাসের সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা।
আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত গ্রিস ২০১৮ সালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের জন্য ঋণদাতাদের কাছে আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি ইউরো চেয়েছিল। তবে নতুন প্রস্তাবে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪০০ কোটি ইউরোতে। আর্থিক পুনরুদ্ধারের (বেইল আউট) কর্মসূচির জন্য গ্রিস যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে একগুচ্ছ ঋণদাতাদের শর্ত অনুযায়ী একগুচ্ছ কৃচ্ছ্রর প্রতিশ্রুতি আছে। প্রায় অনুরূপ শর্ত ৫ জুলাইয়ের আলোচিত গণভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। এ কারণে ক্ষুব্ধ গ্রিকদের অনেকে এখন একে জনগণের সঙ্গে সরকারের তামাশা বলে আখ্যা দিয়েছে।
No comments