বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনায় রাজনীতি, ঘুষ ও দুর্নীতি বড় বাধা
বাংলাদেশে
ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুতর প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলে এক
প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্য। এসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে সাংঘর্ষিক রাজনীতি, ঘুষ ও দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং
ক্ষমতার অপব্যবহার। গত বুধবার ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিস
কর্তৃক ‘ওভারসিজ বিজনেস রিস্ক’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
রাজনীতি ও অর্থনীতি, ঘুষ ও দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, মানবাধিকার, সংঘবদ্ধ অপরাধ, মেধাস্বত্ব এবং প্রতিরক্ষামূলক নিরাপত্তা এই ৭টি বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ ও স্থানীয় সরকারসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় ন্যায়বিচার পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, শারীরিক নির্যাতন, দুর্নীতি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং দাতা দেশগুলোর সোচ্চার হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে ঘুষ ও দুর্নীতি সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের দুটি প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। দল দুটির মধ্যে সম্পর্ক খুবই নাজুক। রাজনৈতিক অবস্থাও সাংঘর্ষিক এবং ক্ষমতাও চূড়ান্তভাবে কেন্দ্রীভূত। দল দুটির অবস্থান পরস্পরের মুখোমুখি। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের কারণে অর্ধেকের বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। বিরোধী জোট নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেও শেখ হাসিনার সরকার ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেয়। বর্তমানে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকলেও তারা সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে এক ভিন্নধর্মী অবস্থান উপভোগ করছে। সর্বশেষ অনিয়মের অভিযোগ এনে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের মাঝপথে বিএনপির সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় দেশটির নতুন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরার সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকারের সব বিষয় মেনে চলার অঙ্গীকার দিয়ে আন্তর্জাতিক সনদে সই করে। কিন্তু বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ আইনের প্রয়োগ খুবই দুর্বল। আদালতের কার্যক্রম মামলার ভারে জরাজীর্ণ। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়নের অস্তিত্ব থাকলেও তাদের হয়রানি ও কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া হয়। দেশটিতে এখনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর রয়েছে। দুর্নীতি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বড় বাধা। এছাড়া বাংলাদেশে পণ্যের নকল হওয়া এবং মেধাস্বত্ব আইনের দুর্বলতার বিষয়েও সতর্ক করা হয় প্রতিবেদনে।
রাজনীতিবিদ, আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির সূচকে ২০১৪ সালে বিশ্বের ১৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৫তম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ অর্জন করে থাকে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ১২ শতাংশ। এ খাতও ক্রমে সম্প্রসারণ হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির ৯০ শতাংশ কিনে থাকে। ইউরোপীয় বাজারে তৈরি পোশাক খাতের ১৩ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে।
রাজনীতি ও অর্থনীতি, ঘুষ ও দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, মানবাধিকার, সংঘবদ্ধ অপরাধ, মেধাস্বত্ব এবং প্রতিরক্ষামূলক নিরাপত্তা এই ৭টি বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ ও স্থানীয় সরকারসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় ন্যায়বিচার পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, শারীরিক নির্যাতন, দুর্নীতি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং দাতা দেশগুলোর সোচ্চার হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে ঘুষ ও দুর্নীতি সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের দুটি প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। দল দুটির মধ্যে সম্পর্ক খুবই নাজুক। রাজনৈতিক অবস্থাও সাংঘর্ষিক এবং ক্ষমতাও চূড়ান্তভাবে কেন্দ্রীভূত। দল দুটির অবস্থান পরস্পরের মুখোমুখি। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের কারণে অর্ধেকের বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। বিরোধী জোট নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেও শেখ হাসিনার সরকার ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেয়। বর্তমানে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকলেও তারা সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে এক ভিন্নধর্মী অবস্থান উপভোগ করছে। সর্বশেষ অনিয়মের অভিযোগ এনে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের মাঝপথে বিএনপির সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় দেশটির নতুন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরার সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকারের সব বিষয় মেনে চলার অঙ্গীকার দিয়ে আন্তর্জাতিক সনদে সই করে। কিন্তু বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ আইনের প্রয়োগ খুবই দুর্বল। আদালতের কার্যক্রম মামলার ভারে জরাজীর্ণ। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়নের অস্তিত্ব থাকলেও তাদের হয়রানি ও কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া হয়। দেশটিতে এখনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর রয়েছে। দুর্নীতি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বড় বাধা। এছাড়া বাংলাদেশে পণ্যের নকল হওয়া এবং মেধাস্বত্ব আইনের দুর্বলতার বিষয়েও সতর্ক করা হয় প্রতিবেদনে।
রাজনীতিবিদ, আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির সূচকে ২০১৪ সালে বিশ্বের ১৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৫তম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাত থেকে মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ অর্জন করে থাকে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ১২ শতাংশ। এ খাতও ক্রমে সম্প্রসারণ হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রফতানির ৯০ শতাংশ কিনে থাকে। ইউরোপীয় বাজারে তৈরি পোশাক খাতের ১৩ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে।
No comments